হু হয়ত অনেকের আমার কথাটা বুঝতে কষ্ট হচ্ছে ।শুনেন খুইলা বলি কাউকে যদি প্রশ্ন করা হয় আচ্ছা বলুনতো আমাদের দেশে ৫২তে কিছের জন্য আন্দোলন করা হয়েছিল ? এক কথায় উত্তর আসবে বাংলা ভাষার জন্য ।
৫২তে পাকিস্তান চেয়েছিল রাষ্ট্র ভাষা উর্দু করতে আর আমাদের বীরদের মতামত ও ইচ্ছে ছিল উর্দু নয় রাষ্ট্র ভাষা বাংলা হবে ।
আর তাদের সে মতের ইচ্ছে শক্তিই তাদেরকে সেদিন আজকে আমাদের মায়ের মুখের বাংলা ভাষা লক্ষ্যে পৌঁছে দিছিল ।
কি না টানই ছিল বাঙ্গালীদের এই বাংলা ভাষা অথবা বাংলা কথার জন্য । তাইতো সেদিন ভাষাচর্চার স্বাধীনতা পেয়েছিল
আমাদের বীর বাঙ্গালীরা । আর আমাদেরও উচিৎ সেই রক্তাপাত শহীদের সৃত্বিকে ধরে রেখে সারাজীবন বাংলাকে এগিয়ে নেয়া ।
অতি কষ্টকর হলেও না বলে পারছি না এতো অর্জনের মাঝেও নিরাশার কালো মেঘ দানা বাঁধে মনের সাদা বা নীল আকাশে ।
ভাষা ও সাংস্কৃতির মাধ্যমে যে ভাষাগত সাংস্কৃতি দিনদিন কালো থাবা আমাদের ওপর পড়েছে তা উদ্ধারের কোন বিকল্প নেই তাই আজ আমরা সাংস্কৃতিক বিনিময়ে অনেক সময় বাংলার পরিবর্তে হিন্দিতে বা ইংরেজীতে কথা বলি । আসলে এতে যে আমার মায়ের মুখের বাংলা ভাষাকে অপমান করছি সেইটুক বোঝার বোধ শক্তিটুক আমরা অনেক সময় হারিয়ে ফেলি ।
আজ ভারতের পশ্চিম বঙ্গের কথাই একটু ভাবা যাক তারাও কিন্তু এই কালো থাবা থেকে দূরে নেই । আর তারা এই কালো থাবায় পড়ে অনেকাংশেই পঙ্গু হয়ে পড়েছে ।সেখানকার বেশির ভাগ শিশুরাই আজ বাংলা ঠিকমতো বলতে পযন্ত পারছেন না । সেখনকার অনেক অফিসের শিক্ষিত ছোট অফিসার থেকে বড় অফিসার এমন কি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমন কি মুদি দোকানদাররাও সে জালে আটকে গেছেন ।
তাদের মুখে হয়ত হিন্দি নয়ত ইংরেজি শোনা যায় । তাই বাংলা ভাষাকে এখন সম্ভাবনার উম্মুক্ত পথে এগিয়ে নিতে পারে বা পারি একমাত্র
আমরা ও আমাদেরই বাংলাদেশ ।তাই আসুন এই মহান মাতৃ ভাষা দিবসকে ২১ ফেব্রুয়ারি না বলে ৮ই ফাগুন মাতৃ ভাষা দিবস বলি ।
কেননা ফেব্রুয়ারি মানেই হচ্ছে ইংরেজি তাই বাংলার সম্মানে বাংলার সাথে জড়িত ইংরেজিকে বাদ দেই ।
৮ই ফাগুন মহান বাংলা মাতৃ ভাষা দিবসে সকল ভাষা শহীদের জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮