আসসালামু আলাইকুম !
আমি একজন গার্মেন্টস শিল্পের লোক । গার্মেন্টস পেশায় আছি দশ বছরের উপরে । কিভাবে আমি এই পেশায় আসলাম সেই কাহিনী আপনাদের শোনাবো , তার আগে সামুর মত এত বড় ব্লগে নিশ্চয় আমার সহকর্মী অনেকেই আছেন । আমার এই পোস্ট দেখে থাকলে দয়া করে আওয়াজ দিয়েন বা আপনার পরিচিত কেও থাকলে লিংক দিয়েন , আনন্দিত হবো ! কারন আমাদের জাত ভাইদের কারো সাথে পরিচিত হলে মনে শান্তি পাই
২০০২ সালের ঘটনা ! ডিগ্রি পাশ করার পর চিন্তা করলাম জীবিকার জন্য কোন পেশা আমার জন্য উপযুক্ত । আমার মেধা, যোগ্যতা আর মামুর জোর সব মিলিয়ে হিসাব করে দেখলাম সরকারি হাই স্কুলে না হোক একটা বেসরকারি হাই স্কুলে সহকারি শিক্ষক হিসাবে চাকুরি ম্যানেজ করতে পারবো । তাই সব চিন্তা বাদ দিয়ে ২০০২ এর জুন মাসে ভর্তি হলাম ময়মনসিংহ ট্রিচার ট্রেনিং কলেজে । (এই কলেজ জীবনে কাহিনী অন্য দিন শেয়ার করবো )
২০০২ এর সেপ্টেম্ব্বর মাস ।একদিন আমার চাচাতো ভাই আমার হোস্টেলে এসে খবর দিল দাদা (গ্রেন্ড পা এর ছোট ভাই) তোর জন্য একটি চাকরি ঠিক করেছে , দাদার নাম্বার দিল যোগাযোগ করার জন্য । যে চাকরির জন্য এখনও বই-খাতা নিয়ে পড়ে আছি সেই চাকরিই যদি হয়ে যায় তাহলে আর অপেক্ষা কিসের ।
পরের দিনই দাদাকে ফোন করলাম , দাদা একটি ফোন নাম্বার দিলেন আর গাজীপুরে একটা ঠিকানা দিলেন । পরের দিনই রওনা হলাম সেই ঠিকানায় । তখনও জানি না কিসের চাকরি বা কি চাকরি ।
অপিসের বাহিরটা দেখে পছন্দ হলোনা ( তাতে কি আমার শুধু একটি চাকরি চাই) রিসিপশনে যেয়ে দাদা যার সাথে দেখা করতে বলেছে তার নাম উল্লেখ করে বললাম দেখা করতে চাই । সিকিউরিটি আংকেল বললেন স্যার বাহিরে আছে অপেক্ষা করুন । আমিও ধৈর্য্য নিয়ে বসলাম । কিন্তু আমার ধৈর্য্য শেষ হয়ে যায় কিন্তু তারা কোন কথা বলে না তাই সিকিউরিটি আংকেলকে বললাম স্যার কি এসেছে ? তিনি ভাব নিয়ে বললেন স্যার এখনও আসে নাই ।
দ্বিতীয় বার আংকেলকে কিছু না বলে বাহিরের দোকান থেকে দাদাকে ফোন দিলাম । ( তখন গ্রামীনের রেট ১০ টাক থেকে ৫ টাকায় নেমে এসেছে ) দাদা আমাকে বললেন তুই ৫ মিনিট পরে আবার আমাকে ফোন দে , আমি দেখতেছি । পরের বার দাদা আমাকে জানালেন কাদরি একটু বাহিরে আছে কিছুখনের মধ্যেই অপিসে আসবে তুই একটু অপেক্ষা কর । (এই কাদরি স্যার এর গল্প আর একদিন লিখবো) আবার গিয়ে রিসিপশনে বসলাম।
আমার মনে অনেক প্রশান্তি “আমার চাকরি হচ্ছে” ।
যাই হোক স্যার আসলে আমার ডাক পড়লো । একজন সিকিউরিটি আমাকে স্যার এর কাছে নিয়ে গেলেন । স্যারকে প্রথম দেখেই বুঝে ফেললাম স্যার একটি গুরুগম্ভীর মানুষ । কিন্তু পরে বুঝেছি আমার জীবনে দেখা সবচে রাশভারী মানুষ তিনি । স্যার আমার সাথে খুব ভালো করে কথা বললেন । ( স্যার একসময় আমার দাদার অধীনে চাকরি করতেন ) কিছুক্ষণ কথা বলার পর বললেন বায়ো ডাটা এনেছো ? আমি বললাম 'না' । কম্পিউটার জানো ? হ্যাঁ । এক কাজ করো । পাশের কম্পিউটার রুম থেকে তোমার বায়ো ডাটা প্রিন্ট করে নিয়ে আসো । তোমার চাকরির ইন্টারভিউ ও হবে বায়ো ডাটাও রেডি হয়ে যাবে ।
তিনি কম্পিউটার রুমের ( আই টি সেকশনের ) হান্নান ভাইকে ডাকলেন । ( হান্নান ভাই খুব ভালো মনের একজন মানুষ)
চলবে...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




