ছাত্র জীবনে পাশ ফেল থাকবেই। অনেকেই আছেন যাদের জীবনে এই অভিজ্ঞতা হয় নাই। ফেল করার কি জ্বালা তারা কিছুতেই সেটা অনুভব করতে পারবেন না।
কবির ভাষায়...
কি যতনা যে বিষে
বুঝিবে সে কিসে
কভু আশী বিষে
দংষেনি যারে...
প্রাইমারিতে তিন সাবজেক্ট পর্যন্ত ফেল করলেও বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করে দিতো। তাছাড়া অতো ছোটো বেলায় ফেল মারলেও স্মৃতি মনে থাকতো না এতো কষ্ট পেতাম না, কিন্তু আমি ফেল মারছি একেবারে পড়াশুনার শেষ মঞ্জিলে এ এসে ।
হাই স্কুলে সিক্স - সেভেন এ লাস্টো ব্রিন্চির ছাত্র হলেও ফেল মারি নাই। ক্লাশ এইট থেকে আমার ছাত্র জীবন উন্নতি লাভ করে। দশম শ্রেণীতে পেলেস পাই। এস,এস,সি তে প্রথম বিভাগ আসে।
এইচ,এস,সি তে শুরু হয় ছাত্র জীবনের কালো অধ্যায়। (যারা আগের পর্ব পড়েছেন তারা জানেন) রেজাল্ট প্রথম বিভাগ আসলেও ভিতর টা ছিলো ফাঁকা (নকলের জোর )
এইচ,এস,সি পাশ করার পর বুঝি, আমার এই ভোঁতা দা দিয়ে খুব বেশি কুবাইতে পারবো না। তাই ভার্সিটিতে ট্রেরাই না করেই ভর্তি হয়ে গেলাম আমার গ্রামের ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ে বি,এস,সি (পাস কোর্স) এ ।
ডিগ্রি পাস কোর্স আসলেই একটা ঝামেলার পড়াশোনা। পদার্থ,রসায়ন,গনিত,বাংলা,ইংরেজি এই পাঁচ বিষয় একত্রে দুই বছর পরে ঢেলে দিতে হয় পরীক্ষার হলে। এই ছোটো মাথায় কি এক সাথে এতো বিষয় ধরা সম্ভব? যেখানে অনার্স এর ছেলেরা পাঁচ-ছয় বছর ধরে একটা বিষয়ই পড়ে তাও এক বছরের পড়া অন্য বছর মনে রাখতে হয়না ।
আমরাই ঐ কলেজে বি,এস,সি এর প্রথম ব্যাচ। স্যার এরাও কিভাবে পড়াবেন কনফিউজ । ওল্যা-ম্যালা করতে করতেই দুই বছর শেষ। পরীক্ষার এক মাস আগে থেকে দেখি সব ছাত্র খুব ব্যাস্ত। কি ব্যাপার কি নিয়ে ব্যাস্ত, এই এক মাস পড়ে আর কি হবে ? না ! তার পড়াশোনা নিয়ে ব্যাস্ত না, তারা আস্ত বই কম্পোজ নিয়ে ব্যাস্ত। কোন দোকানে কত হাজার কপি এক সাথে করলে কতো রেট, কার সাথে কার সিট পরবে, কে কতো টুকু কম্পোজ সাথে রাখবে ইত্যাদি নিয়ে ব্যাস্ত। আমিও যোগ দিলাম তাদের সাথে
পরীক্ষার দিন বড় একটা কাবা শরিফের ছবি পরীক্ষার হলে ঝুলিয়ে দিলাম। আল্লাহ ছাড়া আমার আর কোনো গতি নাই। পরীক্ষা শুরু হলো । আমর আশে পাশের কয়েকটা উইকেট পড়ে গেলো । আমার খুব কাছের এক বন্ধুও কট খাইলো । তাতে কি
"মরতে হলে মরবো, যতখন বেঁচে আছি ততখন লরবো"
চলবে........
জীবন কথার বাকি লেখাগুলি এই বিভাগে
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





