১
হারিয়ে যাওয়া জয়া আহসানকে ২০০% বোনাসের টোপে ফিরে পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজ্ঞাপনে নতুনত্বের নাম করে বিরক্তিকর ও ফালতু প্রচারণা ঘৃণিত হয়েছে। বিজ্ঞাপন সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবী উঠেছে মানুষের বিশ্বাসের সারল্যকে অবমাননা করার জন্য। কিন্তু যাকে নিয়ে এতো কথা, সেই জয়া আহসান বলেছেন অন্যকথা। আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, " একটি বিজ্ঞাপনচিত্র দিয়ে একজন শিল্পীর সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে কি নেই, তা নির্ণয় করা ঠিক নয়। আমার সামাজিক দায়বদ্ধতা নেই -এমন কথা বলার আগে ভাবতে হবে যে এটি ছিল একটি নতুন ধরনের কাজ।...আসলেতো আমরা হঠাৎ করে নতুন কিছু নিতে পারিনা।"
আমরা কতো ব্যাকডেটেড জয়ার কথা শুনলেই বুঝতে পারি। জনপ্রিয় শিল্পীদের সামাজিক দায়বদ্ধতা আর আমাদের মতো সাধারণ মানুষের সামাজিক দায়বদ্ধতার সংজ্ঞা এক নয়। শিল্পীরা তো আমাদের সনাতন সমাজের কেউ নন, তাই ওনাদের দায়বদ্ধতাও অন্যরকম।
২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আত্মপক্ষের ভুল দুর্বল করার জন্য বলেছেন, " যারা এখন লিখছেন, তাঁরা ঘটনাগুলো তদন্ত করে দেখুন তাহলে মানুষ বুঝতে পারবে ২০০১ সালে কি ঘটেছিল। যাদের সহায় সম্পত্তি বেদখল হয়েছে পত্রিকাওয়ালারা সেগুলো ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করুক।"
জনগণ জানতে চায়, কারা কার সম্পত্তি বেদখল করেছে? মানে, যতো দিন এগুলো ফেরত(!) দেওয়া না হবে কেউ কিছু বলতে পারবে না, লিখতে পারবেনা!!
তবুও লিখবেন মতিউর রহমান!!
প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান তবুও লিখবেন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। তার তত্ত্ববধায়ক সরকারের শাসনকালীন অবিবেচক সম্পাদনানীতি ও পরোক্ষ আওয়ামী সমর্থন এবং বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মপক্ষের সাফাই কতোটুকু বিপাকে ফেলেছে জানিনা! তবু তিনি লিখবেন একজন প্রতিশোধ প্রবণ প্রধানমন্ত্রীর সংশোধনের জন্য। রাগ-অনুরাগ দুটোইতো প্রেমের উপজীব্য অংশ, তাইনা। সামাজিক দায়বদ্ধতা বলে একটা কথা আছেনা, বদলে দেয়া ও দিন বদলের (!) জন্য এতোটুকু তো করতেই হয়!
সামাজিক দায়বদ্ধতা : একজন জয়া আহসান, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও প্রমিক পত্রিকাওয়ালা মতিউর রহমান!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(
আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।
ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )
যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন
কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন
একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।
এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।
ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন