somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চেক ডিজঅনার সংক্রান্ত আইনের অসংগতি ও অপূর্ণতা

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বর্তমানে চেক সংক্রান্ত জটিলতা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বভাবতই চেকের মামলার সংখ্যাও বেড়েছে। সিনিয়র বা জুনিয়র, সিভিল বা ক্রিমিনাল সকল সাইটের আইনজীবীর কাছেই কিছু না কিছু চেকের মামলা আছে। আর চেকের মামলার বেশীরভাগই নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এ্যাক্ট-এর ১৩৮ ধারা মতে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের হয়ে থাকে। কাজেই এ লেখাটা কেবল নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এ্যাক্ট-এর ১৩৮ ধারার উপরই সীমাবদ্ধ থাকবে। আলোচনার আগে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত একটা কেস-হিস্ট্রি শুনুন।
চেক দিল কে, সাজা হলো কার, খাটবে কে-
ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা না রেখে পাওনাদারকে চেক দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছিল চাঁদপুরের আবদুল জলিলের ছেলে সুলতান আহমেদ ওরফে শামীমের বিরুদ্ধে। কিন্তু আসামি আদালতে যে ওকালতনামা দাখিল করেন, তাতে নিজের নাম দেন এস এম শাহরিয়ার জাহান। ঠিকানা দেওয়া হয় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের। দুটি নাম একই ব্যক্তির গণ্য করে সাজা দিয়েছেন আদালত। এখন নিজেকে নির্দোষ দাবি করছেন গফরগাঁও উপজেলার পাইথল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম সাইদুর রহমান ওরফে সিরাজ চেয়ারম্যানের ছেলে এস এম শাহরিয়ার জাহান। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিনি প্রধান বিচারপতির কাছে গত ২ ফেব্রুয়ারি একটি আবেদনও দাখিল করেছেন। জানা যায়, চেক ডিজঅনার হওয়ার এই মামলায় গাজীপুরের প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত সুলতান আহমেদ ওরফে শামীম ও এস এম শাহরিয়ার জাহানকে একই ব্যক্তি গণ্য করে রায় দেন। কিন্তু ব্র্যাক ব্যাংকের যে চেকের কারণে এনআই (নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট) অ্যাক্টে মামলা হয়, সেই চেকের মালিক অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট হিসাবধারীর ছবি ও নাম-ঠিকানার সঙ্গে এস এম শাহরিয়ার জাহানের মিল নেই। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে, কে সাজা খাটবে-সুলতান আহমেদ শামীম, নাকি এস এম শাহরিয়ার জাহান? cÖতারণার শিকার অ্যাডভোকেট মো. তাকী প্রধানের পরিবারের টাকার কী হবে? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্র্যাক ব্যাংকের যে হিসাব নম্বরের চেক নিয়ে মামলা, সেই হিসাব নম্বরটি শামীম এন্টারপ্রাইজের (গুলশান-১, রোড-২৪, বাড়ি নম্বর-১৬)। এর স্বত্বাধিকারী সুলতান আহমেদ ওরফে শামীম, বাবা আবদুল জলিল, গ্রাম-চন্দলা, থানা-ব্রাহ্মণপাড়া, জেলা-কুমিল্লা। মামলার বাদী গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. তাকী প্রধান কালের কণ্ঠকে বলেন, তাঁর পূর্ব পরিচিত শামসুল হক শামু তাঁকে বলেছেন সুলতান আহমেদ শামীমই শাহরিয়ার জাহান। প্রতারণার উদ্দেশ্যেই শাহরিয়ার নিজের পরিচয় গোপন করে সুলতান আহমেদ শামীম নাম ধারণ করে চাঁদপুরের ঠিকানা দিয়েছেন। এসএম শাহরিয়ার জাহান কালের কণ্ঠকে বলেন, বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত হলেই বেরিয়ে আসবে কে তাকী প্রধানদের ব্র্যাক ব্যাংকের চেক দিয়েছে। কে তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে।’ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাঁকে ওই মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। জানা যায়, অ্যাডভোকেট তাকী প্রধানের আত্মীয় ও এই এলাকার বাসিন্দা মো. শামসুল হক শামুর মাধ্যমে শামীমের সঙ্গে পরিচয় হয়। শামীম ও শামুর প্রস্তাব অনুযায়ী তাকী প্রধানের ছোট ভাই মো. জুলফিকার আলীকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর জন্য তাঁদের হাতে চার লাখ ৪০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের আগস্টের মধ্যে টাকা দেওয়া হয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তিও সই হয়। চুক্তিতে সুলতান আহমেদ শামীম শুধু শামীম নামে সই করেন। কিন্তু এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও ভাইকে সিঙ্গাপুরে পাঠাতে না পারায় শামীমকে চাপ দেন বাদী। এর পর শামীম ২০০৯ সালের ৪ জুলাই বাদীপক্ষকে ব্র্যাক ব্যাংকের একটি চেক (নম্বর-এসবিসি-৮৯৩৩৪২) দেন। চেকে সুলতান নামে সই করেন। যে চেকটি দেওয়া হয় তার হিসাব নম্বর-১৫০১১০০০২০৬৩৮০০১। এর পর চার লাখ ৪০ হাজার টাকার ওই চেকটি বাদীর পিতা এএফ মো. গিয়াসউদ্দিন প্রধান কয়েক দিন পর ব্যাংকে জমা দেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট হিসাব নম্বরে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ২০০৯ সালের ৭ জুলাই চেকটি ডিজঅনার হয়। একই বছরের ২৭ জুলাই দ্বিতীয় দফা ডিজঅনার হয় চেকটি। এর পর মো. সুলতান ওরফে শামীম, পিতা আবদুল জলিল, চাঁদপুরের ঠিকানায় উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। কোনো উত্তর না পেয়ে গাজীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন তাকী প্রধান। মামলায় আসামি হিসেবে নাম দেওয়া হয় সুলতান আহমেদ ওরফে শামীমের। মামলাটি বিচারের জন্য পাঠানো হয় গাজীপুরের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। আসামি পলাতক থাকায় আদালত সুলতান আহমেদ শামীমের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে ২০১০ সালের ৭ জুলাই শাহরিয়ার জাহানের নামে আদালতে একটি ওকালতনামা দাখিল করা হয়। গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হারিছউদ্দিনসহ কয়েকজন আইনজীবীর মাধ্যমে এই ওকালতনামা দাখিল করা হয় বলে আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে শাহরিয়ার জাহানের ঠিকানা দেওয়া হয় পিতা আবদুল জলিল ওরফে সিরাজ চেয়ারম্যান, গ্রাম-পাইথল, থানা-গফরগাঁও, জেলা-ময়মনসিংহ। আসামি হাজির না হওয়ায় এখান থেকেই এ মামলার সঙ্গে এসএম শাহরিয়ার জাহানের নাম জড়িয়ে যায়। এ মামলায় গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর রায় হয়। আসামির এক বছরের সাজা হয় রায়ে। এদিকে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে ন্যায়বিচার চেয়ে আবেদন করেছেন এসএম শাহরিয়ার। অন্যদিকে তাকী প্রধান চান তাঁর টাকা ফেরত পেতে। কারণ পিতার পেনশনের শেষ সম্বল ওই টাকা তুলে দিয়েছিলেন সুলতান আহমেদ শামীম ও শামসুল হক শামুর হাতে। সাবেক স্কুল শিক্ষক পিতাকে এখন তিনি কি সান্ত্বনা দেবেন সেটাই তাঁর প্রশ্ন।’’

আমাদের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের কথাই ধরা যাক। এখানকার ব্যবসা মুলতঃ বাকিতে হয়। তথা চেক নির্ভর। কোন এক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে চেক দিয়ে বাকিতে মালামাল নিয়ে গেলেন আরেক ব্যবসায়ী। ঐ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান চেকটা দিয়ে দিলেন আরেক ব্যবসায়ীকে। এভাবেই চলে লেনদেন। গোল বাধে তখনই, যখন চেকটা ডিজঅনার হয়। কার দেয়া চেক কার কাছে ডিজঅনার হলো। অনেক সময় দেখা যায়, চেক ইস্যুকারীকে তিনি চেনেনই না। নাম-ধামও জানেন না। মামলা করবেন কার বিরুদ্ধে ? এমনও দেখা গেছে, যার বিরুদ্ধে তিনি মামলা করেছেন, চেকটা তার নয়। কাজেই মামলা খারিজ।
এতো গেলো কিছু ব্যতিক্রমী বিষয়। এবার আসি ১৩৮ ধারা মামলার কিছু অসঙ্গতি প্রসঙ্গে।
১। নোটিশ সংক্রান্তে অস্পষ্টতা:
চেক দাতাকে নোটিশ দেয়ার নির্দিষ্ট কোন ফরমেট নেই। এজন্যে একেক জনের নোটিশ একেক রকম হয়ে থাকে। কিন্তু মামলা যখন বিচারাদালতে যায়, অনেক সময় দেখা যায়, নোটিশে চেক নাম্বার উল্লেখ করা হয়নি, যা মামলা খারিজ হওয়ার কারন হয়ে দাড়ায়।
২। নোটিশ জারি সংক্রান্তে-
আইনের নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এ্যাক্টের ১৩৮ এর (১ক) উপধারা (১) এর (খ) অনুচ্ছেদের বর্ণিত নোটিশ নি¤œভাবে জারি করতে হবে-
(ক) যে ব্যক্তিকে নোটিশ দিতে হবে তার প্রতি নোটিশ বিলি করে,
অথবা
(খ) উক্ত ব্যক্তির নিয়মিত বাসস্থান বা সর্বশেষ বাংলাদেশের যে স্থানে তিনি বাস করেছেন, বা ব্যবসা করেছেন বলে জানা যায় সে ঠিকানায় প্রাপ্তিস্বীকারপত্র সহ ডাকযোগে নোটিশ প্রেরণ করে,
অথবা

(গ) বহুল প্রচারিত একটা জাতীয় দৈনিক বাংলা পত্রিকায় নোটিশ প্রকাশ করে।
খেয়াল করুন, আইনে প্রতিটা ক্ষেত্রেই ‘অথবা’ বলা হয়েছে। অর্থাৎ যে কোন একটা পদ্ধতি অনুসরন করতে বলা হয়েছে। কিন্তু ডাকযোগে নোটিশ পাঠানোর পর প্রাপককে যদি পাওয়া না যায়, সেক্ষেত্রে অনেকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। আর এ দুবার নোটিশ জারি হওয়ার কারনে প্রথমবার নোটিশ প্রদানের তারিখটা তামাদি হয়ে যায়, যার কারনে মামলা খারিজ হয়ে যায়। আইনে এর যথাযথ ইন্টারপ্রিটিশান প্রয়োজন।
(গ) ধারায় বলা হয়েছে, জাতীয় দৈনিকের কথা। সেক্ষেত্রে কোন কোন পত্রিকা জাতীয় দৈনিক তার ব্যাখ্যা থাকা প্রয়োজন। ‘বহুল প্রচারিত’ বলতে কি বোঝানো হয়েছে তারও ইন্টারপ্রিটিশান থাকা প্রয়োজন। কত হাজার বা লাখ পত্রিকা ছাপা হলে ‘বহুল প্রচারিত’ হবে তার সুস্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা আইনে নেই।
৩। সেলফ চেক হলে/জিম্মা চেক হলে-
চেকে যদি ’নিজ’ বা সেলফ লেখা থাকে, তাহলে ঐ চেক দিয়ে মামলা করা যাবে কিনা, তারও কোন ব্যাখ্যা আইনে পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে কোন কোন আদালত মামলা গ্রহন করেন, কোন কোন আদালত করেন না। আবার মামলা হলেও, ট্রায়ালে আসামী ডিসচার্জ হয়ে যায়।
৪। কজ অব একশান একাধিক হলে-
ধরা যাক, চেক দাতাকে চেক গ্রহীতা আইনানুগ নোটিশ দেয়ার পর চেক দাতা মৌখিকভাবে দুমাসের সময় প্রার্থনা করলো। গ্রহীতা তা মেনে নিলেন। কিন্তু দু মাস পর টাকা পরিশোধ না করায় বা চেকটি আবার ডিজঅনার হওয়ায় চেক গ্রহীতা পুনরায় চেক দাতাকে ১৩৮ ধারায় নোটিশ প্রেরন করলেন। এক্ষেত্রে কজ-অব একশান যেহেতু প্রথম নোটিশ থেকে শুরু হয়েছে, সে কারনে মামলাটা খারিজ হয়ে যায়।
৫। প্রি-ম্যাচ্যুর মামলা-
চেক ডিজঅনার হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নোটিশ দিতে বলা হয়েছে। টাকা পরিশোধের নিমিত্তে ৩০ দিনের সময় দিতে বলা হয়েছে। না দিলে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে মামলা করতে বলা হয়েছে। আর এ সময়ে আগে মামলা করলে সেটাকে প্রি-ম্যাচুউর মামলা বলা হয়। উচ্চাদালতের সিদ্ধান্ত ছিল, প্রি-ম্যাচুউর মামলা চলবে। সম্প্রতি ডিসিশন এসেছে, প্রি-ম্যাচুউর মামলা চলবে না। (১৫ এম,এলআর)।
৬। পার্ট পেমেন্ট হলে-
ধরা যাক, আসামী বাদীকে ১,০০,০০০/-টাকার দিয়েছে। আসামী ৫০,০০০/- বা ৭৫,০০০/-টাকাই রশিদ মুলে পরিশোধ করে দিয়েছে। পুরো টাকা পরিশোধ না করায় বাদী চেকটা ফেরৎ দেয়নি। সেক্ষেত্রে সাজার কোন তারতম্য হবে কিনা বা মামলা আদৌ চলবে কিনা তার কোন দিক নির্দেশনা এ আইনে পাওয়া যায় না।
৭। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে তারিখ না থাকলে-
দেখা গেলো, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ফেরত এসেছে, কিন্তু প্রাপক নোটিশ কখন গ্রহন করেছে তার কোন তারিখ দেয়নি। কেবল প্রাপকের স্বাক্ষর আছে। এক্ষেত্রেও মামলার সময় নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে এবং ক্ষেত্র বিশেষে মামলা খারিজ হয়ে যাচ্ছে।

উপরোক্ত সমস্যা গুলোর কারনে মামলা খারিজ হয়ে গেলে স্বভাবতই বাদীপক্ষ কেবল এককভাবে নয়, তিন ভাবে লুজার হন। প্রথমতঃ, তার আর ঐ টাকা পাওয়া হয় না। দ্বিতীয়তঃ মামলা মোকদ্দমা করতে তার অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। তৃতীয়তঃ, সামাজিকভাবে তিনি হেয় প্রতিপন্ন হন। আর এ কারনে উপরোক্ত বিষয়গুলোর সুষ্পষ্ট ব্যাখ্যা তথা ইনটারপ্রিটিশন দরকার। চেকের অনেক মামলাই হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায় না। আর এ্যাপিলেট ডিভিশনে কদাচিত যায়। সে কারনে সবগুলো সমস্যার ইন্টারপ্রিটিশন পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে।

চেক ডিজঅনার মামলার অপূর্ণতা
অনেক কাটখড় পুড়িয়ে বাদী মামলায় রায় পেলেও, টাকা পাওয়া আর হয় না। ১৩৮ ধারার মামলার প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আদালত আসামীকে কয়েকদিন থেকে ১ বৎসর পর্যন্ত সাজা দেন এবং চেকের টাকা একগুন বা দ্বিগুন বা তিনগুন পর্যন্ত পরিশোধে করার আদেশ দেন। আসামীরা সাজা খেটেই বেরিয়ে যান। টাকা আর পরিশোধ করেন না। কিন্তু আদালতের আদেশানুযায়ী টাকা পরিশোধ না করলে কিভাবে টাকা উদ্ধার হবে তার কোন উপায় এ ধারায় নির্দেশ করা নেই। আমরা অনেক সময় ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৩৮৬ ধারায় আবেদন করে থাকি। অনেক কোর্টই তা গ্রহন করতে রাজি থাকেন না এ কারনে যে, নোগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এ্যাক্ট-এর ধারায় দেয়া রায়ে ফৌজদারী কার্যবিধির এ ধারা প্রযোজ্য হবে না।
কাজেই আইনটা ধুঁয়াশাচ্ছন্ন। টাকা পরিশোধ করার আদেশ দেয়া হলেও, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাদী টাকা ফেরৎ পাচ্ছেন না। আদালতের এই আদেশ কিভাবে কার্যকর করা হবে, তারও কোন সুষ্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই। কাজেই এ আইনকে একটা অপূর্ণ আইন বলা ছাড়া কোন গত্যন্তর তো দেখছি না। অচিরেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংশোধনের মাধ্যমে এই অপূর্ণতা ও অসঙ্গতি দুর না করলে ভোগান্তি আরো বাড়বে বৈ কমবে না।



৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

আমরা সবাই জানি, ইরানের সাথে ইজরায়েলের সম্পর্ক সাপে নেউলে বললেও কম বলা হবে। ইরান ইজরায়েলকে দুচোখে দেখতে পারেনা, এবং ওর ক্ষমতা থাকলে সে আজই এর অস্তিত্ব বিলীন করে দেয়।
ইজরায়েল ভাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

নগ্ন রাজা কর্তৃক LGBTQ নামক লজ্জা নিবারনকারী গাছের পাতা আবিষ্কার

লিখেছেন মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪০

LGBTQ কমিউনিটি নিয়ে বা এর নরমালাইজেশনের বিরুদ্ধে শোরগোল যারা তুলছেন, তারা যে হিপোক্রেট নন, তার কি নিশ্চয়তা? কয়েক দশক ধরে গোটা সমাজটাই তো অধঃপতনে। পরিস্থিতি এখন এরকম যে "সর্বাঙ্গে ব্যথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×