সন্ধ্যায় অভাবনীয়ভাবে খাওয়া হলো হাঁসের মাংস এক ভাইয়ের বাসায়। তাও আবার প্যাকেট করা মাংস নয়, রীতিমত জবাই করে তাজা রান্না করা মাংস। ইনচ'ন পোর্টের কাছে এক দ্বীপ থেকে কিনে আনা। যাক্, এরকম কিছু ভাই-ভাবী থাকলে এই বিদেশের মাটিতেও অনেক মজাদার, আনকমন খাবার সহজলভ্য হয়।
বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত এগারোটা, ছাদে উঠে রুমে ঢুকার সময় প্রতিরাতে আকাশ দেখা আমার রুটিনমাফিক কাজ। আজো তার ব্যতিক্রম হলো না। দেখলাম, আধখানা চাঁদ পূবাকাশে হেলে আছে, মাথার উপরে দক্ষিণ দিক থেকে একটু বাঁকা করে তাকিয়ে আছে কালপুরুষ। আরো কি কি নক্ষত্র, সবার নাম জানি না। কিছুক্ষণ পর ফোনে কথা হলো সবার সাথে। আজকাল মনটা খুব দ্রুতই খারাপ হয়, ঘনঘন। তাই মন ভাল করার তরীকা খুঁজতে লাগলাম। এই ছবিগুলো নিয়ে বসলাম, আমি দেখছি, আপনারাও দেখুন।
কয়েকদিন আগে গানওয়া স্টেটে গুনসান সিটিতে "গিমজে হারভেস্ট ফেস্টিভ্যাল"-এ গিয়েছিলাম। বিভিন্ন দেশের ছাত্রদের নিয়ে এ ট্যুর। উদ্দেশ্য তাদের ফসল ঘরে তোলার উৎসব উপভোগ করা। অনেকটা আমাদের হেমন্তের নবান্নের মতো, পাকা ধানের গন্ধ, মাঠ জুড়ে সোনালী রঙ দেখা।
শুরু হলো পথ চলা...
রাস্তার দুপাশে ফুলেল সংবর্ধনা
দুপাশে ধানের ক্ষেত
নীচে সমুদ্র, উপরে আকাশ, মাঝখানে পাহাড়
মেলা প্রাঙ্গনে বিভিন্ন রকমের গ্রামীণ ঐতিহ্য প্রদর্শনী...
তৈরী হচ্ছে মাটির পাত্র
জমিতে পানি সেচের নমুনা
রেশম মথ থেকে সুতা তৈরী
কৃষকদের বিভিন্ন রকমের গান-নাচ হবার পর সবাইকে দিয়ে কৃষকের পোশাক পরিয়ে ধান কাটানো হলো, নিড়ানো হলো
ধান ঘরে তোলার পর বিশেষ ধরণের শক্তিবৃদ্ধিকারক খাবার খাওয়ানোর পর.........
অবশেষে রঙ বেরঙের ঘুড়ি ওড়ানো......
তারিখঃ ১০-১১ অক্টোবর, ২০০৯।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





