somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই নানা রঙের দিনগুলো...

০১ লা জুলাই, ২০১০ রাত ১২:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ভর্তি ফরম তোলা, পূরণ করা, জমা দেয়া ইত্যাদি নানা কাজ করতে যখন নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর বার বার আসা যাওয়া করছি, শাহবাগ থেকে রিকশা নিয়ে কখনো কার্জন হলে যাওয়া, কখনো কলাভবনে যাওয়ার সময়ে বারবার মাথা বের করে উঁকি মেরে মেরে দেখতাম কোন জায়গা পার হচ্ছি। বলা বাহুল্য ওই প্রথম আমার বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যাওয়া। ঢাকার বাইরে থাকায় এর আগে শুধু নাটকে, উপন্যাসে, সিনেমাতে বা পত্রিকাতেই দেখা হয়েছিল সেই অপরাজেয় বাংলা, টিএসসি, রোকেয়া হল, মধু'র ক্যান্টিন... ...

প্রথমদিন কোচিংমেটরা মিলে গিয়েছিলাম খুব সম্ভবত কার্জন হলে। অগ্রণী ব্যাংকের পাশে যে ঝুপড়া** (নাকি ছাপড়া!?) মসজিদ আছে তার পিছন থেকে ভর্তি ফরম নিতে হবে। দোয়েল চত্বর, সবুজ গালিচায় লাল দালানগুলো দেখতে দেখতে রীতিমত শিহরিত।

[** মূসা খান মসজিদ, আজই নামটা জানতে পারলাম, দুইজন ব্লগারের সৌজন্যে, তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ।]

এরপর একা একা গেলাম কয়েকবার, পেপার দেখে দেখে কোন জায়গায় ফর্ম জমা দিতে হবে, 'ঘ' ইউনিটের ফর্ম কোথা থেকে নিতে হবে, কোথায় জমা দিতে এসব জেনে নিতাম, এরপর শাহবাগে নেমে শুধু রিকশাওয়ালাকে বলতাম ঐ জায়গায় যাব, চেহারায় এমনভাব যে খুব চিনি B-), আমি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী......রিকশাওয়ালা সুন্দর জায়গামত নিয়ে যেত। এর মাঝে বারবার মাথা বের করে দেখতাম কিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছি, যাওয়ার পথে "ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র" দেখেই চোখ বড় হওয়া, ও এটাই সেই টিএসসি, তারপর ও আচ্ছা এটা তাহলে রোকেয়া হল...সেন্ট্রাল লাইব্রেরী, আরে! অপরাজেয় বাংলা!!!! নিজের অজান্তেই বুকটা কেমন যেন ফুলে উঠেছিল।

এরপর ফরম নিতে হবে কলাভবনের পিছনে গিয়ে, ঐখানে গিয়ে দেখি কাছেই ডাকসু, কেমন যেন নিজেকে ইতিহাসের অংশ মনে হতে থাকলো। মধু'র ক্যান্টিন তখনো আবিষ্কার করিনি। অবাক বিস্ময়ে চারপাশ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি।


আমার চৌদ্দগুষ্টির আমাকে ডাক্তার বানানোর ইচ্ছে থাকলেও মুখস্থ বিদ্যার ভয়ে আমার কেমন যেন ভয় ভয় লাগতো। আর যদিও মেডিকেলের কোচিং করেছিলাম, কিন্তু ভর্তিফরম ফিলআপের সময় কিছু ক্যারিকেচার করেছিলাম, তাই ঐ যাত্রা আমি কোনমতে মেডিকেলে পড়া ঠেকাতে পেরেছি, যদিও আমি জানতাম না আমার ষড়যন্ত্র এমন সফল হবে। B-) সে ষড়যন্ত্রের কাহিনী না হয় আরেকদিন, আজকে ঢাবির গল্পই করি। ;)


একদিন দেখি 'ক' ইউনিটে টিকে গেলাম, একটু স্বস্তি, মেডিকেলে বাপ-মার আশা ডুবাইলাম, এবার ঢাবিতে না টিকলে খবর আছিলো। আমার এক কাজিন একাডেমিক্যালী আমার এক বছর সিনিয়র, কার্জন হলেরই ছাত্রী, ঢাকাতে বাসা হলেও দূরে ছিল বিধায় রোকেয়া হলে সীট নিয়ে থাকতো। একদিন গেলাম তার সাথে গেলাম হলের ভিতরটা দেখতে। মেডিকেলে না টেকার কারণে মনে মনে যে একটু অপরাধবোধ আর খারাপ লাগা ছিল, কার্জন হল আর রোকেয়া হল দেখে সে বোধটুকু একেবারেই উবে গেল। ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন নাটকে দেখে কার্জন হলের প্রতি একটা আলাদা আকর্ষণ ছিল, কিন্তু বাবা-মার প্রায়োরিটি যেহেতু ছিল মেডিকেল, তাই বেশি স্বপ্ন দেখার সাহস আগে করি নাই। জানি ধোপে টিকবে না। তবে আমি তখনো জানি না যে সায়েন্সের সব সাবজেক্টের ক্লাশ কার্জন হলে হয় না, এনেক্সেও হয়, মোকাররম ভবনেও হয়, আইএসআরটিতেও হয়। :|

আবার আমার বাসা যেহেতু ঢাকার বাহিরে হলে তো থাকবোই, এই হলেই থাকবো। তখনো আমি জানি না 'হল' অটোসিলেক্ট হয়, মানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই ঠিক করে দেয়। সবাই কোন না কোন হলে এটাচ্‌ড হয়। :|

প্রথমে মেরিট লিস্ট আর চয়েসের ব্যাটে-বলে মিলে জায়গা পেলাম আইএসআরটিতে। একটু একটু মন খারাপ। ডিপার্টমেন্টে ভর্তিলিস্ট দেখতে যেয়ে যখন দেখলাম সবার নামের পাশে রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার আর হলের নাম দেয়া আমি তো ভয় পেতে গিয়ে গিয়েও খুশী হয়ে গেলাম। ইয়াহ্‌! রোকেয়া হল! এবার একটু খুশী। কয়দিন পর অটোমাইগ্রেশনে কার্জন হলেও চলে আসা হলো। :D

প্রথম রোকেয়া হল ভিজিটের দিনেই নিউ বিল্ডিং-এর সামনে সুন্দর ফুলের বাগান দেখে পছন্দ হয়ে গেল। ওইটা আবার নতুন তৈরী করা ভবন ছিল, তখনো মোটামুটি ঝকঝকে। আবার গেট দিয়ে ঢুকে প্রথমেই ঐ বিল্ডিং, হল অফিসটাও ওই বিল্ডিং-এর নীচতলায়। সব মিলায়ে অনেক পছন্দ হলো। পাকিস্তান আমলের কালো দৈত্যের মতো মেইন বিল্ডিং দেখেই ভয় পাইছি, ওইখানে মানুষ থাকে!!?? :-&

আপুকে বললাম আমি এ বিল্ডিং-এ থাকার জন্য এপ্লাই করবো। উনি বললো, আরে! ঐটাতো যারা যারা এপ্লাই করবে তাদের মাঝখান থেকে মেরিট লিস্ট অনুযায়ী ম্যাডামরা এসাইন করে দিবে। আবারো অনিশ্চয়তা! :(


যেদিন লিস্টটা টাঙ্গিয়ে দিল, দেখি সেখানেও আল্লাহ্‌তাআলা আমার পানে মুখ তুলে চেয়েছেন। অত্যন্ত খুশদিল নিয়া আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের যাত্রা শুরু করিলাম। সেই সাথে আবাসিক হলে বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন ছাড়া নতুন স্বাধীন জীবন! :) B-)

আহ্‌! কি আনন্দ! আমার একটুও মন খারাপ লাগেনি বাসার কারো জন্য। সময়টা ছিল ২ আগস্ট, সন্ধ্যা ৭টার মতো হবে। আমার সেঝ চাচা আর ছোট খালা মিলে আমাকে টুকটাক জিনিসপত্রসহ হলে তুলে দিয়ে গেলেন। একটুক্ষণের মধ্যেই এক বান্ধবী জোগাড় হয়ে গেল, পরবর্তীতে সে –আমি একই সাবজেক্টে, একই হলে, একই ফ্লোরে, একই ব্লকে, যদিও একই রুমে না, একই সাথে দিন কাটাতে লাগলাম। পরে অবশ্য ডিপার্টমেন্টে আমাদের ছয়জনের (হলের জনসহ) একটা প্রমীলা বান্ধবী গ্রুপ হলো। এদিকে হলে ওই বান্ধবীর অন্য ডিপার্টমেন্টের আরেকখান বান্ধবী জুটলো, হাজার রকমের দুষ্টামীর জন্য তাদের জুটিটা হলে বিখ্যাত হয়ে গেল, সবাই চিনে, তাদের কান্ডকীর্তি দেখে প্রায় সবাই-ই হাসাহাসি করে, আবার মাঝে মাঝে বেরসিক কিছু সিনিয়র বকাও দেয়। কারণ, খোলামাঠে দর্শক-শ্রোতাদের উচ্চহাস্যে কোন কোন আঁতেল আপুর লেখাপড়ায় বিশেষ ব্যাঘাত ঘটিত। :)


এবার আমার রুমমেটসমেত হল জীবনের কিছু দুঃসাহসিক কথকতা –

এক

এরশাদের আমল থেকেই নানা ছাত্র আন্দোলনের ঘটনা শুনতে শুনতে মধু'র ক্যান্টিন আর ডাকসু আমার কাছে খুবই পরিচিত। আবার অনেক নাটক-ফাটক দেখে ঐখানকার কাহিনীচিত্র একেবারে ঠা ঠা মুখস্থ। তাই বেশ ভয়ই পেতাম ওই এলাকাকে। সহজে ঐ এলাকা মাড়াতাম না। আর তেমন প্রয়োজনও হতো না, সুযোগও ছিল না। তবে একটা আগ্রহ ছিল সবসময়েই। প্রায়ই আমরা কার্জন হল থেকে ফিরে শুনতাম আজ টিএসসির সামনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে, আজ কলাভবনের ওইখানে কি যে দৌড়াদৌড়ির মধ্যে পড়ে গেলাম! ... ... ...হলের অন্যান্য মেয়েদের কাছে যখন এসব শুনতাম, কি যে মন খারাপ হতো! কি মিসই না আমরা করছি! আফসুস! সন্ধ্যায় টিভিতে নিউজ দেখে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাতাম। তখন তো আর এতো চ্যানেলও ছিল না, ঘন্টায় ঘন্টায় ব্রেকিং নিউজও দেখাতো না। :(

তবে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাসও ফেলতাম। যাক্‌ বাবা, আজকের জন্য তো বেঁচে গেলাম!

এক শুক্রবারে সকালে ঘুম থেকেই উঠে হঠাৎই ঠিক হলো রুমমেটরা সবাই মিলে মধু'র ক্যান্টিনে খাব। তখন আমার রুমমেট ছিল তিনজন, একজন মাস্টার্সের, বাকী দুইজন অনার্স ফাইনাল ইয়ারের। তারা আবার কলাভবন আর বাণিজ্যের ছিল, আমি ডাবলিং ছিলাম রুমে। এটা ফার্স্ট ইয়ারেরই ঘটনা। তারা তিনজন আমাকে মধু'র ক্যান্টিন চিনাবেন। তাদের কাছে এটা ডাল-ভাত। প্রায়ই তার পাশ দিয়ে আসে, যায়। কিন্তু আমার কাছে মধু'র ক্যান্টিন তখনো একটা বিরাট থ্রিলিং-এর ব্যাপার স্যাপার। যেহেতু ছুটির দিন, আবার অনেক সকাল, তাড়াতাড়ি খেয়ে তাড়াতাড়িই ফিরব, নেতা-ফেতারা আসার আগেই। যেই ভাবা, সেই কাজ। ঝটপট রেডি হয়ে চারজনে মধু'র ক্যান্টিনে চলে আসলাম।

মধুদার মূর্তি দেখে মনে হলো জীবন্ত এক ইতিহাস যেন চোখের সামনে ভেসে উঠলো। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম। ঢোকার পথে বাঁয়ে একটা তুলসী গাছ, তার আশপাশের আয়োজন দেখেই বোঝা যায় মধুদার ছেলে এখানে পূজা-অর্চনা করেন। তিনিই এখন ক্যান্টিনটা চালাচ্ছেন। ভিতরে গিয়ে দেখি সব টেবিল ফাঁকা, তখনো কেউ আসেনি, সাতটার মতো বাজে মনে হয়। ছানামিষ্টি, মাখন মাখানো চিনি-পাউরুটি আর চায়ের অর্ডার দেয়া হলো। অন্য আপুদের কেমন লাগছিল জানি না, আমার ভিতরে একটা চমৎকার ভয়মিশ্রিত ভালো লাগার অনুভূতি টের পাচ্ছিলাম। আপুরা প্রতিমুহূর্তে সতর্ক ছিল, বেশি দেরী করা যাবে না, তাড়াতাড়ি খাও, নেতাদের সামনে না পড়াই ভাল। আমরা খেতে খেতেই তৎকালীন সরকারী দলের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি উনার সহযোগীর হোন্ডার পিছনে করে এসে হাজির। আপুদের কাছে শুনেই চিনলাম। আরো একজন দুইজন ধীরে ধীরে আসছে। ছুটির দিনে এরকম সাত সকালে চারটা মেয়ে দেখে তারাও একটু অবাক। তবে তারা তখনো ভেতরে ঢোকেনি, বাইরে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে। আমরা গপাগপ খাওয়া শেষ করে ভালই ভালই হলে ফিরলাম।


দুইঃ

কোন এক হরতালের দিন। ততদিনে মোস্ট সিনিয়র আপু হল ছেড়ে গেছেন। উনার বাবা ঢাকায় বদলি হয়েছেন, টিকাটুলী ব্রিজের সাথেই যে ১৫ তলা সরকারী এপার্টমেন্টটা আছে (নাম তো ভুলে গেলাম) সেখানে বাসা। ঠিকানা আগেই দেয়া ছিল, অগ্রীম দাওয়াতও ছিল যখনই সময় পাই আমরা যেন আপুর বাসা থেকে বেড়িয়ে আসি। ঐদিনই আমাদের মাথায় ভুত চেপে বসলো, আজকে রাস্তা ফাঁকা আছে, ঢাকা শহরের জ্যামহীন রাস্তায় একটা রিকশভ্রমণ হয়ে যাক্‌। B-) ঈদের সময় তো ঢাকা থাকা হয় না।

বুদ্ধিটা প্রথমে কার মাথায় এসেছিল মনে নেই, কিন্তু প্রস্তাব পাওয়া মাত্রই সবাই একবাক্যে রাজী। কারোরই দেখি ভয়-ডর কিছু নাই, এমনকি আমার জুনিয়র যেটা ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে তারও। এবারও ঠিক হলো সকাল সকালই যাব, রাস্তায় মিছিল বের হবার আগেই, আবার বিকেলে চারটার পর যখন হরতালের তেজ তেমন থাকে না, তখন বা সন্ধ্যার পরে ফিরে আসব। আর পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে না হয় আপুর বাসায় থেকেই গেলাম!

প্রায় সকাল নয়টার ভিতরে কোন আগাম খবর দেয়া ছাড়াই যখন ওই আপুর বাসায় হাজির, উনার তো চোখ ছানাবড়া! তবে আমাদের পেয়ে খুশীও। উনাদের সামনের বাসার আন্টিও এককালে রোকেয়া হলে ছিলেন। সব শুনে বললেন, হুম! হলে থাকলেই সম্ভব এমন দুঃসাহসিক কাজ করা। এখন আমরা সাংসারিক, তাই কত কিছুই করতে পারি না। :(
এরপর সারাদিন বেড়িয়ে, ১৫ তলার ছাদে উঠে নিচে রাস্তার পিকেটিং দেখে, আন্টির রান্না করা মজার মজার খাবার আর আপুর বানানো আইসক্রিম (নতুন বানানো শিখে আমাদেরকে গিনিপিগ বানালো) খেয়ে দেয়ে অবশেষে বিকেলে আরেকটা রিকশাভ্রমণ শেষে হলে ফিরলাম।

নাহ্‌, অতীব দুঃসাহসিক কাজ যে সচরাচরই করতাম, তা কিন্তু নয়। নিজেদের ভাল-মন্দ বুঝে শুনেই চলেছি। আমার তো মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সবারই হলে থাকা উচিত, স্বতঃস্ফুর্তভাবে ‘হাউ টু ম্যানেজ ইয়োরসেলফ’ – এটা হলে থাকলে অনেক ভাল শেখা ও চর্চা হয়।

------------------------------------------------------------------------


এটা এক ফ্রেন্ডের জন্মদিনে তার বাসায় আড্ডায়রত...


কার্জন হলের সেই পুকুরটা, মিলন ভাইর ক্যান্টিনের বিখ্যাত চা, ক্যাফেটেরিয়ার সেই বুটের ডাল দিয়ে অসাধারণ খাসির মাংস (এখনো যেন জিভে লেগে আছে), সব্জি ভাজি, মেডিকেলের ক্যান্টিনের মোগলাই, চারুকলার সেই পানিছাড়া পুকুর/ গর্ত দেখতে যাওয়া, আধাপাগলদের (এটা গোপন কথা, মনে মনে বলছি) নানা উদ্ভট উদ্ভট শিল্পকর্ম দেখতে যাওয়া, যেগুলোর মর্মার্থ বেশিরভাগই বুঝতে পারতাম না, তারই গেটের সামনে পাতায় করে বিরিয়ানী খাওয়া, নবীনবরণের কনসার্ট (হলের ভিতরেরগুলো), হলের সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামগুলোতে দেশের অনেক সেলিব্রেটি তারকাদের দেখতে পাওয়া ও লাইভ পারফরমেন্স দেখা, টিভিরুমের বিশাল পর্দায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে বড় আপুদের কল্যাণে ঠাসাঠাসি করে সবাই মিলে বসে টাইটানিক আর দেবদাস দেখা আর ঘাড় ব্যাথা হওয়া, একুশের ভোরে শহীদ মিনারের ঢল দেখা, বৈশাখে ক্যাম্পাসের ভিড় এড়াতে বুড়িগঙ্গায় নৌকাভ্রমণ, সাতসকালেই ভিড় না থাকার ফলে বইমেলাতে হাত-পা ছড়িয়ে ঘুরে বেড়ানো, নীলক্ষেতের শাহী জিলাপী, নিউমার্কেটের লাচ্ছি, পুডিং, নীরব হোটেলের নানাপদের ভর্তা, হাজীর বিরিয়ানী, কনভোকেশনে ডঃ মাহাথিরের মতো কিংবদন্তীকে দেখা ------------ কতশত, কত হাজার স্মৃতিরা সব ধাক্কাধাক্কি করছে মাথার ভেতর, কোনটা রেখে কোনটা বলি!!!!



সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:২১
৪৩টি মন্তব্য ৪৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×