একটা ঘরের ভিত কতটা মজবুত তা বুঝা যায় যখন ঘরটা কোন দুর্যোগের সম্মুখীন হয়। দুর্যোগের পর ঘরটা যদি অক্ষত থাকে তবে বুঝতে হয় যে ঘরটার ভিত শক্ত ছিলো। ঘরের ভিতের মত আমাদের সম্পর্কগুলো কতটা মজবুত তা বুঝার জন্য দরকার হয় কিছু দুর্যোগের । দরকার হয় আঘাতের। আঘাত সহ্য করে যদি সর্ম্পক ছিন্ন না হয় তখনই বুঝা যায় প্রকৃত সর্ম্পক । তাই সৃষ্টিকর্তা সর্ম্পক সৃষ্টির পর পরই কোন না কোন কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে মানুষকে প্রকৃত সর্ম্পক কিনা তা বুঝতে সাহায্য করে।তাই প্রতিটি সর্ম্পকের কঠিন সময় আসা এবং তার মুখোমুখি হওয়া , সবই সর্ম্পকের জন্যই দরকারী।
দুর্যোগের পর ঘর ভেঙ্গে গেলে আমরা তা আবার নতুন করে আরও শক্তিশালী ভিত দিয়ে গড়ে তুলি যাতে আবার দুর্যোগ আসলে তার মোকাবিলা করা যায়। সর্ম্পকের ক্ষেত্রে নতুন করে গড়ে তোলা কঠিন কিন্তু যারা করতে পারে তারা কখনো কষ্ট পায় না । কারন ধ্বংস হয় নতুন কিছু সৃষ্টির জন্য।
প্রাকৃতি তাই প্রতিনিয়ত ধ্বংস করে । যাতে মানুষ তার জ্ঞান আর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারে । প্রকৃতির এই পদ্বতি মানুষকে সৃজনশীল করে তোলে ।
সর্ম্পক ভেঙ্গে গেলে খুব কম মানুষই নিজেকে সৃজনশীল করে তুলতে পারে। তবে যারা প্রকৃতির এই ধ্বংস ও সৃষ্টির নিয়ম বুঝতে পারে তারা কখনো হতাশ হয় না । নতুন নতুন সর্ম্পক গড়ে তোলে । তাই পৃথিবীর কিছু বিখ্যাত মানুষরা একাধিক সর্ম্পকে জড়িয়েছেন । আর হতাশ না হয়ে পৃথিবীতে কিছু মহৎ সৃজনশীল কর্ম রেখে গেছেন । নেলসন ম্যান্ডেলা তিনবার বিয়ে করেন।
( আমার এই লেখার উদ্দেশ্য হলো সম্র্পকের টানাপোড়নে যেন মানুষের সৃজনশীলতা নষ্ট না হয়)
ধন্যবাদ
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭