১৫ ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করা হল, কিন্তু হত্যার পর বাঙালীদেরই আনন্দ করতে দেখা গেছে, ইতিহাস সাক্ষি রয়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধা রা যুদ্ধ করেছেন মাত্র ৯ মাস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যুদ্ধ করেছেন দীর্ঘ ২৩ বছর। লড়াই করেছেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। জনমানুষের প্রানের নেতা ছিলেন। এখনো দাদু বয়সের লোকদের কাছে বসলেই শোনা যায় তার গল্প। আমাদের খুব দূর্ভাগ্য ইতিহাস ঘুরিয়ে দেই আমরা। হত্যা করি আমরা বাঙালীরাই শেখ মুজিব কে। কেনো হত্যা করা হলো তাকে? কি জন্য? কি দোষ করেছিলেন আমার নেতা?
সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছিলো, যুদ্ধের পর ভয়াবহ অবস্থা ছিলো এদেশের। মানুষকে না খেয়ে বাচতে হয়েছিলো। ১৯৭৪ সালে দেখা দিলো দূর্ভিক্ষ। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় তখন দেশে বাহিরের রাষ্ট্র থেকে প্রচুর সাহায্য সহযোগীতা আসছে বাংলাদেশে। কিন্তু এত সাহায্য সহযোগীতার পরও কেনো মানুষ তখন না খেয়ে থাকে? না সাহায্য সহযোগীতা বাংলাদেশেই আছে, ছিলো। এমনকি এর থেকে একটি কম্পলও নিতে পারেন নাই বঙ্গবন্ধু নিজেও। এদিকে ভারতের মুক্তিবাহিনীর আনাগোনা ছিলো বাংলাদেশে। এর কিছু ছড়িয়ে ছিটা উস্কানিমূলক গোষ্টি প্রচার শুরু করে দেয় যে, বাংলাদেশে আসা সকল সাহায্য সহযোগীতার ভাগ সব ভারত নিয়ে নিচ্ছে। তার পরিপেক্ষীতেই সাধারন মানুষের মনে বঙ্গবন্ধুর উপর কিছুটা হলেও ক্ষোভ জমে আছে, যা প্রমান পাওয়া যায় যখন তাকে হত্যা করা হয় তখন সাধারন জনতারও নীরবতা। আর বাংলাদেশে তখন চলছিলে পদে পদে দন্ড!!! যেমন পাচঁ বন্ধু তিনটি রুটি পেলে কি করবে? যদি তারা সবাই একটি করে রুটি চায়!!! তেমনি তখন ছিলো সেনাবাহিনী থেকে প্রত্যেকটি পদে ছিলো ক্ষমতায় বসার দ্বন্দ। দ্বন্দ হয়েছিলো শেখ মুজিব এর বিশ্বাসী মানুষ জিয়ার সাথেও। তবে জিয়ার এ দ্বন্দ বেশী গড়ায় নাই, এর কারণ জিয়াও শেখ মুজিবকে বেশ সম্মান করতো। কিন্তু ক্ষমতার লোভে অন্যান্য কর্মকতা বিশেষ করে যারা পদচ্যুতি হয়েছেন তারা এবং দলের নেতারা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়ঝন্ত্র শুরু করে দেয়। বিদেশী একজন সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুকে বলেছেন, আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে, কিন্তু বঙ্গবন্ধু তা বিশ্বাস করেন না। এবং তা হেসে উড়িয়ে দেয়। এবার পাঠক আপনিই বলুন কেনই বা বিশ্বাস করবে? বঙ্গবন্ধু তো এমন লোক ছিলেন না? তিনি তো দেশকে ভালোবেসেছেন, দেশের মানুষকে ভালোবাসতেন। বিশ্বাস করতেন। তবে দূর্ভাগ্য তখনকার তার দলের আওয়ামী লীগ নেতারাই তার বিরুদ্ধে মাঠে নামে। এমনকি বর্তমানে যারা আওয়ামী লীগ হয়ে সভা সমাবেশে বড় বড় কথা বলে, অন্যরে দোষ দেয় তারাই সেইদিন বঙ্গবন্ধুর হত্যা করাতে আনন্দ করেছিলো। বঙ্গবন্ধ হত্যার পর দেশের প্রতিটি মানুষই জেনেছিলো। কিন্তু কেউ কোন প্রতিবাদই করে নি!!! কে করবে প্রতিবাদ? বর্তমানে যারা হত্যার বিচারের জন্য চিৎকার করছে মিডিয়ার সামনে তারাই তখন বঙ্গবন্ধুর নামে দুর্নাম ছড়িয়ে বেড়িয়েছেন।
.. জাতির আরো অনেক কিছুর জানার আছে!! অনেক সত্য এখনো লুকিয়ে আছে। ঠিক দেখবেন প্রকাশ পেয়ে যাবে।
....
ইদানিং দেখা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনের রহস্য গুলো ঘিটি খোলার অপেক্ষা করতেছে। তারাই খুলতেছেন যারা এ ঘটনার সাক্ষ্য ছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২৬