somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনের রহস্য, প্রকাশ পেতে শুরু করেছে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৫ ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করা হল, কিন্তু হত্যার পর বাঙালীদেরই আনন্দ করতে দেখা গেছে, ইতিহাস সাক্ষি রয়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধা রা যুদ্ধ করেছেন মাত্র ৯ মাস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যুদ্ধ করেছেন দীর্ঘ ২৩ বছর। লড়াই করেছেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। জনমানুষের প্রানের নেতা ছিলেন। এখনো দাদু বয়সের লোকদের কাছে বসলেই শোনা যায় তার গল্প। আমাদের খুব দূর্ভাগ্য ইতিহাস ঘুরিয়ে দেই আমরা। হত্যা করি আমরা বাঙালীরাই শেখ মুজিব কে। কেনো হত্যা করা হলো তাকে? কি জন্য? কি দোষ করেছিলেন আমার নেতা?
সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছিলো, যুদ্ধের পর ভয়াবহ অবস্থা ছিলো এদেশের। মানুষকে না খেয়ে বাচতে হয়েছিলো। ১৯৭৪ সালে দেখা দিলো দূর্ভিক্ষ। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় তখন দেশে বাহিরের রাষ্ট্র থেকে প্রচুর সাহায্য সহযোগীতা আসছে বাংলাদেশে। কিন্তু এত সাহায্য সহযোগীতার পরও কেনো মানুষ তখন না খেয়ে থাকে? না সাহায্য সহযোগীতা বাংলাদেশেই আছে, ছিলো। এমনকি এর থেকে একটি কম্পলও নিতে পারেন নাই বঙ্গবন্ধু নিজেও। এদিকে ভারতের মুক্তিবাহিনীর আনাগোনা ছিলো বাংলাদেশে। এর কিছু ছড়িয়ে ছিটা উস্কানিমূলক গোষ্টি প্রচার শুরু করে দেয় যে, বাংলাদেশে আসা সকল সাহায্য সহযোগীতার ভাগ সব ভারত নিয়ে নিচ্ছে। তার পরিপেক্ষীতেই সাধারন মানুষের মনে বঙ্গবন্ধুর উপর কিছুটা হলেও ক্ষোভ জমে আছে, যা প্রমান পাওয়া যায় যখন তাকে হত্যা করা হয় তখন সাধারন জনতারও নীরবতা। আর বাংলাদেশে তখন চলছিলে পদে পদে দন্ড!!! যেমন পাচঁ বন্ধু তিনটি রুটি পেলে কি করবে? যদি তারা সবাই একটি করে রুটি চায়!!! তেমনি তখন ছিলো সেনাবাহিনী থেকে প্রত্যেকটি পদে ছিলো ক্ষমতায় বসার দ্বন্দ। দ্বন্দ হয়েছিলো শেখ মুজিব এর বিশ্বাসী মানুষ জিয়ার সাথেও। তবে জিয়ার এ দ্বন্দ বেশী গড়ায় নাই, এর কারণ জিয়াও শেখ মুজিবকে বেশ সম্মান করতো। কিন্তু ক্ষমতার লোভে অন্যান্য কর্মকতা বিশেষ করে যারা পদচ্যুতি হয়েছেন তারা এবং দলের নেতারা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়ঝন্ত্র শুরু করে দেয়। বিদেশী একজন সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুকে বলেছেন, আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে, কিন্তু বঙ্গবন্ধু তা বিশ্বাস করেন না। এবং তা হেসে উড়িয়ে দেয়। এবার পাঠক আপনিই বলুন কেনই বা বিশ্বাস করবে? বঙ্গবন্ধু তো এমন লোক ছিলেন না? তিনি তো দেশকে ভালোবেসেছেন, দেশের মানুষকে ভালোবাসতেন। বিশ্বাস করতেন। তবে দূর্ভাগ্য তখনকার তার দলের আওয়ামী লীগ নেতারাই তার বিরুদ্ধে মাঠে নামে। এমনকি বর্তমানে যারা আওয়ামী লীগ হয়ে সভা সমাবেশে বড় বড় কথা বলে, অন্যরে দোষ দেয় তারাই সেইদিন বঙ্গবন্ধুর হত্যা করাতে আনন্দ করেছিলো। বঙ্গবন্ধ হত্যার পর দেশের প্রতিটি মানুষই জেনেছিলো। কিন্তু কেউ কোন প্রতিবাদই করে নি!!! কে করবে প্রতিবাদ? বর্তমানে যারা হত্যার বিচারের জন্য চিৎকার করছে মিডিয়ার সামনে তারাই তখন বঙ্গবন্ধুর নামে দুর্নাম ছড়িয়ে বেড়িয়েছেন।
.. জাতির আরো অনেক কিছুর জানার আছে!! অনেক সত্য এখনো লুকিয়ে আছে। ঠিক দেখবেন প্রকাশ পেয়ে যাবে।
....
ইদানিং দেখা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনের রহস্য গুলো ঘিটি খোলার অপেক্ষা করতেছে। তারাই খুলতেছেন যারা এ ঘটনার সাক্ষ্য ছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২৬
১৪টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×