somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

☠☠☠☠পরিবর্তন ☠☠☠☠ রহস্য-রোমাঞ্চ-ভৌতিক গল্প

১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
পরিবর্তন///////// ১৪/১০/২০১১




"ওকে কিভাবে তৈরি করা হবে? "

" কেন যেভাবে ভাবা হয়েছিল"

"তাহলে দেরী কেন?"

" শুরু হোক"

" কোথা থেকে শুরু হবে?"

"মাঝ থেকে-মেরুদন্ডের মাঝ থেকে"
..........................................................................................





দিন ১


কোমরের মাঝে প্রচন্ড ব্যাথা।চিনচিনে ব্যাথা। হটাত হটাত ব্যাথার ঢেঊ উঠে ঊঠে আসছে মাথার দিকে। যখন আসে তখন চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করে। আশে পাশে কেউ নেই। একা একা থাকি। কাউকে জানাতে ও পারছিনা।মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হচ্ছে হটাত হটাত। এরকম ব্যাথা কল্পনাই করা যায় না। কি হবে আমার? উফফ- বসলে উঠতে পারিনা। উঠলে বসতে পারিনা। ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। আশে পাশে কোন ডাক্তার ও নেই। কার কাছে যাব। থাকি মফস্বলের এই বাসায়। তাও একা। সকালে অফিসে খাই। রাতে অনেক দুরের হোটেল থেকে খেয়ে আসি। এখন কিভাবে আমি ডাক্তার এর কাছে যাব? একজন ডাক্তার আছেন। কিন্তু তাও অনেক দূরে। দেখি সময় করে যেতে হবে।কিন্তু একা একা কিভাবে যাব বুঝতে পারছিনা। বাসায় কেউ থাকলে ভাল হত।

দিন ৩

সারা দিন শুয়ে আছি। মাথা ভারী হয়ে গেছে। শরীরের মাঝে যেন একটা লোহার শলাকা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। কিছু বুঝতে পারছিনা। কি হবে এখন? উফ আর পারছিনা। ব্যাথা দিন দিন বাড়ছে। হাই ডোজ এন্টিবায়োটিক এও কোন কাজ করছেনা। কিছু বুঝতে পারছিনা।উফ মাথা ঘুরছে অনেক। মনে হচ্ছে যেন মাথায় তরল আগুন। এই আগুনের শেষ নেই। জ্বলছে তো জ্বলছেই ।

দিন ৭

ব্যাথা এখন ছড়িয়ে গেছে সারা শরীরে। আমার হাতের কনুই গুলো প্রায় অবশ এখন। আঙ্গুল গুলো নাড়াতে পারি। কিন্তু কেমন যেন অসাড়। পায়ের দিকে তাকাতে পারছিনা। দেখেই ভয় লাগছে। বাম পায়ের গোড়ালি র দিকটায় যেন কেমন ভাবে বেঁকে গেছে। এর ফলাফল কি হবে জানিনা। এখন কুঁজো হয়ে হাঁটতে হচ্ছে। কিন্তু ঠিক সাধারন কুঁজো না। কেমন যেন বেঁকে গেছে পিঠ। ঠিক উলটো ভাবে। আসতে আসতে যেন উলটে যাবে এমন ই মনে হচ্ছে।

দিন ১১

মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রনা। পা গুলো প্রচন্ড বেখাপ্পা ভাবে বেঁকে গেছে গতকাল রাতে। আমি বুঝিনি কি হয়েছে। আমি শুধু টের পাচ্ছি আমার শরীরের সব কিছু উলটো হয়ে যাচ্ছে। পায়ের দিকে তাকাতে ভয় লাগছে অনেক। গল্পে পড়তাম ভুতের পায়ের পাতা উলটা হয়। এখন আমার নিজের উলটো পায়ের পাতা দেখে কেমন যেন বমি আসছে আমার। প্রচন্ড যন্ত্রনা সারা শরীর জুড়ে। এই কয় দিন কিছুই খাইনি। কেন যেন খিদে লাগেনি। বুঝতেই পারছিনা। আমি কিভাবে না খেয়ে থাকছি এতদিন সেটাই বিশ্বাস হচ্ছেনা। উফ আর ভাবতে পারছিনা।

দিন ১৩
আজকে তের তম দিন। আমাকে এখন আমি নিজেই চিনতে পারছিনা। হয়ত একদিন পর আমাকে আমি নিজেই চিনতে পারবোনা।দাঁত গুলো অনেক লম্বা হয়ে গেছ ভোরের দিকে। কি হবে জানিনা। প্রচন্ড মানসিক চাপ অনুভব করছি। কি হবে জানিনা সব কিছু উলটে গেলে। এখন আমি পুরোপুরি উলটে যাবার অপেক্ষায় আছি।
.............................................................................................


“কেমন হল পরিবর্তন?”

“ অনেক সুন্দর লাগছে ওকে। ঠিক আমাদের মতই”।

“ না আমাদের মত সুন্দর সে নয়। তবে ও যাকে ওর শ্বদন্ত দিয়ে কামড় দেবে-যার রক্ত খাবে তার চেহারা হবে অনেক টা আমাদের মত”।

“ হয়ত...... কে জানে”।

“ হুম এখন আমি সন্তুষ্ট”

“এখন কি করা হবে একে নিয়ে?”

“কেন ? যা পরিকল্পনার শেষ ধাপে ছিল তাই হবে”

“হুম- তাহলে ওকে এখন লোকালয়ে পাঠানো যাক। দেখি ওর থেকে যার পরিবর্তন হবে সে দেখতে কেমন হবে”


“ঠিক। এখন ওকে লোকালয়ে পাঠানো যাক”
..........................................................................................

সুমির কোন ভাবেই ঘুম আসছে না। প্রচন্ড মাথা ব্যাথা বলে ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়েছে। কিন্তু ঘুম আসছেনা।বাইরে চাঁদ নেই। নিকষ কালো অন্ধকার। কিন্তু এক স্নিগ্ধ আলো ঘরে প্রবেশ করছে। রাতে এই আলোকে অনেক উপভোগ করে সে। কিন্তু আজকে অনেক বিরক্ত লাগছে এই আলো। কি মনে করে বিছানা থেকে উঠে এসে বারান্দায় দাড়ালো সে। উদাস হয়ে তাকিয়ে থাকতে থাকতে নিচে রাস্তার দিকে তাকিয়েই কেমন যেন ভয় পেয়ে গেল সুমি। নিচে কেউ যেন হামাগুড়ি দিয়ে হেটে চলেছে। উপর থেকে দেখে অনেকটা কুকুরের মত মনে হচ্ছে। এগিয়ে আসছে ওদের বাড়ির দিকেই। হটাত ঠিক নিচে থেমে গেল সুমি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপর সোজা সুমিদের বাড়ির দেয়াল বেয়ে উপরে উঠতে লাগল। হটাত ভয় পেয়ে গেল সুমি। তাড়াতাড়ি রুমে ঢুকেই বারান্দায় যাওয়ার দরজাটা বন্ধ করে দিল। ও হয়ত জানেনা- কোন ভাবেই জন্তু টাকে আটকানো যাবেনা। সেটা এগিয়ে আসছে সুমির দিকেই////


(সমাপ্ত)
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:২৮
৩৩টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×