রোজ সন্ধ্যে নামার লগ্নে এই শহর প্রচন্ড একাকী বোধ করে।
ক্লান্তিতে নুয়ে পরে গোধূলির লাল দিগন্তে, খানিকটা জিড়িয়ে নেয়ার ছলে-
তন্দ্রার মতন ঘুমিয়ে থাকে। দেখে বুঝা যায় না তার ।
সারাটা শহরজুড়ে কেবল ছুটে চলা, থামবার কোন নিয়ম নেই এখানে তবুও
মনে হয় কোথায় যেন থমকে থাকে সে, অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে কোন অজানায়!
রাস্তার নিয়ন-সোডিয়াম মাখামখি করে দাঁড়িয়ে থাকে এই শহরের অভ্যর্থনায়;
লাল-নীল বাতি জ্বেলে প্রজাপতির দল বলে যায় প্রতিদিনকার নির্ধারিত দিনলিপি!
কেউ কেউ সে প্রজাপতির ডানায় স্বপ্ন মেখে এই শহরে হাঁটতে গিয়ে হারিয়ে যায়, সে
ল্যাম্পপোস্টের মতন সবকিছু দেখে ভুলে যায় নিমিষে, মন খারাপে কেঁদে যায় রাতের চোখে!
তার কান্না কেউ দেখে না, শোনে না! এমনি করে সে কান্নাভেজা ঘুম ঘুম চোখে জেগে থাকে রোজ;
আমাদের মতন করে! তারপর সব ভুলে গিয়ে জেগে উঠে সকালে! ছুটে চলার মতন দাঁড়িয়ে থাকে
দূরত্বের সীমানায়, যা কেউ কখনো দেখেনি কিংবা দেখেছে বুঝেনি !
রোজ সন্ধ্যে নেমে এলেই এই শহর গুলিয়ে ফেলে নিজেকে;
উদাস চোখে তাকিয়ে থাকে শূণ্যতায়, যার কোন মানে নেই আমাদের কাছে !
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২৬