সৃস্টির সেরা জীব কারা?
সহজ উত্তর আমরা মানুষ।
কেন আমাদের সেরা বলা হয়?
এর উত্তরও সহজ। মানুষ বুদ্ধিমান সেই সাথে আবেগ, ভালবাসা,মানবতা,চিন্তা করার ক্ষমতা এই সব কিছু শুধুমাত্র মানুষের মাঝেই আছে।
এই সব কিছু মানুষের মাঝে থাকার ফলে প্রতিটি মানুষের দেশ,সমাজ,সংসার,প্রতিবেশী সবার প্রতি কিছু দায়িত্ত পালন করতে হয়।আর এর মাধ্যমে প্রতিটি মানুষ তার শ্রেষ্ঠত্তের প্রমান দেয়।
আবার এই সব মানুষের মধ্য থেকে এমন কিছু মানুষ বেরিয়ে আসে এবং এই সব মানুষ গুলো এমন কিছু কাজ করে।যা দেখে আমরা হতবাক হয়ে যাই এবং মাঝেমধ্যে মনে হয় আসলেই আমরা কি মানুষ?
মানুষ তার পেটের ক্ষুধা নিবারন করার পরেই,অন্য আর যেই ক্ষুধার তীব্রতা সবথেকে বেশী অনুভব করে তা হলো জৈবিক ক্ষুধা।
আর প্রতিটি নর আর নারীকে এই জৈবিক ক্ষুধা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে।মানুষ তার সব চাহিদা একটি সুনির্দিস্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুরুন করে,আর তা হলো সৎপথে,অন্য কারো ক্ষতি না করে।
আর এই প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে মানুষ যখন কোন কাজ করে তখনি এমন কিছু ঘটনা ঘটে,যা দেখে আমরা শিহরিত হই।
অন্য আর সব কিছুর মত মানুষের জৈবিক চাহিদা পুরুন করারও কিছু প্রক্রিয়া আছে।
মানুষ যখন এই প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে তার জৈবিক চাহিদা মেটাতে চায় তখন ঘটে ধর্ষেনের মত জগন্যতম ঘটনা।
আর সহজ ভাষায় ধর্ষন হলো একজন পুরুষ বা নারী যখন বিপরীত মানুষটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে,তার সাথে জৈবিক ক্রিয়া করে তাকে ধর্ষন বলে।
এছাড়াও নিজের স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধেও যদি সেই ব্যাক্তি এই কাজ করে সেটাও ধর্ষন।
প্রকৃতিগতভাবে পুরুষের চেয়ে নারীরা দুর্বল হয়,আর এর ফলে নারীরাই ধর্ষন আর যৌননিপিড়নের শিকার হয়, সব থেকে বেশী। ঘরে-বাইরে, এমনকি নারীর কর্মক্ষেত্রেও এই ধরনের ঘটনা সবসময় ঘটে চলছে।
গত ১৬ ডিসেম্ভর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে এমন একটি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে,যা দেখে এবং শুনে পৃথিবীর সমস্ত বিবেকবান মানুষ শিউরে উঠেছে।
এই ঘটনায় সমস্ত ভারত জুড়ে তুমুল আন্দোলন শুরু হয়, এই আন্দোলন ঠেকাতে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছিল। আর ধর্ষনের শিকার সেই মেয়েটি জীবনের কাছে হার মেনে না ফেরার দেশে চলে গেছে।
আর পিছনে রেখে গেছে অনেক প্রশ্ন!
আমাদের দেশেও প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ধর্ষনের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু আমরা এর কতটুকু জানি?
বেশীরভাগ ঘটনায় ধর্ষিত নারী চুপ থাকে কারন, আমাদের সমাজের কিছু মানুষ ধর্ষনকারী পুরুষের চেয়ে নারীকেই এর জন্য দায়ী করা হয়।
এছাড়াও আমাদের দেশে একজন নারী তিন বার ধর্ষনের শিকার হয়, প্রথমবার হয় শারিরিকভাবে, এর পরে ডাক্তারি পরীক্ষার সময় এবং সবশেষে মামলা যখন বিচারের জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হয় তখন।
এই জন্য এই ধরনের অনেক ঘটনা চোখের আড়ালেই থেকে যায়।
ধর্ষনের আইনটি যদি পরিবর্তন করে এই রকম করা হয় যে ধর্ষনের শিকার নারীর নাম এবং ছবি প্রকাশ করা যাবে না।
আদালতে তাকে না এনে যে কোন একজন চীপজুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সেই নারী তার জবানবন্দি দেবে।
তার পড়ে তদন্তে যে ব্যাক্তির নাম আসবে সে আদালতে প্রমান দেবে যে আমি ধর্ষন করি নাই।
অনেক কথা হলো এই পোস্ট আমি যে কারনে দিলাম তা হলো সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বেশ কয়েকটি আলোড়ন সৃস্টিকারী ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে।
এর মধ্যে অন্যতম টাংগাইলের ঘটনাটি এর পড়ে সাভারের আর একটি ধর্ষনের ঘটনা।
আর এর প্রতিবাদে বর্তমানে দেশ জুড়ে আন্দোলন চলছে।দলমত নির্বিশেষে বিবেকবান সব মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে।
আসুন আমরাও এর প্রতিবাদ জানাই এবং এর সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবী জানাই।
আমরা কোন দলের হয়ে এই প্রতিবাদ জানাবো না।আমরা দেশের সব বাংলা ব্লগের ব্লগার এবং পাঠক,এর সাথে সাধারন মানুষ যারা কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নয়।
ঢাকায় এই ধরনের প্রতিবাদ জানানোর প্রস্তুতি চলছে,আমারা বরিশালের যারা ব্লগার পাঠক এবং সাধারন মানুষ আছি আমরাও এর প্রতিবাদ জানাই।
আমরা কয়েকজন মিলে একটা তারিখ ঠিক করেছি তা হলো ১০-০১-১৩। আর স্থান নির্বাচন করেছি বরিশাল বি এম কলেজ। এই দিন আমরা মৌন মিছিল করতে চাচ্ছি। এই বিষয়ে কারো কোন মতামত থাকলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগ দিয়ে তা নিয়ে আলোচনা করবেন সেই আশা রাখছি।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এই নাম্বারগুলোতে-
একজন আরমান-০১৯১৮-০৫০৫৮০,
নেবুলা মোর্শেদ- ০১৭২৩-৩৮৮৫৭১,
রাতুল মাহফুজ-০১৭৫২-৭৪৩৮৫১,
মেহেদী হাসান খাঁন-০১৭৪০-৯৭৪৪৫৬,
মিটুল আহমেদ- ০১৭১২-৭৯৫০২৪
এর আগে বাংলা ব্লগ দিবেসর সময় আমি বরিশালের ব্লগারদের খোজ করে তেমন কাউকে পাইনি, আশাকরি এবার পাব। আমি জানি বরিশালে অনেক ব্লগার এবং পাঠক আছেন।
* মূল পোস্টঃ ব্লগার নেবুলা মোর্শেদ
* ব্যানার ডিজাইনঃ ব্লগার রাতুল মাহফুজ ও বাবুরাম সাপুড়ে।
সবাইকে ধন্যবাদ।
আপডেট - ০১
কর্মসূচীর তারিখ ও স্থান পরিবর্তিত হয়েছে। ১০ তারিখের পরিবর্তে ১২ তারিখ শনিবার কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হবে। আর বিএম কলেজের পরিবর্তে অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে অনুষ্ঠিত হবে।
আপডেট - ০২
একটু আগে মাহফুজ ভাইয়ের কাছে ব্যানার করতে দিয়ে আসলাম।আজকের মধ্যেই ব্যানার তৈরি হয়ে যাবে। আর সন্ধ্যায় মিটিং আছে।
আপডেট - ০৩
কর্মসূচীর তারিখ ও স্থান আবারও পরিবর্তিত করা হয়েছে কিছু সমস্যার কারণে। ১২ তারিখের পরিবর্তে ১৩ তারিখ রবিবার কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হবে। আর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের পরিবর্তে বি এম কলেজের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। এইটাই শেষ সিদ্ধান্ত আজকের রাতের মিটিং এ।
১২-০১-২০১৩: বিকেল ৪ টায় মিটিং বিএম কলেজ চত্বরে।
১৩-০১-২০১৩: মৌন মিছিল সকাল ১১ টায় বিএম কলেজ চত্বরে।
আপডেট - ০৪
আজ ১২-০১-২০১২। বিকেলে একটি সফল মিটিং করে ফিরলাম। আগামীকাল সকালে আশা করছি ধর্ষণের বিরুদ্ধে একটি সুন্দর মানব বন্ধন করতে পারবো বরিশাল বিএম কলেজের সামনে।
আপডেট জানা যাবে পরবর্তী পোস্টে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




