কি উপরের শিরোনাম দেখেই চমকে গেলেন?
হ্যাঁ। ঠিকই দেখেছেন।
যা বলছি তাই সত্যি !
আমি - আপনি আমরা সবাই ই ধর্ষক !
ভাবছেন যে -
আমি কীভাবে ধর্ষক হলাম?
আমি তো ধর্ষণের প্রতিবাদ করেছি !
কি-বোর্ড ভেঙ্গেছি বহুবার ধর্ষণের প্রতিবাদ করে !
মসজিদ মন্দির গির্জায় নিয়মিত প্রার্থনা করি।
আমার মতো ভালো মানুষ কয়জন আছে?
আমি তাহলে কীভাবে ধর্ষক হলাম?
উত্তর দিচ্ছি -
আমাদের দেশে একজন ধর্ষিতা তিন বার ধর্ষনের শিকার হয় -
প্রথমবার হয় - শারীরিকভাবে,
এর পরে হয় - ডাক্তারি পরীক্ষার সময়,
এবং সবশেষে - মামলা যখন বিচারের জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হয় তখন।
আর এই জন্য এই ধরনের অনেক ঘটনা চোখের আড়ালেই থেকে যায়। লোক লজ্জার ভয়ে অনেকেই এই ঘটনা প্রকাশ করে না।
কারণ প্রকাশিত হলে তো আমি-আপনি অর্থাৎ এই তথাকথিত সমাজ ধর্ষিতাকে আবার ধর্ষণ করবো ! আমরা ধর্ষিতাকে নিচু চোখে দেখবো। বলবো ধর্ষিতার চরিত্র খারাপ, সব দোষ তার, তার পোশাক শালীন ছিল না (ছয় বছরের বাচ্চার পোশাকও নাকি অশালীন হয় !)
ধর্ষিতার প্রতি আমাদের এই অযৌক্তিক কথাগুলো কি ধর্ষণ করার সামিল নয়?
প্রশ্ন রইলো আপনাদের সুশীল সমাজের প্রতি।
ধর্ষণকারী তো শুধু কিছু সময়ের জন্য ধর্ষণ করে, আর আমরা সেই ধর্ষিতাকেই ধর্ষণ করি তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত !
কোর্টে যখন ধর্ষণের বর্ণনা দেওয়া হয় তা ধর্ষণের কম কিছু নয় !
ধর্ষণের বর্ণনা যখন একজন ধর্ষিতাকে তার মুখ থেকে সবার সামনে বলতে হয় তা কতোটা সুখকর?
উত্তর দিয়ে যাবেন সুশীল সমাজের মান্যগণ্য ব্যাক্তিগন।
ধর্ষনের আইনটি যদি পরিবর্তন করে এই রকম করা হয় যে -
ধর্ষনের শিকার নারীর নাম এবং ছবি প্রকাশ করা যাবে না।
আদালতে তাকে না এনে যে কোন একজন চীপজুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সেই নারী তার জবানবন্দি দেবে।
তার পরে তদন্তে যে ব্যাক্তির নাম আসবে সে আদালতে প্রমান দেবে সে ধর্ষন করে নাই।
তাহলে অন্তত একটিবার ধর্ষিতা কম ধর্ষিত হবে।
আর আমার আপনার মানসিকতা যদি পরিবর্তিত হয় তবে আরও একবার ধর্ষিতা কম ধর্ষিত হবে।
আর ধর্ষকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিৎ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




