somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার ইডেন কলেজ দর্শন কিংবা একটি পরিক্ষা

০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অগ্রণী ব্যাংকে পরিক্ষা দেবার নিমিত্তে দুপুরে জুম্মার নামাজ পড়িয়া লাঞ্চ সারিয়াই বাসা হইতে বাহির হইলাম।B-) ফাল্গুনের জন্য রোদের মাঝে ঠায় দাঁড়াইয়া অপেক্ষা করিয়া করিয়া যখন আষাঢ় শ্রাবণ চলিয়া আসিবার উপক্রম হইলো ঠিক তখন উইনারের দেখা পাইলাম। লাফ দিয়া উঠিয়া পরিলাম। অবাক হইলাম যখন উইনারে একটি সীট পাইলাম বসিবার জন্য ! B:-)(কেন বলিলাম যাহারা উইনারে রেগুলার যাতায়ত করিয়া থাকেন তাহারাই ভালো জানিবেন। ) ;)



চিল্লালিল্লিতে যখন ঘুম ভাঙ্গিল তখন দেখিলাম সিটি কলেজের সামনে।:-< ক'টা বাজে জানার জন্য পকেটে হাত দিতেই মনে পরিল মোবাইল বাসায় রাখিয়া আসিয়াছি আর হাত ঘড়িটা কিছু দিন আগেই ইন্তেকাল করিয়াছে।:| অজ্ঞতা এক ডিজুস ছেলেকে সময় জিজ্ঞেস করতেই এমন একটা ভাব ধরিলো যেন পৃথিবীর একমাত্র ঘড়িটিই তার হাতে আছে। ( মনে চাইছিল ঠাটায়া একটা চড় দেই, সময় স্বল্পতার কারণে আর হয়ে ওঠে নি )X(X((
যাই হোক জানিতে পারিলাম মাত্র ১৫ মিনিট বাকি আছে ৪ টা বাজিতে। ইডেন কলেজের সামনে বাস থামিতেই লাফ দিয়া পড়িয়া চায়ের দোকানের সামনে গিয়া দাড়াইলাম। মাথা ব্যাথার ঔষুধ (চা-টা) খাইতে থাকিলাম আর পর্যবেক্ষণ করিতে লাগিলাম।B-) সবাই দেখি কাউকে না কাউকে নিয়ে আসিয়াছে। নিজের কিঞ্চিত খারাপ লাগিলো, কিন্তু কিছুই করার নাই। /:)এক লোককে দেখিলাম একটা লেডিস ব্যাগ নিয়া বিরস বদনে বসিয়া রহিয়াছে। ;) সময় স্বল্পতার কারণে তাহাকে খোঁচাইতে না পারিবার দুঃখে কিঞ্চিত ব্যাথিত হইলাম। /:)



যাহা হউক দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর শেষে প্রবেশ করিলাম সেই ইতিহাস বিখ্যাত ইডেন কলেজে। B-))ভেতরে ঢুকিতেই দেখিলাম কিছু মানুষ জড়ো হইয়া কি যেন অবলোকন করিতেছে।:-B ভাবিলাম ইহারা বুঝি সাপ খেলা বা বায়স্কোপ দেখিতেছে। ভাবিলাম যাই আমিও উহাদের সাথে যোগদান করিয়া কিছু বিনোদন লাভ করি।B-) কাছে গিয়া বুঝিতে পারিলাম যে তাহারা আসলে সিট নাম্বার খুঁজিতেছে।/:) ( আমি খুবই হতাশ হইলাম সাপ খেলা/বায়স্কোপ দেখিতে না পাইয়া। সিট নাম্বার তো বাসা থেকেই জানিয়া গিয়াছিলাম। )

যাহা হউক একাডেমিক ভবনের তিন তলায় ৩১৪ নাম্বার রুমের কাছে গিয়া হাজির হইলাম। রুমে ঢুঁকিতেই এন্সার স্ক্রিপ্ট হাতে লইয়া সীট খুঁজিতে লাগিলাম। সিট খোঁজা শেষ হইলে আমি একবার পুরো হলের দিকে চোখ বুলাইলাম। কি দেখিলাম ? ! তাহা আর নাই বা বলি। আচ্ছা পাঠকের মন রক্ষার্থে তাও বলিতেছি। পুরো হলে সব আঙ্কেল আর আন্টিতে ভরপুর।:-P তাহারা সবাই তাহাদের ভাতিজাকে অবলোকন করিতেছে আর আমি আমার আঙ্কেল আন্টিদের। ;) এ এক আনন্দ ঘন মুহূর্ত। ;) দেখা দেখির পর্ব শেষ হইতেই গোল আলু ম্যাডাম প্রশ্ন দিয়া দিল। উত্তর দাগাইতে দাগাইতে চোখ চলিয়া গেল ম্যাডামের এসিস্ট্যান্ট এর দিকে। :#>আসলে উনি কি শিক্ষিকা নাকি ছাত্রী বুঝিতে বুঝিতে আমার এক ঘন্টা সময় ই কাটিয়া গিয়াছিল। :!>:#>



পরিক্ষা যখন চলিতেছে তখন আমার পাশের আঙ্কেল আমার দিকে ট্যারায়া ট্যারায় চাইতেছিল। আমি তাহাকে আনন্দের সহিত দেখাইলাম। কারণ কথায় আছে " গুরুজন সেবিছে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর" কিন্তু কিছুক্ষন পর যখন আমি সেই গুরজনকে জিজ্ঞেস করিলাম সে উল্টো বদনে আমার সহিত পল্টি লইয়া এন্সার সিট ঢাকিয়া রাখিল। X(X((
এরপর মনে মনে কইলাম যে আঙ্কেল সাধারণ জ্ঞানে তুমি ভালো হইতে পারো, কারণ আমার জ্ঞান তোমার মতো সাধারণ না, আমার জ্ঞান অতি উচ্চমার্গীয় অসাধারণ।B-)B-) কম্পিউটার, ইংরেজি আর ম্যাথে আমারটা দেখিতে আইসো। এক্কেরে ভালো কইরাই দেইখাইয়া দিবো। B-))B-))

পরিক্ষা শেষ হইলে সেই আপু থুক্কু ম্যাডাম আমার কাছে আসিতে লাগিল। :!>সে আসিবার পূর্বেই তাহার হাতে আমার সিট দিয়া বাহির হইয়া কিছুক্ষন ইডেন কলেজ পর্যবেক্ষণ করিতে লাগিলাম। পর্যবেক্ষণের ফলাফল আর নাই বা বলিলাম। ;)
অনেক যুদ্ধ করিয়া তিনতলা থেকে নিচ তলায় আসিয়া শেষ বারের মতো পিছন ফিরিয়া চাহিয়া একটা মুচকি হাসি দিয়া বাহির হইয়া আসিলাম। B-)

আর এইভাবেই শেষ হইলো আমার ইডেন দর্শন। B-)

উৎসর্গঃ সকল বুঝদার অবুঝ বাংলাদেশীদের। :)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৪৬
৬০টি মন্তব্য ৬০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×