অভিজিৎ রায়ের নির্মম মৃত্যুর এক বছর হতে
চলল।
আমি ভাবছিলাম কী লিখবো সেদিন। এর
মধ্যেই একটা ইভেন্টের নাম দেখলাম
"অভিজিৎ
রায়’রা হারলে হারবে বাংলাদেশ"
অভিজিৎ রায় নিজেকে "মুক্তমনা" বা ফ্রি
থিঙ্কার
বলে দাবী করতেন তাঁর বন্ধুরাও নিজেদের
"মুক্তমনা" বলে দাবী করেন। আমি যদি ভুল
না
করে থাকি তবে এই সকল মুক্তমনারা যাদের
"অভিজিৎ রায়’রা" বলে প্রতিকায়িত করা
হয়েছে
তাঁদের মুল বয়ান হচ্ছে "সকল ধর্ম আসলে
প্রগতির পরিপন্থি, এবং ধর্মকে সমালোচনা
করে
পরিশেষে একটি ধর্মহীন পরিবেশ, সমাজ ও
রাষ্ট্র তৈরিই তাঁদের আশু লক্ষ্য। আমার
জানা মতে
এই সকল মুক্তমনারা সকলেই ঘোষিত নাস্তিক।
ধর্মকে জীবন থেকে নির্বাসন দিলে
উনারা
খুশী হন সেটায় কোন সন্দেহ নাই। " এই
লক্ষ্য ভাল কি মন্দ সেই বিতর্কে আমি
যাবনা।
কিন্তু দেখুন যদি সেটাই তাঁদের লক্ষ্য হয়
তবে
এই লক্ষ্যের সাথে বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং
এর জয়
পরাজয় যুক্ত হয় কীভাবে? বাংলাদেশ
রাষ্ট্র কি
ধর্মের উচ্ছেদের জন্য জন্ম নিয়েছে?
বাংলাদেশ রাষ্ট্র কি মনে করে "ধর্ম
প্রগতির
পরিপন্থি"।
"অভিজিৎ রায়’রা" কি একুশের চাইতেও বড়?
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চাইতেও বড়?
স্বাধীনতার
ঘোষণাপত্রের চাইতেও বড়, যে তাঁদের
রাজনৈতিক বয়ানকে জিততে না দিলে
বাংলাদেশ
নামের দেশটি, স্বপ্নটি, আদর্শটি হেরে
যাবে?