এই ছবির নাম পারসিসটেন্স অফ মেমোরি (The Persistence of Memory) । স্পেনিশ পরাবাস্তব চিত্রকর সালভেডর দালি এই ছবির সৃষ্টিকর্তা । এটি সর্বপ্রথম ১৯৩২ সালে নিউ ইয়র্ক এর জুলিয়েন লেভি গ্যালারীতে প্রদর্শিত হয়। ১৯৩৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এটি নিউ ইয়র্কের মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্টে সংরক্ষিত আছে।
অনেকের মতে এটি আলবার্ট আইনস্টাইনের থিওরি অফ রিলেটিভিটি থেকে অনুপ্রানিত । গলিত ঘড়িটি সময়ের প্রবাহের প্রতিক। তবে দালির মতে, ছবিটি হল , একজন ঘুমন্ত মানুষের স্বপ্নে সময়ের আবর্তন সম্পর্কিত । পরাবাস্তবতার দিক থেকে এটি কে অনেকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন।
এই ছবির নাম হয়ত অনেকের জানা , তবুও আরেকবার বলে নেই , এই ছবির নাম হল দ্যা লাস্ট সাপার (The Last Supper) । এর শিল্পী হলেন বিখ্যাত চিত্রকর লিওনার্দো ডা ভিঞ্চি । এই ছবিটি প্রথমে ইতালির সান্তা মারিয়া দেল গ্রাসি চার্চের দেয়ালে ফ্রেস্কো হিসেবে ডা ভিঞ্চি অঙ্কিত করেন । কিন্তু ভক্তদের অনুরোধে ১৪৯৮ সালে পুনরায় অঙ্কিত করেন যা পৃথিবীর বিখ্যাত পেইন্টিংস এর একটি।
এটি মুলত যীশু খ্রিস্টকে নিয়ে অঙ্কিত। যীশু তার মৃত্যুর আগে শেষ নৈশভোজে তার ১২ জন শিষ্যকে বসে আছেন এই ছবিতে। বাইবেল এর একটি কাহিনিকে কেন্দ্র করে ডা ভিঞ্চি এই ছবি তৈরি করেন। একটি মজার বিষয় হল , আমরা ৭ কে সৌভাগ্যর সংখ্যা এবং ১৩ কে অলুক্ষনে সংখ্যা বলার রহস্য এই ছবিতে রয়েছে। ছবিতে যীশু ৭ম অবস্থানে আছেন বলে ৭ সৌভাগ্য ও যিশুর বিশ্বাস ঘাতক শিষ্য ১৩তম অবস্থানে আছে বলে ১৩ অশুভের প্রতীক । ড্যান ব্রাউনের "ডা ভিঞ্চি কোড" উপন্যাসে এই ছবি সম্পর্কে অনেক তথ্য জানানো হয়েছে।
এই ছবিটি বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে দামী চিত্রকল্প । এর নাম দ্যা কার্ড প্লেয়ারস । এর চিত্রকরের নাম পল স্যাযানে । এই চিত্রকল্পটি পুরুষ মানুষের বিভিন্ন অভিব্যাক্তি ফুটে উঠেছে। ছবির লোকেরা একাগ্রতা নিয়ে কার্ড দেখছে । এর মধ্যে একজন ধূমপান করছে। এই ছবির সাথে চিত্রকর আর চারটি একই বিষয়ের উপর ছবি অঙ্কন করেন । তবে তাঁর সবচে জনপ্রিয় ছবি হল এই " দ্যা কার্ড প্লেয়ারস" ।
পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যায়বহুল ছবিগুলো সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন
এই পর্বের শেষ ছবি । যে ছবি না থাকলে বিখ্যাত ছবির পোস্ট বৃথা হবে।
ডা ভিঞ্চির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির মধ্যে একটি । এর নাম না বললেও চলবে। তবুও জানিয়ে রাখা ভালো এর নাম "মোনালিসা" । ছবির নারীটির রহস্যময় হাসি কেউ একবার দেখলে কখনো ভুলতে পারে না । এই ছবি নিয়ে এখনো ব্যাপক গবেষণা চলছে। একটি বিষয় হয়ত খেয়াল করেছেন মোনালিসার চোখের ভ্রু নেই ।
এটি আমার প্রথম পোস্ট । ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪