somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পিছন ফিরে দেখা ১: সাত (গম্বুজ) মসজিদ

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকেই হয়ত এই মসজিদটি দেখেননি এবং চেনেনও না, কিন্তু সাত (গম্বুজ) মসজিদ রোডের নাম শোনেননি বা চেনেন না ঢাকায় এমন কাউকে পাওয়া হয়ত আমার ধারণা একটু কষ্টকর হবে। আমি নিজেও যখন প্রথম দেখি তখনও জানতাম না এই মসজিদের নামেই এই রাস্তার নামকরণ। মোহাম্মদপুরের কাটাসুর থেকে শিয়া মসজিদের দিকে একটা রাস্তা চলে গেছে বাঁশবাড়ী হয়ে। এই রাস্তাতেই যাওয়ার পথে পড়বে সাত গম্বুজ মসজিদ। চেহারায় তেমন কোন জৌলুস নেই, নেই সেই খোলা প্রকৃতি। নদী কোথায় হারিয়ে গেছে! আমি যখন প্রথম দেখেছি তখনি মসজিদের পেছনের বিশাল মাদ্রাসা বিল্ডিং-এর সামনে যেন হারিয়ে যেত।


অবশ্য তখনও মাদ্রাসার পিছনে নদীর অস্তিত্ব ছিল। এমন একটি স্থাপত্যের সাথে পিছনের মাদ্রাসার দালানটি প্রকট বিসদৃশ হয়ে চোখে লাগত। আর এখনকার পরিস্থিতি বর্ণনা করে আমি পাঠকের দুঃখ বাড়াতে চাই না।

অথচ ডঃ জেমস অ্যাটকিনসনকে এই মসজিদটি ভেনিসের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল। তিনি এর গঠনের নিপুণতা, স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য, আভিজাত্য এবং সহজতার সমন্বয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তিনি বলেছেন কাল, আগ্রাসী জঙ্গল এবং বিরুদ্ধ প্রকৃতি যদিও স্থাপনাটির যথেষ্ট ক্ষতিসাধন করেছে, তথাপি একটি আধ্যাত্তিক স্নিগ্ধ গাম্ভীর্য এটাকে ঘিরে রয়েছে। স্যর চার্লস ডি’ওয়লির আঁকা স্কেচে তিনি মন্তব্য করেছেনঃ "rises immediately from the margin of the river, with an effect at once stately and picturesque. Its neglected domes and arches are now shattered by accidents, and crumbling to decay; yet in the general proportions and character of its architecture, the principles of elegance and simplicity appears to be combined ... Time and vegetation, and storms and sunshine, have not only tinted it with rich variety, but so tempered the vividness of its hues, that a cool solemnity, suited to religious musing, still appears to prevail here."


Album: Antiquities of Dacca
Artist: Sir Charles D'Oyly
Engraved by: J. Landseer
Medium: Etching
First Folio, Plate No.: 17
Plate size: 335 x 265mm. (13.25 x 10.5ins)
Date: 1814
Accompanying text: Dr. James Atkinson
Price at Indoislamca: £425.00


অ্যাটকিনসনের বর্ণনার সাথে এই ছবিটার মিল রয়েছে, কিন্তু এটা এখন শুধুই ছবি।


সাত গম্বুজ মসজিদের এই ছবিটি একটি ম্যাগাজিনের (সম্ভবত The Graphic, Page 544) ইলাষ্ট্রেশন; মূল টাইটেল ছিল ‘Sketches of Ancient Buildings at Dacca, Bengal’. একই পৃষ্ঠায় ৪টি স্কেচ ছিল। আর এই ছবিটির ক্যাপশন ছিল ‘Ruins of Sath Musjid or Seven Dome Tample’.



উপরের এই ছবিটি নেওয়া হয়েছে The Romance of an Eastern Capital বই থেকে। লেখক F. B. Bradley-Birt. বইটি লন্ডন থেকে ১৯০৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। Birt মসজিদের বর্ণনায় বলেছেন, “It is a picturesque building, standing alone on the bank and framed against the low marshland, its seven exquisitely proportioned domes outlined against the sky. In the centre are the three large domes, flanked at the four corners of the mosque by the four smaller ones, each crowning an octagonal tower. Towering above, a slender willowy palm looks down upon them all, adding the last touch of Eastern colour to the scene”.


মসজিদের প্ল্যানঃ plan of the mosque, with its hollow domed turrets.

মসজিদের শিলালিপিটি হারিয়ে গেছে, তাই এর সঠিক নির্মাণকাল জানা যায় না। তবে মসজিদটির নির্মাণ শৈলী বিবেচনা করে এর নির্মাণকাল ১৬৮০ খ্রীষ্টাব্দের কাছাকাছি হিসেবে মনে করা হয়, অর্থাৎ মুঘল স্থাপত্যের একটি নিদর্শন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মসজিদটি লালবাগ দূর্গ মসজিদ এবং খাজা আম্বর মসজিদ এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

Source:
British Library
http://www.banglapedia.org/
http://www.columbia.edu/
http://www.indoislamica.com/
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১২:৪১
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×