somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজও ভুলতে পারিনি সেই মায়াবীনিকে (পর্ব -৭)

২১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজও ভুলতে পারিনি সেই মায়াবীনিকে (পর্ব -৭)


আগের সব পর্ব
আগুনঝরা পলাশ জানান দিচ্ছে
বসন্তের আগমনী বার্তা। থোকা থোকা ফুল যেন আগুন জ্বালিয়ে দেয় প্রকৃতিতে। এ
কারণেই বুঝি একে ডাকা হয় অরণ্যের অগ্নিশিখা। রুদ্র পলাশের রক্তিম বর্ণচ্ছটাও
পলাশের মতোই। আবহমান গ্রামবাংলায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে শিমুলের গাছ।
আকাশে রঙের মেলায় শিমুল যেন ডেকে যায় মধুপায়ী পাখিদের। শ্বেত-শিমুলের ডালেও
দেখা মেলে বুলবুলির নাচন।

'আমি' 'তুমি' এক করে 'আমরা' করতে চেয়েছিলাম ... কখন যে সেটা শুধু 'তুমি' হয়ে
গেছে টের পাই নি ... তাই আজ চেষ্টা টুকু চুলোয় দিলাম .. এই আমি বেশ ছিলাম ..
তুমি তে তাই সব না দিয়ে কিছু না হয় আমিতে রাখলাম !
কথায় আছে “নদীর এক জলে দ্বিতীয়বার পা দেয়া যায় না”, আর আমিও তোকে শেষ
সুযোগ দিয়েছিলাম আজ আমার ভালবাসার নদীতে পা দেবার জন্য, দ্বিতীয়বার আর সুযোগ
দিতে পারব না। আমি নাহয় জলের মতই তোর পায়ের তলে হারিয়ে যাই। হাত বাড়িয়ে
খোঁজার বৃথা চেষ্টা করিস না।
সমস্ত ভালবাসায় শুধু মায়া যা আজকাল চুড়ির শব্দে ভেঙে যায় তাই হলো মানুষের পুড়া চোখের জল, প্রনয়ের তীব্র প্রবনতা কোমল বা পিরিতে কেমন বিষের জ্বালা বেদনার সৌন্দর্যে অতি গভীরে ভাসমান । সমস্ত আয়ুকাল ভেদ করে একদিন জন্মের জরায়ু ছিড়ে এক চাষী অবলার প্রাণে করেছিলো জীবনের চাষ, জীবনের গুলইয়ের উপর বসে কৈশোর রসে ভরপুর যেখানে পরাণ মোহিনী আপনাকে সপে অতৃপ্ত বাসনায় । তবু ক্রমাগত ভাঙনের রেখা ব্যথিত হয়নাই এমন অতীতকে স্পর্শ করে প্রেমকামনার এক রসিক কালো কেশের মাঝে, অজস্র কল্পনার ইন্দ্রধনু রচনা করে যাচ্ছে বিরহের তুলসী পাতার ঘ্রাণ, যেখানে এসে মাথা নত হয় তোমার নামে।

যদি মানুষের অন্তরের কোনো স্বপ্ন কখনো কোনো কারনে ভেঙ্গে চুরে চূর্ন হয়ে যায়,তবে তার দেহের মরণ না হলেও ঠিকই মনের মরণ হয়।

হে পাথর মানবী...

যে পথে আজ আর কোন পথিক নেই সেই পথেই আমি একা নিশ্চুপ পথ হাটি।ব্যস্ততার ঝিঁঝিঁ
পোকাটা আর কোন শব্দে মেতে উঠে না, গুটিয়ে নিয়েছে নিজেকে।সবকিছু আজ হঠাৎএকদম
জমে গিয়ে বরফ হয়ে আছে। ভোরের শিশিরকনা, গোধুলির ধুপছায়া রাতের শুকতারাটির
জ্বলে উঠা অথবা অন্ধকারে জমাট আঁধার আজ সবকিছু মলিন।কোনো কিছুতেই এখন আর
অস্থিরতা জাগে না মনে ..
হয়তো একদিন আমি হারিয়ে যাবো থাকবোনা আর তোমার ঐ দু'চোখে, তুমিও পথপানে চেয়ে
চেয়ে কাটাবেনা বেলা আর আমি বুকে ঝাঁপিয়ে ফুঁফে ফুঁফে কাঁদবনা| কৃষ্ণচূড়া তলে
বসে বারবার তুমি ঘড়ির ডায়ালে কুঞ্চিত চোখ ফেলবেনা| নক্ষত্রের রুপালী কোন এক
জোত্চ্না ভরা রাতে আমি আসবো, জোত্চ্নালোকে ভর করে তোমার শরীরের প্রতিটি জায়গায়
ভালবাসার পরশ দিয়ে স্মৃতির গায়ে একটু খোঁচা দিতে|

হঠাত দেখবে জীবনের লাইনটা এভাবে টুট টুট করে কেটে যাবে এত আনোন্দ উচ্ছাস কেমন যেন উদাস হয়ে দেখবে চারকান্দের সওয়ারী অবস্থায়।রেখে আসবে একা একা । কি হবে ভেবেছ ? কই যাবে এত পরিজন ? যে তোমাকে প্রানের চেয়ে ভালবাসত সেও তোমার কাজে আসবে না!!

অনিদ্র চোখের পাশে রেখেছি মরুর বিদীর্ণতা
কত দিন কাঁদিনি আমি
দেয়া হয়নি এক বিন্দু অশ্রু ফোটা
কত দিন ভাঙ্গেনি বুক; পাথরে চাপা দীর্ঘশ্বাস টা-
চটপট করছে রাতের পর রাত! কষ্ট দেবতা
আসেনি লণ্ডভণ্ড সাইক্লোনের তাণ্ডব নিয়ে
হিমালয়ের বরফ গলেনি
বুকের উপত্যকায় মৃত নদীর চোখ বেয়ে।
কেউ আসেনা’ক। আসবে কখনো আর।
সবপ্নগুলো রঙিন হবে না। সাদাকালো-
তুমি আর তোমার পৃথিবী।
হাজার বছরের কান্তিগুলো-রাখা আছেআছে জমা।বলতেই হবে তুমি ভুল করে পথ চেয়ে আছচাইতেই হবে ক্ষমা।

চারিদিকে খুশির বন্যা তবুও বেহায়া চোখ দুটো পুড়ে| ব্যথার আগুনে পুড়ে কষ্ট গুলো আকাশে হেলান দিয়ে হাসছে| জীবনের শেষপ্রান্তে ঘুম পাড়ানী গান ভেসে আসছে শেষরাতের চিমনি থেকে| এক একদিনের নির্বাসন কত নির্জন কত অন্ধকার কত বিস্বাদ আর অপেক্ষার সময়| পুরো বাড়ি হিংসার লাভায় গলে যাচ্ছে আর আমার ঘরে রক্ত ঝরছে| দেয়ালগুলো মিলিয়ে গেছে বিষাদের ছায়ায়|
তোমার চোখ আধবোজা, আলসেমি কাটে না,ঝরা বকুল আর শিউলীরা সারারাত অস্ফুট সৌরভ ছড়ায়,তোমাকে নবীন সৌরভে সুরভিত করবে বলে।আমি বসে বসে এসব দেখছি আর ভাবছি,কখন তুমি জেগে উঠবে আর আমি বলবো “শুভ সকাল”।

তোমার চোখ আধবোজা, আলসেমি কাটে না,
ঝরা বকুল আর শিউলীরা সারারাত অস্ফুট সৌরভ ছড়ায়,
তোমাকে নবীন সৌরভে সুরভিত করবে বলে।
আমি বসে বসে এসব দেখছি আর ভাবছি,
কখন তুমি জেগে উঠবে আর আমি বলবো “শুভ সকাল”।

পথের কোনো পরিনতি নেই; কোনো গন্তব্য নেই, কোনো দাবি নেই কোনো দায়িত্ব নেই; কোন স্বার্থ নেই কোন ছাড় নেই, কোনো কাঠিন্যতা নেই কোনো কোমলতা নেই; তবুও এপথে হেঁটে চলেছি! ভাল লাগে. এক টুকরো কলংক আর এক টুকরো চাঁদ, এক টুকরো নদীর ঢেউ আর এক টুকরো বাঁধ। এক পশলা পূবি হাওয়ায় এক আসমান ঝড়, একটা পাহাড় আস্ত একা প্রেম পুকুরে পর। একটা মানুষ দুইটা চোখে একলা পোষে জল একলা ওড়ায় নীল আকাশে অবোধ ঘুড়ির দল।
কখনো হিমালয় হতে পারে সমতল
নদী হতে পারে মরুভুমি
তুমি আমাকে যেতে পারো ভুলে
শুধ ভুলব না আমি।

কখনো বাতাস যেতে পারে থেমে
ফুল যাবে ঝড়ে
হয়তো তুমি দূঢ়ে চলে যাবে
কিন্তু ভালবাসা! রয়ে যাবে চিরতরে।

কখনোবা রবির কিরন ম্লান হয়ে যাবে
আকাশ যাবে মেঘে ঢেকে
ভালবেসে তুমি হয়তোবা হবে অন্যের
তবুও মুছে যাবেনা হৃদয় থেকে।

হে প্রেয়সি রেখ তুমি স্মরন
প্রকৃত ভালবাসার, নেই কভু মরন।
********************************
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১৪
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×