somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আরব সিংহ উমর ইবনে আল খাত্তাব- ৩য়পর্ব

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২য় পর্বের পর

মক্কার রাজপথ আজকে যেন দিনের তাপমাত্রার সাথে পাল্লা দিয়ে তেতে উঠছে । সড়কের বাজারে আজও বিভিন্ন দোকানীরা অন্যান্য দিনের মত পসরা সাজিয়ে বসেছে । কেনাকাটার পাশাপাশি বাজারে আগত জনসাধারনের মাঝে কি যেন একটা চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। কাবা ঘরের সামনে নাকি কুরায়শ সর্দারদের এক বিরাট সভা বসেছে আজ। সেই সভায় নাকি নতুন ধর্মের প্রচারের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সেই বিষয়ে আলোচনা হবে। অনেকে উৎসাহী লোকজন বাজার শেষে হাঁটা দিলো সেই জমায়েতের উদ্দেশ্যে ।
কাবা ঘরের সামনে এক বিশাল ঘরে যেখানে প্রায়ই বিভিন্ন গূরুত্বপূর্ন বিষয়ে কুরায়শ সর্দাররা আলোচনায় বসে সেখানে সেই বিশাল সভা বসেছে। সবার কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ, এইমাত্র খবর এসেছে আবদুল্লাহর ছেলে, মোতালিবের নাতি মুহাম্মদ বলেছে তার এক হাতে চাঁদ এনে দিলেও নাকি সে তার ধর্ম প্রচারের পথ থেকে সরে দাড়াবেনা। কুরায়শ সর্দাররা পড়েছে এক বিশাল সমস্যায় যদিও মুহাম্মদের নতুন প্রচারিত ধর্মের অনুসারীদের তারা বিভিন্নভাবে হেয় করা হচ্ছে, কাউকে দূর্বল পেলে তার উপর অমানুষিক অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এর ফলে কিছুটা কাজও হয়েছে , অনেকে এই তল্লাট ছেড়ে আবিসিনিয়ায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছে । সবশেষে ধর্মান্তরিতদের সমাজে করা হয়েছে একঘরে। কিন্ত কুরায়শ বংশের এক সভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেয়ার কারনে এই মুহাম্মদকে কিছুতেই তারা বাগে আনতে পারছেনা। অন্যদিকে মুহাম্মদের একমাত্র জীবিত চাচা আবু তালিব তাকে যেভাবে আগলে রেখেছে তাতে হস্তক্ষেপ করার দূঃসাহস কারও নেই। কিন্ত এদিকে মুহাম্মদকে যেভাবেই হউক থামাতে হবে কিন্ত এই কাজটা কে করবে। আলোচনার এক পর্যায়ে সবাই যখন নিশ্চুপ হয়ে পড়ল তখনই ঘরের নীরবতা ভেংগে উমর আ্ল খাত্তাব দাড়িয়ে উঠে বললো আমিই মুহাম্মদকে হত্যা করব , কুরায়শ সর্দাররা সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো উমরের দিকে । একযোগে সবাই যেন উমরের প্রস্তাবে হাঁপ ছেড়ে বাচঁলো , তবু যেন সন্দেহের রেশ কাটেনা সবার মন থেকে। অধৈর্য্য হয়ে কয়েকজন কুরায়শ সর্দার আবার জিজ্ঞেস করলো আসলেই কি তুমি হত্যা করতে রাজী উমর? উমর দাঁড়িয়ে সগর্বে সকলের উদ্দেশ্যে আবার বলে উঠল আমিই মুহাম্মদকে উচিত শিক্ষা দিব তাকে হত্যা করে। এই বলে উমর বেরিয়ে গেল। অনেকদিনের জমাট বাঁধা আতন্ক যেন কেটে গেল কুরায়শ সর্দারদের মন থেকে তারা আবার মেতে উঠল আগত হজ্বের মউসুমে তাদের ব্যবসা বানিজ্যের গল্প নিয়ে।

মক্কার মরু হাওয়ার সাথে খবরটা মূহুর্তে ছড়িয়ে পড়লো রাজপথে আর অলিগলিতে , মুহাম্মদ অনুসারীরা সাথে সাথে যে যেখানে ছিলো সবাই জড়ো হল নবীর আশে পাশে খোলা তলোয়ার নিয়ে তারা পাহারায় থাকলো আর অপেক্ষা করতে থাকলো উমরের আগমনের । এদিকে উমর তরবারীর খাপ থেকে খোলা তলোয়ার উঁচিয়ে দ্রুত পদক্ষেপে এগিয়ে চলছিলো মুহাম্মদের ‌উদ্দেশ্যে । উমর মনে মনে ঠিক করল আজ সে এই সমস্যার সমাধান করবে শুধু মুহাম্মদকে একলা হত্যা করে নয় বরং তার সাথে তার প্রধান সহযোগী আবু বকর, আবু হামজা এবং আলী সহ যারা এখনও অন্যান্য মুসলিমদের সাথে আবিসিনিয়ার পথে না যেয়ে রয়ে গেছে মুহাম্মদের সাথে তাদের সকলকেও সে আজ হত্যা করবে। আস সাফা পাহাড়ের নীচে দার-আল আরকাম নামক স্থানে মুহাম্মদ আর তার অনুসারীরা বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছে শুনে উমর সেইদিকে রওয়ানা হল ।

উমরের পথ চলার পথে দেখা হল নুয়াম ইবনে আবদুল্লাহ আন নায়ামের সাথে উমরকে দেখে নুয়াম ইবনে আবদুল্লাহ আন নায়াম বলে উঠলেন " কোথায় যাচ্ছ উমর এই খোলা তরবারী হাতে?" উমর রাগান্বিত স্বরে বলে উঠলেন "আমি সেই ধর্মান্তরিতকে (মুহাম্মদ) কে হত‌্যা করার জন্য যাচ্ছি যে কিনা কুরায়শদের আচার আচরনকে তুচ্ছাতাচ্ছিল্য করে , কুরায়শদের এতদিনকার ধর্মকে সমালোচনা করে , আজ আমি তাকে হত্যা করব।" নুয়াম ইবনে আবদুল্লাহ আন নায়াম তাকে বললেন " আল্লাহর কসম তুমি এক সাংঘাতিক কাজ করতে যাচ্ছ যার কারনে বানু আদীয়ার ( উমরের নিজ গোত্র) ধ্বংস তুমি ডেকে আনবে। তুমি কি মনে করে , মুহাম্মদকে হত্যা করার পর তোমাকে আবদ মানাফ (মুহাম্মদের নিজ গোত্র) ছেড়ে দেবে।" এক পর্যায়ে তাদের উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক চরমে উঠলে উমর নুয়ামের দিকে তাকিয়ে বললো " আমার সন্দেহ যদি সত্য হয় আর তুমি যদি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে থাক তাহলে তোমাকেই প্রথমে হত্যা করে আমি বাকীদের হত্যা করব।"

নুয়াম ইবনে আবদুল্লাহ আন নায়াম মনে মনে প্রমাদ গুনলেন কারন এতক্ষন বিভিন্ন কথার ফুলঝুরি দিয়ে উমরকে তিনি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন কিন্ত সে চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে দেখে নুয়াম শেষ অস্ত্র প্রয়োগ করলেন উমরের দিকে। নুয়াম বললেন " উমর তুমি তো মুহাম্মদকে হত্যা করতে যাচ্ছ এদিকে তোমারই পরিবারের সদস্য, তোমার আপন বোন, তোমার বোনের স্বামী তোমার আপন চাচাতো ভাই যে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছে সে খবর কি তুমি রাখো?" এই খবর শুনা মাত্র রাগে অগ্নিমূর্তি ধারন করে উমর রওয়ানা হল তার বোনের বাসায় তাদেরকে হত্যা করার উদ্দেশ্য। বোনের বাসায় পৌঁছে উমর ঘরের দরজায় আঘাত করতে যাবে ঠিক এমনি সময় উমর শুনতে পেলো ঘরের ভেতরে তার বোন আর তার স্বামী কি যেন পড়ছে। উমর দেরী না করে দরজায় আঘাত করলেন । ভেতর থেকে তার বোন জিজ্ঞাসা করলেন কে? উমর জবাব দিলেন "আমি উমর বিন খাত্তাব।" খাব্বাব ইবনে আল আরাত সে সময়ে উমরের বোন আর ভগ্নিপতির সাথে বসে কোরআন পাঠ করছিলেন । উমরের কন্ঠ শুনে ভীত হয়ে খাব্বাব দ্রুত ঘরের ভেতরে যেয়ে লুকালো । ঘরের ভেতরে উমরের বোন আর স্বামী উমরের গলা শুনে ভয়ে তাড়াতাড়ি কোরআনের কিছু আয়াত যে কাগজে লেখে এনেছিলেন সেটা দ্রুত উমরের বোনের পোশাকের ভেতর লুকিয়ে ফেললেন। দরজা খোলামাত্র বাইরের গরম লু হাওয়ার সাথে অগ্নিশর্মা উমর খোলা তরবারী নিয়ে ঝড়ের মত ঘরের ভেতরে প্রবেশ করলেন । রাগান্বিত স্বরে জিজ্ঞাসা করলেন "বোনকে আমি আসার আগে তোমরা কি যেন পড়ছিলে?" বোন তার ভাইয়ের চেহারা দেখে বুঝলেন সত্যি কথা বলা যাবেনা তিনি বললেন "আমরা দুজনে চুপিস্বরে কথা বলছিলাম হয়ত সেটা তোমার কানে গেছে।" উমরের মন থেকে সন্দেহ যায়না উমর বলে "তোমরা কি তোমাদের ধর্ম পরিবর্তন করেছ?" উমরের বোনজামাই আর চুপ থাকতে না পরের বলে উঠে "যদি তোমার নিজ ধর্ম থেকে সত্য যদি ভিন্ন হয়ে থাকে ?" এই কথা শোমা মাত্র উমর নিশ্চিত হয় আর সাথে সাথে সে তার বোনজামাই এর উপর ঝাপিয়ে পড়ে তার বুকের উপর চেপে বসে তাকে হত্যা করার জন্য । স্বামীকে বাচাঁতে মরিয়া হয়ে উমরের বোন এগিয়ে আসলে উমর তাকে হাত দিয়ে মুখে আঘাত করলে বোনের মুখ থেকে রক্ত বেরিয়ে আসে। উমরের বোন রক্তাক্ত মুখে চীৎকার করে বলে উঠে " হে আল্লাহর শত্রু তুমি আমাদের আঘাত করছ শুধু এই কারনে যে আমরা একমাত্র আল্লাহকে বিশ্বাস করি বলে?" উমর রাগতস্বরে জবাব দিলেন "হ্যাঁ এই কারনেই"।

উমরের বোন বলে উঠলেন " তাহলে তোমার যা ইচ্ছা তুমি করতে পার কিন্ত আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ এক তার কোন অংশীদার নেই এবং হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার প্রেরিত নবী ও রসুল"। বোনের এই দৃড়চেতা মনোভাব আর ইসলামের এই তাওহীদের বানী কেন জানি নিষ্প্রভ করে দিলো উমরের ভেতরের অসুরিক শক্তিকে । উমরের নিজেকে হঠাৎ করে খুব পরিশ্রান্ত মনে হল । সে তার ভগ্নিপতির বুকে থেকে নেমে এসে পাশেই মাটিতে বসে পড়লেন এবং বোনকে জিজ্ঞাসা করলেন "কি যেন তোমরা পড়ছিলে সেই কাগজটা আমাকে দেখাও আমি দেখতে চাই সেখানে কি লেখা আছে?" বোন কাদঁতে কাঁদতে বললো "কখোনোই আমি সেটা তোমাকে দেখাবোনা।" উমর কাতর স্বরে বলে উঠলেন "তুমি যা পড়ছিলে সেটা জানিনা কেন আমাকে দূর্বল করে দিয়েছে আমার রাগ, ঘৃনাকে মিশিয়ে দিয়েছে , আমি দেখতে চাই সেখানে কি লেখা আছে।আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি কাগজটা আমি তোমাকে ফেরত দেবো"।

উমরের শান্ত ধীর হয়ে আসা কন্ঠে তার বোন কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করে তাকে বললো তুমি অপবিত্র হয়ে এই পবিত্র আল্লাহর কালাম স্পর্শ করতে পারনা "। উমর তার বোনের নির্দেশ মতে পবিত্র হয়ে আসলে সেই কাগজ উমরের হাতে বোন তুলে দেয় যেখানে লেখা আছে আল্লাহর পবিত্র কালাম। উমর কাঁপা কাঁপা হাতে তুলে নেয় সেই কাগজ , সেই কাগজে লেখা ছিলো সূরা ত্বা হা এবং আরো কিছু সূরার কিছু আয়াত। কাগজের লেখা আয়াত পড়তে গিয়ে উমর দেখে সেখানে লেখা প্রথমে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। উমর যখন আররাহমানির রাহীম পড়তে শুরু করলেন তিনি আচমকা আতন্কিত হয়ে কাগজটা মাটিতে ফেলে দিলেন। তারপর আবার নিজেকে নিয়ন্ত্রনে করে সেই ফেলে দেয়া কাগজটা মাটি থেকে তুলে নিয়ে পড়তে শুরু করলেন।

"আল্লাহর নাম নিয়ে যিনি রাহমানির রাহীম
সূরা ত্বা হা
আমরা তোমার কাছে কুরআন অবতারনা করিনি যে তুমি বিপন্ন বোধ করবে।
যে ভয় করে তাকে তাকে স্মরন করে দেবার জন্য ছাড়া ।
এ একটি অবতারনা তাঁর কাছ থেকে যিনি সৃষ্টি করেছেন পৃথিবী ও সমুচ্চ মহাকাশমন্ডলী।
পরম করুনাময় আরশের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত রয়েছেন।
যা কিছু আছে মহাকাশমন্ডলীতে ও যা কিছু এ দুইয়ের মধ্যে রয়েছে আর যা রয়েছে মাটির নিচে সে সবই তাঁর।
আর যদি তুমি বক্তব্য প্রকাশ কর তবে তো তিনি গোপন জানেন আর যা আরও লুকানো ।
আল্লাহ তিনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই । তাঁরই হচ্ছে সব সুন্দর সুন্দর নামাবলী।"
( সূরা ত্বা হা আয়াত ১-৮)

উমর পড়া শেষ করলেন। কি এক অপার শান্তি উমরের হৃদয়কে আপ্লুত করল। উমর তার বোন কে জিজ্ঞাসা করল " এই সেই আয়াত যা কিনা কুরায়শদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে"। তিনি আবার পড়তে শুরু করলেন কি এক মধুর তৃষ্ণায় । তাঁর চোখ আটকে গেলে এক আয়াতে এস । তিনি পড়লেন একই সূরা ত্বা হা তে ১৪ থেকে ১৬ তম আয়াতে:

"নিঃসন্দেহে আমি ,আমিই আল্লাহ, আমি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই; সেজন্য আমার উপাসনা করো , আর আমাকে মনে রাখার জন্য নামায কায়েম করো।
নিঃসন্দেহে ঘড়িঘন্টা এসেই যাচ্ছে; আমি চাই এ গোপন রাখতে, যেন প্রত্যক জীবকে পুরষ্কৃত করা যেতে পারে তাই দিয়ে যার জন্য সে চেষ্টা করে।
সেজন্য তোমাকে এ থেকে সে যেন না ফেরায় যে এতে বিশ্বাস করে না আর যে তার কামনার অনুবর্তী হয়, পাছে তুমি ধ্বংস হয়ে যাও।"

পড়া শেষ করে উমর উঠে দাড়ালেন । এ যেন এক নতুন উমর চোখে মুখে এক অপার নূরের দ্যুতি উজ্জলতা ছড়াচ্ছে , তিনি দাড়িয়ে তার বোন আর ভগ্নিপতির দিকে তাকিয়ে বললেন " যে এই আয়াত পড়ে আর সেই এক অবিনশ্বরের আরাধনা করে সে ছাড়া আমার কাছে আর কোন ব্যক্তি ইবাদতকারী হিসেবে গন্য হতে পারেনা, তোমরা বল আমাকে মুহাম্মদ কোথায় “? সমস্ত ঘটনা আড়াল থেকে এতক্ষন দেখছিলেন খাব্বাব উমরের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে সে এতক্ষন পর আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে আনন্দের সাথে উচুঁ স্বরে বলে উঠলেন এসব ই মুহাম্মদের দোয়ার কল্যানে ঘটল। গত সোমবার সকলের অনুরোধে মুহাম্মদ আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন আপনার এবং আবু জাহলের যে কোন একজনকে যেন আল্লাহ মুসলিমদের শামিল করে দেন। আজ সেই দোয়া চোখের সামনে বাস্তবে রুপ নিল।" উমর , খাব্বাবের দিকে তাকিয়ে বললেন " কোথায় মুহাম্মদ তার কাছে আমায় নিয়ে চল"।

উমরের পরিবর্তিত অবস্থা দেখে খাব্বাব বললেন " তাঁকে এখন তুমি আস সাফা পাহাড়ের পাদদেশে পাবে।"
এক পরিবর্তিত উমর এগিয়ে চললেন আস সাফা পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। উমরের হাতে নেই এখন সেই উদ্যত খোলা তরবারী এখন সেটি শোভা পাচ্ছে বদ্ধখাপের ভেতর। এক বেদূইন আরব যুবক ছুটে চলেছে এক নতুন ভবিষৎ রচনার উদ্দেশ্য । কে জানত সেই আরবের যুবক মুহাম্মদের পথ অনুসরন করে একদিন মুসলিম ইতিহাসের এক অনন্য খলিফা হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন নিজেকে ।

(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×