সরকারী বদরুন্নেসা কলেজে বোরকা এবং হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ৯০% মুসলমানের দেশে এক অবিশ্বাস্য সিদ্ধান্ত। শুধু বোরকা নয় এমনকি স্কার্ফ বা হিজাবও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ছাত্রীরা স্কার্ফ বা বোরকা পরলে কলেজ কর্তৃপক্ষের সমস্যা কি? যে ছাত্রী স্কার্ফ বা বোরকা পরে তার তো কোন সমস্যা হচ্ছে না। তাকে কেউ জোর করে পরতেও বলেনি। নিজের ইচ্ছা, রুচি ও ধর্মের নির্দেশ অনুযায়ী কোন ছাত্রী ইসলামের পর্দা মেনে চলতে চাইলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাতে বাঁধা দেয়ার কে? কলেজ কর্তৃপক্ষ কি বলতে চাচ্ছে ওই কলেজে পড়তে চাইলে ইসলাম ছেড়ে আসতে হবে?! ৯০% মুসলমানের দেশে মুসলিম ছাত্রীরা ধর্মের নির্দেশ অনুযায়ী ফরজ বা অবশ্য কর্তব্য একটি নির্দেশ পালন তাহলে বদরুন্নেছা কলেজে করতে পারবে না?! কি বুঝাতে চাচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ?! হঠাৎ ওদের হিজাবের প্রতি আক্রোশ শুরু হলো কেন? কোন বিশেষ কারণ কি আছে? বদরুন্নেছা কলেজের ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষামন্ত্রী সহ ছবিটি নিয়েছি। সেখানে মন্ত্রীর সাথে অন্যান্য ছাত্রীদের সাথে স্কার্ফ পরিহিতা একজন ছাত্রীকেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ শুধু বোরকা নয় ওই ধরনের স্কার্ফ পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
অথচ হিজাব, স্কার্ফ বা বোরকা অপছন্দ হওয়ার কথা পরিমল নামের লম্পটদের। কারণ এসব তাদের নষ্ট লালসা পূরণে সহায়ক নয়। স্কার্ফ বা বোরকা ছাড়া ছাত্রীদের তারা ধর্ষন করার সুযোগ সবসময় না পেলেও অন্ততঃ চোখের চাহনি দিয়ে গিলতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাঁধা হয় বলেই কি বদরুন্নেসা কলেজ কর্তৃপক্ষের বোরকা অপছন্দ? তো এখন কি বদরুন্নেছা কলেজ কর্তৃপক্ষ পরিমল নামের লম্পটদের সহযোগী হতে যাচ্ছে? তাহলে কি খোলামেলা পোষাকই তাদের পছন্দ? তারা কি চাচ্ছে স্কার্ফ বাদ দিয়ে খোলামেলা পোষাক পরে ছাত্রীরা ক্লাসে আসুক? স্কার্ফ পরতে বাধাঁ দিয়ে তারা কি মেয়েদের কথিত সুশীলদের লালসার শিকারে পরিণত করার জন্য টাইট জিন্স-টি-শার্ট, এরপর হাফ প্যান্ট-হাফ গেঞ্জি, এরপর আরো ছোট পোষাক পরতে উৎসাহ দিতে চান?
সবসময় বলছি আওয়ামী ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ মানে ইসলাম বিরোধীতা। আর মুসলিম দেশে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের প্রথম প্রকাশ শুরু হয় নারীর হিজাবের উপর আঘাত হানার মাধ্যমে। আওয়ামী লীগ গত ৬/৭বছরে বিভিন্ন স্টাইলে হিজাবের উপর আঘাত করেছে। বিভিন্ন সময় মন্ত্রীরা সরাসরি হিজাব না পরার হুকুম দিয়েছিল। এরপর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একের পর এক হিজাব বা বোরকা না পরার সরাসরি নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। এমন পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে যাতে কামাল আতার্তুকদের মতো আইন করেই একসময় হিজাব নিষিদ্ধ করবে। আওয়ামী ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ আস্তে আস্তে কি সেদিকেই যাচ্ছে?!
স্কার্ফ বা বোরকা লম্পটদের লালসা পূরণে সমস্যা। এ ছাড়া তো আর কোন সমস্যা দেখা যায় না। কোন সাহসে বদরুন্নেছা কলেজ কর্তৃপক্ষ স্কার্ফ বা বোরকা নিষিদ্ধ করেছেন? তাহলে আওয়ামী সরকারের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার বাস্তবায়নের প্রচেষ্ঠা হিসেবে কি এসব করা হচ্ছে? ছাত্রীরা পরিমলদের হাতে ধর্ষিতা হলেই বদরুন্নেছা কলেজ কর্তৃপক্ষের ভাল লাগবে?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮