ধরুন, ৫ জন মিলে একটা খুন করলো। এর মধ্যে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা গেল। এখন বাকি দুই জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারলো না। তাহলে কি বিচার প্রক্রিয়া থেমে থাকবে? নাকি গ্রেপ্তার তিনজন বলবে যে "এই বিচার উদ্দেশ্য প্রনোদিত। কারণ এখানে সরকার শুধুমাত্র তিনজনকে বিচারের আওতায় আনছে। বাকি দুইজনকে বিচারের আওতায় না আনলে এই বিচার মানি না"
আমি আইনের ছাত্র নই। তবে যতদূর জানি গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামীকে নিয়েই বিচার কার্যক্রম চলতে পারে।
এবার আসি আসল কথায়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যত্রম শুরু হতে না হতেই কিছু লোক মিডিয়া, ব্লগ, ফেইসবুক এবং আরো যেখানে যেখানে সম্ভব বলা শুরু করেছে যে বিচারের নামে প্রহসন হচ্ছে। বিচার নাকি জামায়াতে ইসলামী দলকে নিশ্চিহ্ণ করার চক্রান্ত। জামায়াতের সব লোক যুদ্ধাপরাধী নয়। যু্দ্ধাপরাধী যারা তাদেরকে ছাড়া কি জামাত অচল? তবে তো জামাতকে নিশ্চিহ্ণ করতেই হয়।
রাজনৈতিক ফায়দা কথাটা ইদানিং বহুল ব্যবহৃত। কোন অপরাধের বিচার নিশ্চিত করতে গিয়ে যদি কারো রাজনৈতিক ফায়দা হয় তো হলো। এখন আওয়ামীলীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গিয়ে বাছবিচার করছে। যেটা অবশ্যই মারাত্মক ভুল। এই ভুলের মাশুল আওয়ামীলীগকেই দিতে হবে। দুধ কলা দিয়ে কাল সাপ কে বেশি দিন পোষ মানানো যাবে না।
এখন আওয়ামীলীগ যদি আওয়ামী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করে শুধু জামাতীদের বিচার করে তবে সময় তো আছেই। আগামীবার জামাতের দোসর বিএনপি আসলে তখন তাদের বিচার করে রাজনৈতিক ফায়দার ভাগ নেবে। কিন্তু তার আগে বিচার টা শুরু করতে হবে। এমন অনেক দেশ আছে যুদ্ধের বহু বছর পরেও যুদ্ধাপরাধী খোঁজে খোঁজে ধরে বিচারের আওতায় আনছে।
তবে তাই হোক। উদাহরণের দুই আসামীকে ছাড়াই যদি বিচার চলতে পারে তবে এটাও পারে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




