somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোথায় আজ ভারত তোষণকারী আওয়ামী দালালগন? সুন্দরবন বিক্রি হয়ে গেল, কিছু বলেন

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ক্ষমতায় থাকার লিপ্সা, ভারত তোষনের নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে দেশের সাথে বিশ্বাঘাতকতা করে। এর আগে নদীর পানি দিয়ে দেয়া, সীমান্তে হত্যায় মন্ত্রীদের উল্লাস, তিস্তার বুকে বাঁধ দিয়ে ভারতকে পন্য পরিবহন করতে দেয়া, বিনা শুল্কে ট্রানজিটের মত সকল অপকর্মকে ছাপিয়ে ভারতের সহায়তায় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সেরা অপকর্ম করেছে ভারত পালিত বাকশালী-বাম জোট। এ দেশ বাংলাদেশের জনগনের নয় এদেশ বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার এবং তাদের ভারতীয় প্রভূদের দেশ । ওনাদের অন্তরে কেবল আছে - আমার সোনার ভারত,আমি তোমায় ভালবাসি !

প্রিয় জন্মভূমি তুমি আর একবার ধর্ষিত হলে। ক্ষমতার ৫ বছর এভাবে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাধারন মানুষের দৃষ্টি বিভিন্ন দিকে সরিয়ে দিয়ে গোপনেও ধর্ষিত হচ্ছে এই মাতৃভূমি । হে গন জাগরন মঞ্চ , হে মুক্তিযুদ্ধ বেবসায়ী শাহরিয়ার কবির , হে দালাল মুন্তাসির মামুন , হে দেশ প্রেমিক আবুল হোসেনের সমর্থক গন , শেখ হাসিনার পেয়ারা গৃহপালিত বুদ্ধিজীবিগন - আপনারা কি একবার এই ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলার সময় হবে? নাকি রাজাকারের বিচার চাইতে থেকে আর একবার দেশকে ধর্ষিত হতে দেবেন । আমি সিউর কিছুদিন পরেই এসব ভুলাতে রাজাকারের বিচারের রায় দেয়া হবে । আবার অশান্তি শুরু হবে । সবার দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরাতে এভাবেই একের পরে এক খেলা খেলবে আমাদের এই ভারত পেয়ারা আওয়ামীলীগ সরকার ।

কাঁচামাল আমাদের, জমি/ভূমি আমাদের, দ্বিগুণ পরিমাণ তেল আমরা সাপ্লাই দিব, আমাদেরই কৃষিজমি, বসত ভিটা, জল, জঙ্গল, জীবন ও অর্থনীতি ধবংস করে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। তারপরও মাত্র ১৫% বিনিয়োগ করে আর দাতা সংস্থার কাছ থেকে ঋণের ব্যবস্থা করে (এই ঋণ আমাদেরই পরিশোধ করতে হবে) অন্যায়ভাবে ৮৫% মালিকানা তুলে দেয়া হল ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসির হাতে আর সেই এনটিপিসি নিজের ইচ্ছামত চড়া দামে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আমাদের কাছেই বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা লুটবে। এই সব কিছুই ভয়াবহ ভারতীয় লুণ্ঠনের পথ প্রশস্ত করে দিবে যে লুণ্ঠন ঔপনিবেশিক আমলের অবাধ লুণ্ঠনের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। খোদ ভারতের মাটিতে বিনিয়োগ করেও এতো মুনাফা লুটতে পারবে না কোন ভারতীয় কোম্পানি। কিন্তু ভারতীয় লুণ্ঠন আর আধিপত্যবাদের কাছে জাতীয় স্বার্থকে বিকিয়ে দেয়ার এটাই শেষ পদক্ষেপ না, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিক্রি করে যে পরিমাণ মুনাফা করবে ভারতীয় কোম্পানি তার পুরোটাই যেন ভারতে নিয়ে যেতে পারে তার জন্য কোম্পানিকে ১০ বছরের কররেয়াত সুবিধা দিয়ে দিল সরকার। এই কররেয়াত সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা লোকসান মেনে নিয়ে সরকার ভয়াবহ ভারতীয় লুণ্ঠনের পথ প্রশস্ত করে দিচ্ছে। এ ধরনের অন্যায্য, অসম চুক্তি যা সম্পূর্ণ ভাবেই বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো হয়েছে কিনা আমাদের জানা নেই। এ ধরনের অসম চুক্তি স্বাক্ষরের মানে হচ্ছে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদী পুঁজির অধীনস্ততা মেনে নেয়া। এই অন্যায্য চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী ভারতের নয়া উপনিবেশবাদী শোষণ নিপীড়নকেই তরান্বিত করা হবে।

এই রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে ভারতীয় কোম্পানির সাথে যে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী চুক্তির আয়োজন পাকাপোক্ত করা হল তার প্রতিবাদে বিরোধী দল বিএনপি জামাত জোটকেও আমরা উচ্চকণ্ঠ হতে দেখি নাই, এত গুলো হরতাল দেয়া হল কোথাও এই সুন্দরবন বিধ্বংসী চুক্তির ইস্যু অন্তর্ভুক্ত করা হল না! গণতান্ত্রিক কাঠামোতে বিরোধী দলের দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী যে কোন কার্যকলাপের কার্যকর প্রতিবাদ জানানো। এই দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ অবহেলা করে বিরোধী দল বাংলাদেশে চলমান ভারতীয় লুণ্ঠনকে পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

ভারতের কোম্পানির সাথে চুক্তির বিভিন্ন শর্ত এবং প্রস্তাবনায় সম্পূর্ণ ভাবে বাংলাদেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতীয় লুণ্ঠনকে তরান্বিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে এ চুক্তি স্বাক্ষরের তীব্র প্রতিবাদ জানাই । বিদ্যুৎ সংকটের অজুহাতে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সুন্দরবন বিধ্বংসী ও প্রাণ পরিবেশ, পরিবেশ, জীবন জীবিকা ধ্বংসকারী কোন প্রকল্প মেনে নেয়া যায় না। তাই অবিলম্বে সুন্দরবন বিধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প বাতিল করতে হবে।

লেখাটির কিছু অংশ সংগৃহীত । আরও তথ্য ভিত্তিক খুঁটিনাটি বিস্তারিত জানতে পড়ুন ঃ
View this link
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯
১৮টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×