আপনাদের নিশ্চই মনে আছে রাজিবের মৃত্যুর খবর শুনে আমি একটি পোস্টে বলেছিলাম। ব্লগারদের কোন নেতা নেই। আমরা সবাই নেতা, সবাই কর্মী, সবাই স্বেচ্ছাসেবক। আমরা কোনো যশ চইনা, খ্যাতি চাইনা, প্রতিষ্ঠা চাই না। আমাদের একটি দাবি তা হল যুদ্ধ অপরাধী মুক্ত বাংলাদেশ গড়ব। আমরা শাহবাগে অবস্থান নিয়েছিলাম আমাদের বিবেকের তাড়নায়। আমরা সঠিক বিচার পাই নি বলে। প্রথম প্রথম আমাদের অভ্যুথ্যান কিংবা সঠিক বিচারের দাবি টনক নড়িয়ে দিয়েছিলো।
কিন্তু বাস্তবতা হল হঠাৎ পাশার দান ঘুরে যেতে থাকে। ব্লগার বলতে এখন সাধারণ মানুষ মনে করে ব্লগার এর সমর্থক শব্দ নাস্তিক। বলুন এ ভুল ধারনা খুব দ্রুত কিভাবে ভাঙানো যায়। আমরা যারা ব্লগ লিখি তারা সবাই নিজ উদ্দোগ্যে মনের ও জ্ঞানের তৃপ্তি মিটাতে লিখি ও শিখি।
ডাঃ ইমরান সাহেবের আগমন ও উত্থান আমাকে অবাক করে দিয়েছে। কে এই ডাঃ ইমরান? কে তাকে ব্লগারদের নেতা সাজতে বলেছে। কেনো তিনি তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবহার করে সভা করছেন? এমন তো কথা ছিলো না। ব্লগারদের মুখপাত্র সকল ব্লগার। আমরা সবাই মূখপাত্র আবার সবাই সাধারণ ব্লগার। ডাঃ ইমরান কথা বলার কে? তিনি বার বার মিডিয়া ফেইস করার কে। তার আগমনের পর থেকে ব্লগার সমাজের দাম কমে গেছে। তিনি কি কোনো মেজরেটি ব্লগারের সাপোর্টে ব্লগারদের নেতা বলে নিজেকে দাবি করছেন।
ডাঃ ইমরান কে কারা ব্লগারদের মুখপাত্র বানিয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র সে হলে আমরা অপমানিত বোধ করি। দু’দিনের বৈরাগী আমরা চাই না। আমরা যে অহিংস আন্দোলন শুরু করেছিলাম তার শেষ হতে পারতো অনেক সুন্দরভাবে। অহেতুক মোল্লা সমাজ ও সাধারণ মানুষ আমাদের ভুল বুঝতো না। যে বাংঙালী আইয়ুব খানের মতো সামরিক ও আমলা শক্তি সমৃদ্ধ আইয়ুব খানকে কুপোকাত করতে পেরেছিল তার সামনে নিজামী, গোলাম আজম কিংবা চান্দে বাস করা সাঈদী ছিলো নগন্য ব্যপার মাত্র কিন্তু ঐ ডাঃ ইমরান সাহেব মুখপাত্র সাজার পর এই গণ জাগরণ কে সবাই ভিন্নখাতে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আমাদের এখন হিসাব করে দেখতে হবে জামায়াত বা শিবির এই ডাঃ ইমরান নামের ডামিকে আমাদের মুখপাত্র হিসেবে আমাদের ঘারে বসিয়ে দিয়েছে কিনা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




