চেয়ে দেখো আকাশে আজ নতুন সূর্য চিক চিক করে যেগে উঠেছে। রঙ্গীন ঘোর দিয়ে যারা আমাদের নিজের দিবাকরকে সান বানিয়ে রেখেছিলো তারা আজ চিন্তুত। কিন্তু আমাদের মাথার উপর যে নজরুলের হৃদয় দিয়ে সম্মান করা কবিন্দ্র রবিন্দ্রনাথ নামের চীর সত্য “রবি”কে পুস্তকে কিংবা কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কোনো রাজনীতিক দলভুক্ত দালালদের বক্তৃতার মধ্যে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো। যিনি লিখেছিলেন সভ্যতার সংকট। সেই পরম রবির আদর্শই আজ তোমার আমার ও জনসাধারনের হিয়ায় বিষের বাঁশীর মতো বেজে উঠছে। তাতে আজ একটি মাত্র সুর বেজে উঠছে এই আধুনিক ও নতুন ভার্সনের আবুজাহেল, রাবন দের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ), ইমাম হোসাইন, মুসা, মুসলিম জাতির পিতা যে আবু জাহেল, এয়াজিদ, ফেরাউন, নমরুদ লাঞ্চনা ও খেলার পাত্র মনে করে ছিলেনছিলে। আমাদের প্রিয় নবী মোহাম্মদ (সঃ) কে তৎকালীন সমাজ পাগল ভেবে গায়ে পাথর মেরে ছিলো। ইমাম হাসানের সত্য ও ন্যায্য ধৈর্যের কাছে আজও এই নিখিল বিশ্বের সকল সৃষ্টিকে খেলনার মতো মনে হয়। তারা যে ঈশ্বর প্রেরীত বানী নিয়ে এসেছিলো তারা যে মানবতার ঊর্ধে যে পরম পিতা ঈশ্বরের স্থান তারই প্রমাণ দেখিয়েছেন। আজ নিখিল বিশ্ব তাদের মেনে নিয়েছেন। রাবনের মায়াবি জাল ফেলে সিতার পিছনে সোনার হরিণ লাগিয়ে যে রাম কে রাবন পারিবারিক বলয়ে আবদ্ধ করে রাখতে চেয়েছিলো। সেই রাম যে রাবনের এতো বড় সম্রাজ্য ভেঙ্গে দেবার জন্য জন্মেছিলো তা রাবন ঐ সিংহাসনে বসে বোঝে নি। আজ এই রাজনৈতিক নামের আবুজাহেল ও রাবন এর সম্রাজ্য ভেঙে দেবার সময় এসেছে। ভেঙ্গে দাও ঐ রাজনৈতিকদের অট্টলিকা সম বাড়ী। যা ওরা শুধু তোমাকে আমাকে ধোকা দিয়ে নয় তার সাথে তোমার আমার পিতা, পিতামহদের রক্ত চুষে গড়ে তুলেছিলো। আজ কাকে তুমি রিকশাওয়ালা, মজুর, শ্রমিক বা চাষি বলে এরিয়ে যাচ্ছো? আরে বন্ধু তাকিয়ে দেখো তোমার আমার এক দু’পুরুষ আগের মানুষদের প্রতিচ্ছবি এই সাধারণ। তাদের ঋণের জালে বন্দি করে, জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ ও দেওয়ানী ও ফোজদারী মামলার নাম করে যে উকিল ব্যরিষ্টার, ম্যাজিষ্ট্রেটরা, জজ, বিচারপতি, রাজনৈতিক নামের সুবিধাভোগীদের ঐ রক্তে গড়া সম্পদের প্রতিটি সম্পদের হিসাব আজ সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। বাংলার প্রশাসন, বাংলার আর্মি, বাংলার আধাসমরিক বাহিনী তথাকথিত রাজনৈতিক মদদপুষ্ট বুদ্ধিজীবি নামের পরজিবীদের আজ জনগণের কাঠগোড়ায় এসে জবাব দিতে হবে। বন্ধু এই সাধারণ মানুষের রক্ত দেখে আর যে নিজেকে ধরে রাখতে পারছি না। মনে পরছে তোমার আমার নানা নানীদের কথা। এতো তাড়তাড়ি কিভাবে ভুলে গেলে সবকিছু। রাজনৈতিক জনপ্রসাসন ও সামরিক বাহিনীকে আমি স্পষ্ট ভাবে বলে দিতে চাই তোমাদের যখন এতো রক্ত ঝড়ারাড় ইচ্ছে। আমাকে মারো কিন্তু সাধারন মানুষকে আর মেরো না। ওরা যে তোমার আমার পূর্বপুরুষদের প্রতিচ্ছবি। ওরা যে নিস্পাপ!!! বন্ধু!!! এই জীবন এই শরীর আমায় আল্লাহ্ দিয়েছে। হয়তো তোমরা আমার শরিরকে ছিন্ন ভিন্ন করে দিতে পারবে কিন্তু আমার হৃদয়ে জ্বলে ওঠা যে সত্য সুন্দর পরমআত্মা বিরাজ করছে, যে নীতি আমার মাঝে বিরাজিত, যে আদর্শকে আমি লালন পালন করে আজ তোমাদের সামনে তুলে ধরেছি তাকে তোমরা কিভাবে ছিন্ন ভিন্ন করবে। ও যে সত্য? ও যে চিরশান্তির প্রতিরূপ, ও যে তোমার আমার সকলের মাঝে লুকায়িত সত্য। তাকে আজ জাগ্রত করার সময় এসেছে। আর বসে থেকো না। এবার জেগে ওঠো। তোমরা কেনো বুঝছো না। আর একবার বাঙালী সচেতন হলে এ বিশ্ব ভিসা মুক্ত হবে। বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দেবে পাসপোর্ট ভিসার নামে পৃথিবীকে ভাগ করা হয়নি। হয়েছে শুধু কিছু শ্রেণীর নিরাপত্তা নিশ্চিত। আসো এ চির সত্য সুন্দরকে সবার মাঝে জাগ্রত করি। মানবতা ও মুক্তির বানীকে তোমরা ছড়িয়ে দাও। তোমার ভিতরের শক্তিকে তোমরা তোমার পথ চলার প্রেরণা করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দাও। আমরা যে বিশ্ব মায়ের সন্তান। আর বিশ্বমাকে যারা চালাচ্ছেন তারা আমার বাংলা মায়ের অধিকার হরন করে তাকে গরীব সাজিয়ে রেখেছে। তোমার মায়ের মুখের দিকে একবার তাকাও। তোমার বাবার জীবন সংগ্রামে বেঁচে থাকাকে একবার কল্পনা করো, দেখবি তোমার হৃদয় এমনিতেই গোলাপের মতো প্রষ্পুঠিত হবে। আর তোমার সেই গোলাপের সুঘ্রান ছড়িয়ে যাবে সবার মাঝে। গোলাপ আর সত্য দুটুই যে স্রষ্টার সৃষ্টি। সেই সত্য গোলাপ তোমার হৃদয় নাড়া দিবেই।
সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার দিন এসেছে : : হৃদয়ের সত্য গোলাপের সুঘ্রান সবার মাঝে ছড়িয়ে দাও।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
=স্মৃতির মায়ায় জড়িয়ে আছে মন=

ঘাস লতা পাতা আমার গাঁয়ের মেঠো পথ, ধানের ক্ষেত
জংলী গাছ জড়ানো লতাবতী - আহা নিউরণে পাই স্মৃতির সংকেত,
রান্নাবাটির খেলাঘরে ফুলের পাপড়িতে তরকারী রান্না
এখন স্মৃতিগুলো পড়লে মনে, বুক ফুঁড়ে বেরোয় কান্না।
ফিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন
'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।