“যে ভেঙে সব গড়তে জানে, সে চীর সুন্দর”- নজরুল বলেছিলেন। সত্য দিবাকর কখনও অনেক উত্তপ্ত হয়ে ধরা দিয়ে আবার নরম ভাবে অস্তমিত হয়। সকালের রবি কত কত সুন্দর, সেই দুপুরের সূর্য আবার কতো তেজী, আর বিকেলের রবির দিকে তাকিয়ে দেখো কতো রহস্যময় ও কি রাঙ্গা। এই সত্যি যদি তোমার উপলব্ধি বোধকে দখল করে সত্য সুন্দর হয়ে ধরা দেয় তাহলেই তুমি জোৎস্না রাতের চাঁদ কিংবা ঐ সুদুরের কোনো নাম না জানা তারার মধ্যে স্থান করে নিতে পারবে। আজ এই সত্য বোধকে তোমাদের মাঝে জাগ্রত করার জন্যই চির দিন, যুগে যুগে, শতাব্দীতে শতাব্দীতে আমাদের আবির্ভাব। চেয়ে দেখো বন্ধু যে সাধারণদের ঠকিয়ে তুমি আজ অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছো যারা তোমার এই অভিনয় জেনেও তোমাকে কঠিন কোন শাস্তি দেয়নি। তোমার অন্যায় আবদার মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলো, তারাই আজ তোমাকে সত্যের কাছে সমর্পিত হতে বলছে। ভয় পাচ্ছো? আরে বন্ধু কিসের ভয়ে? তুমি কি এই বুড়ো হয়ে যাওয়া কে ভয় পাচ্ছো? প্রকৃতির নিয়মকে যে অস্বীকার করা যায় না? আজ যে মার্বেল পাথরের প্রসাদ, তোমার অঢেল সম্পদের আস্তাকুর, তোমার ওয়ারিশ কিবাং তোমার ঐ খারাপ বখে যাওয়া বন্ধু তোমাকে বুড়ো ভাবতে পারে। আরে ওরা তো জানে না মানুষের এই দেহ বুড়ো হতে পারে। মানুষের গড়া ঐ সম্পদের পাহাড় বুড়ো হতে পারে, ঐ পাপের বোঝা বুড়ো হতে পারে, ঋণের নামে লোনের বোঝা বুড়ো হতে পারে, কিন্তু তোমার মনের মাঝে সেই সত্য সুন্দর কখনও বুড়ো হয় না। ও যে স্রষ্টার শক্তি। আরে ও যে সত্য সুন্দর। সত্য চির যৌবনা। যে মানুষকে মুক্ত করার সত্য আদর্শ নিয়ে তুমি সমাজের সাধারণ মানুষের কাছে এসেছিলো, সে সত্য আদর্শ আজও তোমার মনে টিপ টিপ করে জ্বলছে। আজ শুধু বাংলাদেশী জাতির জন্য নয় সারা বিশ্বের ভালোর জন্য আবার তাকে জাগানোর সময় এসেছে। যে সাধারণ মানুষের ভয়ে নিরাপত্তা নামক যে পাপিকে তুমি লুকিয়ে রখাছো। তাকে আর তুমি আটকে রেখো না বন্ধু। ফিরে এসো সেই সাধারণের মাঝে। তোমার ছোট্ট এই মানবজীবনকে আজ যে সত্যিকার অর্থে আদর্শ করে সবার ঊর্ধে মানবতার জয়গাথা গেথে রাখবার সময় এসেছে। যে তুমি অসহয়ের মতো অঢেল অর্থ বিত্তের মাঝে থেকেও বিবেকের সত্যের কাছে নিত্যদিন পুরে পুরে মরছো, মার্বেল পাথরের প্রসাদসম বাড়ীর মধ্যে অর্থ বৃত্তের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রেখেও মানুষকে জিম্মি করার অভিশাপের কান্না করে দু’চোখ জলে ভরিয়ে দিচ্ছ, সেই সুন্দর পরমাত্না বিবেকের কাছে তোমাকে সপে দাও, সাধারণ মানুষের মাঝে আবারও তোমার ঐ সুন্দরকে জাগ্রত করো, প্রতিষ্ঠিত কর সেই সত্যকে, যে সত্যের জয়গাঁথার জন্য তুমি রাজপথে নেমেছিলে, আবারও একবার রাজপথে নেমে দেখো। তুমি হয়তো নিজেকে পাপি ভাবছো। আরে পাপির জন্যও পাপ মোচনের সুযোগ থাকে। কিন্তু পাপকে পাপ বলে স্বীকার করে নিতে হয়। আজ সেই জনগনের আদালতে সত্য বলার সময় এসেছে। নিজেকে আর নিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখো না। তাহলে তোমাদের গড়ে তোলা সভ্যতাই যে বঞ্চিত হবে? আজ জনগণের মধ্যে এসে তোমার চোখের জল ভাগ করে দাও দেখবে সেই জল সবাই ভাগ করে নিবে। সাধারণ মানুষের কষ্টের কান্না, অভিশাপের কান্না জলীয়বাস্পের মতো মেঘ তৈরি করে, আর সেই মেঘ যখন ভারি হয়ে কালো হয় ঠিক তখনই বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরে আর সেই বৃষ্টির জলেই হয় নতুন ফসল। আমরা যদি নতুন দিনের নতুন ফসল হই তাহলে তুমি সেই কালো মেঘ। কালো টাকা যখন তোমরা নিত্যদিন কৌশলে সাদা করতে পেরেছো তাহলে ঐ আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো ঝরে পরতে পারবে না কেনো বন্ধু? নইলে তো সব নতুন ফসল ওরা আবারও কেড়ে নেবে। যারা কেড়ে নিয়োছিলো তোমার সেই সদ্য তরুনে ফুটে ওঠা আত্মসম্মানকে, তোমার যে সত্য সুন্দর অনির্বান কে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে রাজণীতিতে এসেছিলে আজ সেই রাজণীতিকে ঠেলে সাজাও বন্ধু। ও যে রাজণীতির নামে তোমার দাদা, নানা বা পুর্বপুরুষদের ভালোভাবে বাচঁতে না দেওয়া শক্তির নাম। জীবনের শেষ বা শুরু বলতে কিছুই নেই। মৃত্যুর শেষ বা শুরু বলতে কিছুই নেই। সুন্দরের শেষ বা শুরু বলতে কিছুই নেই ও যে তোমার আমার মনের লোভ, লালসা, বাসনা, কুসংস্কার, হানাহানি, নষ্টরাজনীতির নামে নিজের ইস্পাতসম মরিচার নাম। শুরু বা শেষ হয় একটি দেহের একটি আদর্শের নয়। আসো, ফিরে আসো দেখবে সব তোমার সেই যৌবন বেলার আদর্শের মতোই সত্য। মানবাতার মঙ্গল স্রষ্টার কাছে চাইতে হয় না। শান্তি ও সুন্দর প্রতিষ্ঠার কথা স্রষ্টার কাছে চাইতে হয় না। তিনি তো অমৃত হিয়া, তিনিই তো সকল সুন্দরের থেকে সুন্দর। চেয়ে দেখো সেই সুন্দর তোমার হৃদয়ে লুকায়িত।
জাগাও সেই সুন্দরকে। মানুষের মাঝে ফিরে এসো সত্যসুন্দর হয়ে।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন
=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?
যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!
যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।
কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।
ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।