somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাগাও সেই সুন্দরকে। মানুষের মাঝে ফিরে এসো সত্যসুন্দর হয়ে।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

“যে ভেঙে সব গড়তে জানে, সে চীর সুন্দর”- নজরুল বলেছিলেন। সত্য দিবাকর কখনও অনেক উত্তপ্ত হয়ে ধরা দিয়ে আবার নরম ভাবে অস্তমিত হয়। সকালের রবি কত কত সুন্দর, সেই দুপুরের সূর্য আবার কতো তেজী, আর বিকেলের রবির দিকে তাকিয়ে দেখো কতো রহস্যময় ও কি রাঙ্গা। এই সত্যি যদি তোমার উপলব্ধি বোধকে দখল করে সত্য সুন্দর হয়ে ধরা দেয় তাহলেই তুমি জোৎস্না রাতের চাঁদ কিংবা ঐ সুদুরের কোনো নাম না জানা তারার মধ্যে স্থান করে নিতে পারবে। আজ এই সত্য বোধকে তোমাদের মাঝে জাগ্রত করার জন্যই চির দিন, যুগে যুগে, শতাব্দীতে শতাব্দীতে আমাদের আবির্ভাব। চেয়ে দেখো বন্ধু যে সাধারণদের ঠকিয়ে তুমি আজ অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছো যারা তোমার এই অভিনয় জেনেও তোমাকে কঠিন কোন শাস্তি দেয়নি। তোমার অন্যায় আবদার মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলো, তারাই আজ তোমাকে সত্যের কাছে সমর্পিত হতে বলছে। ভয় পাচ্ছো? আরে বন্ধু কিসের ভয়ে? তুমি কি এই বুড়ো হয়ে যাওয়া কে ভয় পাচ্ছো? প্রকৃতির নিয়মকে যে অস্বীকার করা যায় না? আজ যে মার্বেল পাথরের প্রসাদ, তোমার অঢেল সম্পদের আস্তাকুর, তোমার ওয়ারিশ কিবাং তোমার ঐ খারাপ বখে যাওয়া বন্ধু তোমাকে বুড়ো ভাবতে পারে। আরে ওরা তো জানে না মানুষের এই দেহ বুড়ো হতে পারে। মানুষের গড়া ঐ সম্পদের পাহাড় বুড়ো হতে পারে, ঐ পাপের বোঝা বুড়ো হতে পারে, ঋণের নামে লোনের বোঝা বুড়ো হতে পারে, কিন্তু তোমার মনের মাঝে সেই সত্য সুন্দর কখনও বুড়ো হয় না। ও যে স্রষ্টার শক্তি। আরে ও যে সত্য সুন্দর। সত্য চির যৌবনা। যে মানুষকে মুক্ত করার সত্য আদর্শ নিয়ে তুমি সমাজের সাধারণ মানুষের কাছে এসেছিলো, সে সত্য আদর্শ আজও তোমার মনে টিপ টিপ করে জ্বলছে। আজ শুধু বাংলাদেশী জাতির জন্য নয় সারা বিশ্বের ভালোর জন্য আবার তাকে জাগানোর সময় এসেছে। যে সাধারণ মানুষের ভয়ে নিরাপত্তা নামক যে পাপিকে তুমি লুকিয়ে রখাছো। তাকে আর তুমি আটকে রেখো না বন্ধু। ফিরে এসো সেই সাধারণের মাঝে। তোমার ছোট্ট এই মানবজীবনকে আজ যে সত্যিকার অর্থে আদর্শ করে সবার ঊর্ধে মানবতার জয়গাথা গেথে রাখবার সময় এসেছে। যে তুমি অসহয়ের মতো অঢেল অর্থ বিত্তের মাঝে থেকেও বিবেকের সত্যের কাছে নিত্যদিন পুরে পুরে মরছো, মার্বেল পাথরের প্রসাদসম বাড়ীর মধ্যে অর্থ বৃত্তের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রেখেও মানুষকে জিম্মি করার অভিশাপের কান্না করে দু’চোখ জলে ভরিয়ে দিচ্ছ, সেই সুন্দর পরমাত্না বিবেকের কাছে তোমাকে সপে দাও, সাধারণ মানুষের মাঝে আবারও তোমার ঐ সুন্দরকে জাগ্রত করো, প্রতিষ্ঠিত কর সেই সত্যকে, যে সত্যের জয়গাঁথার জন্য তুমি রাজপথে নেমেছিলে, আবারও একবার রাজপথে নেমে দেখো। তুমি হয়তো নিজেকে পাপি ভাবছো। আরে পাপির জন্যও পাপ মোচনের সুযোগ থাকে। কিন্তু পাপকে পাপ বলে স্বীকার করে নিতে হয়। আজ সেই জনগনের আদালতে সত্য বলার সময় এসেছে। নিজেকে আর নিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখো না। তাহলে তোমাদের গড়ে তোলা সভ্যতাই যে বঞ্চিত হবে? আজ জনগণের মধ্যে এসে তোমার চোখের জল ভাগ করে দাও দেখবে সেই জল সবাই ভাগ করে নিবে। সাধারণ মানুষের কষ্টের কান্না, অভিশাপের কান্না জলীয়বাস্পের মতো মেঘ তৈরি করে, আর সেই মেঘ যখন ভারি হয়ে কালো হয় ঠিক তখনই বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরে আর সেই বৃষ্টির জলেই হয় নতুন ফসল। আমরা যদি নতুন দিনের নতুন ফসল হই তাহলে তুমি সেই কালো মেঘ। কালো টাকা যখন তোমরা নিত্যদিন কৌশলে সাদা করতে পেরেছো তাহলে ঐ আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো ঝরে পরতে পারবে না কেনো বন্ধু? নইলে তো সব নতুন ফসল ওরা আবারও কেড়ে নেবে। যারা কেড়ে নিয়োছিলো তোমার সেই সদ্য তরুনে ফুটে ওঠা আত্মসম্মানকে, তোমার যে সত্য সুন্দর অনির্বান কে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে রাজণীতিতে এসেছিলে আজ সেই রাজণীতিকে ঠেলে সাজাও বন্ধু। ও যে রাজণীতির নামে তোমার দাদা, নানা বা পুর্বপুরুষদের ভালোভাবে বাচঁতে না দেওয়া শক্তির নাম। জীবনের শেষ বা শুরু বলতে কিছুই নেই। মৃত্যুর শেষ বা শুরু বলতে কিছুই নেই। সুন্দরের শেষ বা শুরু বলতে কিছুই নেই ও যে তোমার আমার মনের লোভ, লালসা, বাসনা, কুসংস্কার, হানাহানি, নষ্টরাজনীতির নামে নিজের ইস্পাতসম মরিচার নাম। শুরু বা শেষ হয় একটি দেহের একটি আদর্শের নয়। আসো, ফিরে আসো দেখবে সব তোমার সেই যৌবন বেলার আদর্শের মতোই সত্য। মানবাতার মঙ্গল স্রষ্টার কাছে চাইতে হয় না। শান্তি ও সুন্দর প্রতিষ্ঠার কথা স্রষ্টার কাছে চাইতে হয় না। তিনি তো অমৃত হিয়া, তিনিই তো সকল সুন্দরের থেকে সুন্দর। চেয়ে দেখো সেই সুন্দর তোমার হৃদয়ে লুকায়িত।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোরআন-হাদিস অনুযায়ী তারা পাকিস্তান এবং অন্যরা অন্যদেশ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২১



সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×