somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার লেখার কোনো নাম নেই-৭::তোমার জীবনের নায়ক তুমি নিজেই।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তোমার জীবনের নায়ক তুমি নিজেই। কাকে তুমি ফেবারেট এক্টর বলতে বলতে জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করছো? চিন্তা করে দেখ বাংলাদেশী সিনেমার সমালোচনা করতে করতে তুমি তো পুরো সিনেমা শিল্পটিকেই নষ্ট করে দিয়েছো। আজ বাংলাদেশী নাটককে তুমি নিন্মস্তরের ভেবে স্টার জলসাকে নিয়মিত প্রণাম করে বাংলাদেশী নাটককে কৌথায় পৌঁছে দিয়েছো? সত্যিকারে দেশপ্রেমিক কোনো কিছু ধ্বংস হতে দেয় না। বরং নিজ উদ্দ্যোগে ভাঙ্গা জিনিস আস্তে আস্তে যত্ন করে জোড়া লাগায়। সুন্দর কে আরও সুন্দর করে তোলে। তারপর সেই সুন্দরের মাঝে মায়া ও সত্যের প্রকাশ ঘটায়।
যে বাংঙালীর সন্তান শচিন দেব বর্মন, কিশোর কুমার, বাপ্পি লাহেরীর মতো বাংঙালী নিজকে মেলে দিয়ে বোম্বের সিনেমার গানকে বিশ্বময় পরিচিত করে তুললো সে জাতি কি মেধাহীন? একজন সত্যজিৎ রায়ের মতো মানুষ আর কোনো কোনো জাতি পেয়েছে বলো। সত্যজিৎ তার ভিতরের সত্যকে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছিলেন বলেই আজ তিনি স্বগুনে আমাদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।
সত্যজিতের বাবার নাম সুকমার রায়। তিনি যদি তার বাবার পরিচয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইতেন তালহে আমরা এই সত্যজিতকে পেতাম না। আর সুকমার রায়ের বাবা অর্থাৎ সুকমার রায়ের দাদা উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর পরিচয়ে সুকমার রায় নিজেকে বাবার পরিচয়ে বড় করতে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে “পাগলা দাসু” গল্পের মতো গল্প লিখতে পারতেন না। আর উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরীর ভাই এই উপমহাদেশে প্রথম কৃকেট খেলা এনেছিলেন। ঐ দেখো ফেলুদার মধ্যেও একজন পাগলা দাসু বাস করে। নইলে আজ তোমাদের কাছে সাকিব আল হাসান আসতো না। সাকিব আল হাসান কে নিয়ে যদি গর্ব অনুভব করতে পারো, তাহলে চিৎকার করে নিজেকে বাংলাদেশী পরিচয় দিতে এতো লাজ কেনো বন্ধু?

তুমি প্রতিবাদ করতে জানো না বলেই যে অভিমানে অবহেলায় সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার মরে যাচ্ছে। আর এই বাংলাদেশীর সাহোসের প্রতিক যে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। সেই টাইগারের শক্তি কে বিশর্জন দিয়ে তুমি বসে আছো এক মিথ্যের মায়া জালে। ঐ দেখো রয়েল বেঙ্গল কিভাবে শিকার করছে। কোনো স্রোতের কাছেই যে রয়েল বেঙ্গল টাইগার তার নিজের ব্যাক্তিত্বকে বিক্রি করে দেয় না। ওর যখন ক্ষুধা পায় নিজের খাবার নিজে শিকার করে নেয়।
আর আজ বাংলার লক্ষ্য যুবক বেকার বসে বাবার কামাই খেয়ে তোমার বন্ধুকে বডি স্প্রে দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছো? হায়রে বাংলাদেশী চেতনা!!! বাংলাদেশীদের মধ্য ইদানিং একটা বড় জেনারেশন গ্যাপের সৃষ্টি হয়েছে। এই জেনারেশন গ্যাপটা কে কোন কালের জেনারেশন গ্যাপের সাথে মিলানো যাবে না। আমার প্রথম দিকে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম জেনারেশন গ্যাপ। তার মধ্যে আমি তোমাদের ভিতরের সত্যকে জাগাবার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তোমরা আজও আমাকে বুঝলে না।
যে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য বাংলাদেশী না বাংঙালী বলে নিজের জাতীস্বত্ত্বা নিয়েও পাগলামী করতে পারে তারা কিভাবে সত্যকে নিজের মধ্যে ধারন করবে। আজ চিৎকার করে বলো বাঙালী আর বাংলাদেশী কিংবা ইংরেজ ও ইংরেজের পোশা দালালগণ আমাদের উপহাস করে বলতেন বাংঙ্গাল। আজ আমার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখো একজন বাংঙ্গালকে তুমি দেখতে পাবে। সে যতো খারাপই হোক তোমাদের মতো বিদেশী সাংস্কৃতির কাঙ্গাল না।
আজ নিজেকে জাতির প্রেরণা রূপে প্রমাণ করার সময় হয়েছে। তুমি না জাগলে বাংলাদেশ জাগবে কি করে? বাংলাদেশ যে সবার। বাংলাদেশ যে একটি সত্যি কথার নাম। এই সত্যকে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করার কাজ অন্যের কাছে কেনো সপে দিচ্ছো।
আজ মিডিয়ায় বিশ্বজীতের সাজা হয়েছে দেখে তেমন একটা খুশি হতে পারলাম না। আরে এ যে ঐ সব অপরাধীর সাজা নয়। এ যে বাংলাদেশের সব বাবার সাজা। যে বাবা সন্ত্রাসী ছেলের বাপ হয়ে নিজেকে সবার মাঝে মুখ দেখাতে কষ্ট পায়। তার অপরাধ কি বন্ধু?
বিশ্বজিতের মার্ডার দেখে খুব মায়া লাগছে, তাই না? আরে বিশ্বজিত অর্থ যে বিশ্বকে জয় করেছে। বিশ্বজয়ের আশা নিয়ে যে বাবা এই বাংলায় তার সন্তান জন্ম দেন তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে অন্যকে মারার প্রেরনা যে গডফাদার নামের দালালরা দেয় তাদের কি হবে বন্ধু।
আমি যে একজন বাংলাদেশী। এসে দেখে যাও আমার বাবাকে, কতো সাধারণ, কতো অভাব অনাটনের মধ্যেও আমাকে কম্পিউটার নিয়ে লেখা পড়া করিয়েছে। মা তার গয়না বন্ধক রেখে আমাকে লেখাপড়া করিয়েছেন। তারপরও আমি তাদের সাথে অনেক সময় অনেক বেয়াদবি করেছি। কিন্তু তারা যে আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বা নিত্যদিন দিচ্ছেন। আমার বাবা যদি আমার সুখের জন্য, আমার ভালো হয়ে ওয়ার জন্য, আমার হৃদয়ের প্রেম ও সত্যকে সবার মাঝে প্রকাশ করার জন্য তার জীবনে এতো এতো ত্যাগ শিকার করতে পারেন।

তাহলে আমি কেনো পারবো না এই বাংলাকে মুক্ত করতে। বন্ধু মুখে বললেই দেশ প্রেমিক হওয়া যায় না। যে নিজের পরিচয় লুকিয়ে যুদ্ধে নামে সে আর যাই হোক বীর নয়। আর এই বালাদেশীরা যে বীরের জাত। একজন বাংলাদেশী বা সত্যিকারের মানুষ চাইলে আকাশের জলন্ত সূর্যকেও তার কাচের গ্লাসে ভরে পান করতে পারে। তারপর হুঙ্কার দিলে যে আগুন বেড় হবে তা দিয়ে এই বিশ্বকে নতুন করে সাজানো সম্ভব।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×