somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী দেবো খোপায় তারার ফুল

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খুব বেশী মনে পড়ে আমার ভালোবাসার মানুষটির কথা। আমার “ছোট্ট মুন” (ইফফাত জামান মুন) কে ঘিরে অনেক স্বপ্ন ছিলো, আজও আছে, চিরদিনই থাকবে। যার ভালোবাসা আমাকে বুঝিয়েছে জীবন কাকে বলে? সত্যের প্রকাশ কতো শক্তি নিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করে। আমার প্রাণের মানুষটির সাথে পরিচয় পর্ব তোমাদের কাছে একদিন শেয়ার করেছি।

আজ প্রায় ৭টি বছর ওর নিষ্পাট মুখটি দেখি না। মাঝে মাঝে চোখ বন্ধ করে কল্পনা করি। ঠিকমতো মনে পড়ে না। কেমন যেনো রংধনু হয়ে যায়।

তুমি কি “মৃত্যুক্ষুধা” উপন্যাসটি পড়েছো বন্ধু। ওখানে একদম শেষে আনসার এর কাছে ওর প্রিয়া আসে। কিন্তু সে সময় যে, আনসারের মৃত্যু নিশ্চিত। আনসার আর নজরুল কে আমি আজও আলাদা করতে পারি না।
হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করলে দেখবে সবকিছুর মাঝেই এক সুন্দরের প্রকাশ। তা যতই নির্মম ও নিষ্ঠুরই হোক না কেনো।

প্রতিদিন আমার জান (ইফফাত জামান মুন) আমাকে অনেকগুলো এসএমএস পাঠাতো। আমি চাতকের মতো ওর এসএমএস এর অপেক্ষায় থাকতাম। আমার জান খুব সুন্দর করে লিখতো। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর করে কলম ধরার স্টাইল কার জানো? আমার জান (ইফফাত জামান মুন) এর হাতের কলম চালনা দেখলে যে কেউ অবাক হয়ে যাবে।
আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। সেই লালমাই পাহাড়ে কিংবা সমুদ্র পাড়ে কিন্তু সবকিছুতেই আমার ছোট্ট মুনটিকে মিস করেছি।

তোমরা কি কেউ বলতে পারবে বন্ধু! কতখানী ভালোবাসা দিতে পারলে প্রিয় মানুষটিকে একদম নিজের কাছে আগলে রাখা যায়? আজও আমার মনে হয় ও হয়তো আমাকে ফোন দিবে। সেই আশায় আজও আমি তোমাদের মাঝে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দেই।
আমার জান (ইফফাত জামান মুন) একবার একটি চিঠিতে আমাকে লিখেছিলো, “তুমি তোমার ছোট্ট মুনটিকে কেনো এতো কাঁদাও?”। আমি এর উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি নি। আজ দিয়ে দিচ্ছি। শোনোঃ

ইফফাত জামান মুন এখন একজন ডাক্তার। ওর মা বাবার স্বপ্ন ছিলো ও ডাক্তার হবে। ও ওর মা বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে এটা যে অনেক বড় ব্যাপার। এটা যে একটি স্বপ্ন পূরণের নাম। আর তা নিয়ে বাচ্চারা রচনা লিখতে পারবে। রচনার নাম হবে “ইফফাত জামান মুনের মা বাবার স্বপ্ন পূরণ”।

আর আমি কোনোদিনও কিছু হতে চাই নি। তাই আমার স্বপ্ন একদম আমার নিজের কাছে। যা এক সুন্দর ও অসম্ভবের প্রকাশ্য রূপ। এই রূপ যে সবাই সহ্য করতে পারে না। আমি শুধু নিজেকে প্রকাশ করতে শিখেছি। যেমন করে নিজেকে প্রকাশ করেছিলো ডাঃ চে গুয়েভারা সাহেব।
চে গুয়েভারার ছবি আজ অনেক মানুষ টি-শার্টে করে রাস্তা ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু চে গুয়েভারা কে বুকে নেয়া যে সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। ডাক্তারী পড়ে চে গুয়েভারা অনেক রোগী দেখে টাকা পয়সা ইনকাম করে দিব্যি আরাম আয়েশে জীবন কাটাতে পারতেন। তিনি তা করেন নি। তিনি মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিয়েও আবারও নতুন করে সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টা করতে গিয়েছিলেন।

সমাজ পরিবর্তন কতোখানী করতে পেরেছেন তা সময়ই বলবে। তিনি তার আদর্শের সাথে আপোষ করেন নি বলেই আজ সবার মাঝে বেঁচে আছেন।

একটি ভালো ডিগ্রি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে না। এই দেখো আমার আমার জন্ম তারিখ ১৮ অক্টোবর, আমার প্রিয়ার জন্ম তারিখও হলো ১৮ অক্টোবর। আর ডাক্তার জাকির নায়েক সাহেবের জন্ম তারিখও ১৮ অক্টোবর। ডাক্তার জাকির নায়েক যদি নিজেকে শুধু ডাক্তারির মধ্যে আবদ্ধ করে রাখতেন তাহলে আজ আমরা কি এতো সুন্দর করে যে সত্যের বাণী প্রকাশ করা যায় তা জানতাম। কাউকে না কাউকে কিছু একটা শুরু করতে হয়।

আমি কখনও নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই নি। কিন্তু নিজের ভিতরের সত্যির কাছে আমি যে দায়বন্ধ। এ দায়বন্ধতা যে মহাকালের। এ এক জীবন প্রবাহের নাম। তোমাদের ম্যডিকেল সায়েন্স যে এই সত্যকে কোনো দিনও আবিষ্কার করতে পারবে না। সত্য যে আবিষ্কার করার জিনিস না প্রকাশ করার জিনিস। সব কিছুর মাঝেই সত্য ও সুন্দরের প্রকাশ হয়।
আমি যখন ধানমন্ডি থাকতাম তখন প্রায়ই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এর জাদুঘরে যেতাম। কেনো জানো?

শেখ রাসেল এর খেলনাগুলো দেখতে। শেখ রাসেল এর জন্ম তারিখ ১৮ অক্টোবর। দেখো রাজনীতি কতো ভয়ঙ্কর খেলা। যার মধ্য এমন একটি মায়াবি সুন্দর শিশুরও জীবন দিতে হয়। শেখ রাসেল এর ছবি আমার চোখের সামনে ভেশে উঠতো। দেখতে অনেক চঞ্চল মনে হয়। খুব দুষ্ট ছিলো হয়তো। একটা মানুষ কতো নিষ্ঠুর হলে বাচ্চাদের গায়ে গুলি চালাতে পারে?

তোমরা অনেক কিছুই বোঝ না। বুঝতে চাও না যে সত্যিকারের ভালোবাসা কখনও হারায় না।

ইফফাত জামান মুন কে বলছি - এমন একদিন আসবেই যেদিন তুমি দেখবে বাংলাদেশ অনেক উন্নত একটি কান্ট্রি হয়ে বিশ্বের গর্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তোমার ঘরে হঠাৎ করে বেজে উঠবে,

“শত জনমের স্বপ্ন,
তুমি আমার জীবনে এলে..
কতো সাধনায়,
এমন ভাগ্য মেলে.....”

তখন তুমি ঐ গান শুনতে শুনতে ব্যলকনি দিয়ে আমাদের ঐ সন্ধ্যা তারা (তুলা রাশির জাতকদের জন্য শুভ বলে বলা হয়) এর দিকে তাকিয়ে দেখবে আমি ঐ সন্ধ্যা তারা হয়ে তোমার দিকে তাকিয়ে আছি।

ঠিক তখন তোমার চোখ জল ভরে উঠবে। ঐ চোখের জল মুছবে না। তুমি যখন ঘুমিয়ে পড়বে আমি নিজে এসে তোমার মাথার কাছে চুপটি করে বসে চোখের জল মুছে দেবো।
যাই হোক,

“শত জনমের স্বপ্ন,
তুমি আমার জীবনে এলে..
কতো সাধনায়,
এমন ভাগ্য মেলে.....”

এই গানটি হল “রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত” সিনেমার গান। “রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত” আমার খুব প্রিয় একজন কথাশিল্পী শরৎ চন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের লেখা উপন্যাস।

তোমরা কি খেয়াল করে দেখেছো দেবদাস জমিদারের সন্তান হয়েও জমিদার হয়ে তার প্রিয়া জমিদারের স্ত্রী পারুল কে জয় করতে যায় নি। ঐ ভাবে প্রিয় মানুষকে পাবার রাস্তা যে খুব সহয। আর তা হলো দেবদাস যদি তার বাবার জমিদারির দায়িত্ব গ্রহন করে পরুলের স্বামী জমিদার এর কাছ থেকে খুব সহজেই কেড়ে নিতে পারতো। কিন্তু তাকে তো প্রেম বলে না। প্রেম হলো প্রিয় মানুষটিকে নিজের মৃত্যুর বিনিময় হলেও ভালোবাসার প্রকৃত সাধ বুঝানো।

আজ আমার গুরু নজরুলের নার্গিস কে কারও কেড়ে নেয়ার ক্ষমতা নেই। আর দেবদাস পারুলের বাড়ীর সামনে পড়ে থেকেও যে ভালোবাসাকে প্রতিষ্ঠা করে গেছে। ঐ দৃশ্য যে অনেক সুন্দর।

“মৃত্যক্ষুধা” উপন্যাসের “আনসার” কে মারার সাধ্য যে কারও নেই। হুমায়ূন আহমেদ এর হিমু আর রূপা দু’জনই যে চিরদিনই বেঁচে থাকবে।

“সোহরাব রুস্তুম” :: সময়ের সাথে প্রাসংগীক

চমকে ওঠে মোর ভুবন :: ও হরিন চোখের চাওয়ায়....

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্
মালিক/সিইও
মেরী কম্পিউটার্স
কাশিপুর বাজার
বরিশাল।
যোগাযোগঃ ০১৭১৭-০৪৪৯১৯, ০১৮১৯-১০৬৪০৭

https://www.facebook.com/asif.ud
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

Testimony of Sixty- By Edward Kennedy বাংলাদেশের রক্তাক্ত সত্যের এক আন্তর্জাতিক স্বীকারোক্তি

লিখেছেন কিরকুট, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৩




১৯৭১ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গভীর বৈপরীত্যের বছর। এটি যেমন ছিল অন্ধকার ও রক্তাক্ত, তেমনি ছিল সত্যের প্রতি অবিচল এক সময়কাল। এই বছরের গণহত্যা, শরণার্থী স্রোত ও মানবিক বিপর্যয়ের বিবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×