somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহাজাগতিক প্রাণের অস্তিত্ব সত্য ::: মানুষের অমর হওয়া অসম্ভব নয়

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[আমার এই আলোচনা নাসা সহ বিশ্বের সকল দেশের বিশ্ব গবেষক বৃন্দ্রের প্রতি নিবেদিত। মানব সম্পদায়ের উচ্চস্তরের মানুষগুলোকে এই বানী পৌঁছে দেবার অনুরোধ রইলো]

আসসালামু আলাইকুম!!!
আমি যে বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি তা হয়তো খুব সহজ মনে হলেও প্রক্রিয়াগুলো আয়ত্ব করা কিছুটা জটিল মনে হতে পারে, তারপরও আমাদের যতদ্রুত সম্ভব এই বিষয়গুলোর উপলব্ধি ও গুরুত্ব পূর্বক বাস্তবায়ন করার যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে। আমি আপনাদের সাথে থাকবো। দেখুন মহাজাগতিক প্রাণের অস্তিত্ব যে সত্য আর মানুষকে অনেক বেশী দীর্ঘায়ুর পথে নিয়ে গিয়ে তারপর অমরত্ব দানের ব্যাপারটি বাস্তবে রূপ দেয়ার ব্যাপার গুলো আলোচনা করতে গেলে অনেক বিষয় একসাথে চলে আসবে। এখানে আপতদৃষ্টিতে দুটি কাজ মনে হলেও আসলে তা বহুপথে এক বিন্দুতে অবস্থান করার মতোই সত্য। তাই আমার এই আলোচনা ধীরে ধীরে দীর্ঘ হতে পারে। আপনাদের নিয়মিত আমার সাথে থাকার অনুরোধ করছি এবং যে কোনো প্রকার প্রশ্ন করতে পিছ-পা হবেন না। আমারও আপনাদের সম্পর্কে ও মানবপ্রজাতির এই বিষয়ের কাজ কারবার কোন পর্যায়ে আছে তা নিজ চোখে দেখার হচ্ছে আছে। আশা করছি আমরা একে অন্যকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেবো।

পৃথিবীর বুদ্ধিমান মানুষের মনে কোনো না কোনো সময় মহাবিশ্বে অন্য কোনো প্রাণী আছে কিনা এবং চীরকাল এই ধুলির ধরায় বেঁচে থাকার ইচ্ছে উদয় হবেই- এটা স্বাভাবিক। একমাত্র মানুষই এই না পাওয়াকে উপলবদ্ধি করতে পারে- আবার নিজেদের লিমিটেশনের কাছে হার মেনে নিশ্চুপ হয়ে যায়।

আজ আমরা মানবসম্প্রদায়ের জ্ঞান বিজ্ঞানে যতখানী উন্নত রূপে দেখছি আসলে আমাদের অগ্রগতি এখনও অনেক নিন্মস্তরের। আমাদের ভাবনা-চিন্তার লিমিটেশন অনেক বেশী। আমরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের বেশ কিছু বিষয়ে কিছুটা এগিয়েছি ঠিকই কিন্তু অনেক সহজ-স্বাভাবিক ও অনেক বেশী প্রয়োজনীয় বিষয়ে অবহেলা করেছি যে- যার পরিনামে আমাদের অগ্রগতিতে আজ যেখানে অবস্থান করতে পারতাম তা বাস্তবে রূপ দেয়া এক প্রকার অসম্ভবের কাছাকাছি চলে গিয়ে পৃথিবীর মানব সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব বিনাশের পথেই ধাবিত হচ্ছিলাম। এখনও সময় আছে আমাদের এই মহাপ্রলয়কে জয় নয় বরং অনাগত বানিয়ে রেখেদিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার।

জুলভার্ন, আইজাক অসিমভ সাহেব সহ অনেক লেখক বেশকিছু বিষয় কল্পনা করে সায়েন্স ফিকশন লিখেছিলেন। পরবর্তিতে আজ কিন্তু আমাদের কাছে ঐ সব বিষয় (যেমনঃ উড়োজাহাজ, সিসি ক্যামেরা, ডুবোজাহাজ, আধুনিক বেশ কিছু অস্ত্র, বড় আকৃতির জাহাজ, দরকারী আসবাব, নতুন ইন্টরিয়র, অসিলেটর, গননাকারী যন্ত্র, আলোর বিচ্ছুরনে কোনো বস্তুকে লোকসম্মুখে লুকিয়ে রাখার কৌশল সহ হরেক রকম বিষয়) কিন্তু তাদের কল্পনা আমাদের এই বাস্তবতাকে দ্রুত করতে প্রেরনা যুগিয়েছে। তারা শুধুই কল্পনা করেছেন মাত্র তেমন বড় কোনো ট্যাকনিক্যাল গাইড লাইন দিতে পারেন নি। আবার বেশীরভাগ কৌশল দেবার যে কৌশল তাঁরা তাদের লেখনীর মধ্যে ব্যবহার করেছিলেন তার বেশীরভাগই আজ ভিষন রহম হাস্যকর বটে। আবার যথাসময়ে আমরা তাদের কল্পনা যে সত্যি হতে পারে এমন ভাবে তাদের গ্রহনও করি নি। তারপরও আমরা তাদের কল্পনাকে বাস্তবতায় টেনে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। এর বড় ব্যাখ্যা মানুষের অবচেতনে কোনো সত্য অসত্যের মিশ্রনও ভালোলাগার শক্তিদ্বারা গেঁথে থাকলে তার ভালো ও সুবিধা জনক পথটি বিকাশিত হবার পথে অনেক বেশী সহায়ক হবেই। সব মানুষ যে সব কাজ করবে এমন কোনো কথা নেই। আজ আমরা বিশ্বমেধা যদি ব্যাক্তি স্বার্থের ঊর্ধে থেকে বিশ্ব মানবের স্বার্থে সম্মিলিত হতে পেরে টিম ওয়ার্ক করে কাজ করি তাহলে আমাদের এই মানব প্রজাতির জয়যাত্রা এগিয়ে যাবেই- এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

দেখুন বিনগ্রহের প্রাণী/ মহাজাগতিক প্রাণের অস্তিত্ব আমরা যেমন করে কল্পনা করে নাসা সহ বিশ্বের অন্যান্য প্রভাবশালী রাস্ট্রের গবেষকদল যেভাবে গবেষনা চালাচ্ছি তা আপত দৃষ্টিতে ভুল পথ ছাড়া কিছু না।

আমদের কল্পনায় যে ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীর চেহারা ভেষে ওঠে তার বেশীরভাগ জুড়েই আছে এলিয়েন, মানব সাদৃশ্য কোনো কিছু অববা পৃথিবীর প্রাণীদের সাথে মিল আছে বা পৃথিবীর একাধিক প্রাণীর সাথে সমন্বয় করে কল্পনা করতে পছন্দ করি।

তারচেয়েও বড় বেশী ভুল হলো, ফ্লাইং সসার বা এরকম যত রকম আজগুবী যানবাহনের দিকে বেশী বেশী নিজেদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করে আসল গবেষনাকে একরকম ভাবে এড়িয়ে গিয়ে বৃথা বিলম্ব ও হতাশা জনক ফলাফল পাওয়া ছাড়া কিছু না।

আবার মহাবিশ্বের খুব সামান্য স্থানে আমরা বিভিন্ন রকম সিগনাল/রশ্মি ব্যবহার করে কেউ আমাদের সাথে যোগাযোগ করবে এমন আশা নিয়ে বসে আছি।

আপনাদের মনে বিশ্বাস রাখতে হবে যে, মহাবিশ্বের অন্যান্য বুদ্ধিমান প্রাণীরা আমাদের বুদ্ধি দ্বারা সৃষ্টি হয়নি যে আমাদের মতো করে আমরা ভেবে চিন্তে তাদের ফাঁদে ফাঁলাবো বা তাঁদের ফাঁদে আমরা পা দিতে প্রস্তুত হয়ে থাকবো।

মানুষ খুব নিঁখুত একটি প্রাণী- তাতে মোটেও সন্দেহর অবকাশ নেই। আজ আমাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান দশটি একই রকম বা একই কাজ করে এমন জিনিসের ভিন্ন কয়েকটি মডেলের যে কোনো কয়েকটি প্রডাক্টকে পাশাপাশি রাখলে বাহ্যিক বা ভিতরকার চেহারা ও কাজে অনেক অনেক তারতম্য চোখে পড়বে।

কিন্তু আপনি পৃথিবীর সব মানুষকে যদি পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে দেখেন, দেখবেন আমাদের মডেল অর্থাৎ চেহারা আকৃতি যদি একটু খুটিয়ে খুটিয়ে লক্ষ্য করে খেয়ার করে দেখলে বুঝতে পারবেন, তাতে সবারই চোখ, কান, গলা, হাত, পা, আঙ্গুল, শারিরিক সুক্ষ ছাপ ও অন্যান্য অনেক অঙ্গপ্রতঙ্গ হার একই রকম হয়েও এক নয়। কাজ একই রকম কিন্তু আকৃতির সামান্য পার্থক্য আমাদের অনেক বেশী এক করেও সুন্দর রূপে আলাদা আইডেনটিটি দিয়েছে। এরকম বিন্যাস করা মানুবিক বুদ্ধি দ্বাড়াঁ অসম্ভব ব্যাপার। আর একটু খেয়াল করলে দেখবেন প্রকৃতি ও মানুষের যে কম্বিডিশন তা একে অপরের পরিপুরক ভাবেই পরিলক্ষিত হয়। আমাদের বিজ্ঞানকে আমরা এতো বেশী অসহায় করে রেখেছি যে, আজও আমরা আমাদের দৃশ্যমান শরীরকে গুরুত্ব দিয়েছি ঠিকই কিন্তু সেই সাথে শরীর রক্ষার সর্বাত্বক ব্যালেন্সড ব্যবস্থা নিতে পারি নি, তার ফলস্বরূপ আমরা শরীরের জরা-ব্যাধিকে আরও ডেকে টেনে নিয়ে এসেছি। মানব প্রজাতি আজ বড্ড বেশী হতাশায় নিমজ্জিত। তাদের এই হতাশার জন্য আমরাই দায়ী। আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতির অগ্রগতির সাথে সাথে রি-একশন সমান তালেই এগিয়ে এসে আমাদেরই নিত্যদিন ক্ষতি করে চলছে। এ বিষয়ে পরে আসছি।

আমাদের বিজ্ঞান জ্ঞানের ডায়মেনশনে আমরা বরংবার আমাদের শরীর দৃশ্যমান দেখে আত্নাকে গুরুত্ব দিতে শিখি নি। মানুষ কে আমরা বিবর্তন ভেবে বসে আছি –যা পুরোপুরি সঠিক নয়। মনব শরীর ও আত্মা বিবর্তনের ফসল নয় আবর্তনের সঠিক, সত্য ও সুন্দর এক রূপায়ন মাত্র। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, পৃথিবী ও মঙ্গল সহ অনেক অনেক গ্রহে অনেক জ্ঞানী-চিন্তাশীর প্রজাতির বিলুপ্ত হতে হয়েছে। তা যে শুধু প্রাকৃতিক কারণে তা কিন্তু নয়। যখন কোনো চিন্তাশীল প্রাণী তাদের চিন্তাধারাকে খুব বেশী হিস্র পথে ধাবিত করে তখনই কোনো না কোনো দুর্যোগ নেমে আসে।

একবার চিন্তা করে দেখুন বন্ধু!!! আমরা আমাদের মহাবিশ্বের প্রতিবেশীদের যতটা না আমাদের মনের মতো করে ভেবেছি তার থেকে অনেক বেশী ভেবেছি একটি বৈজ্ঞানীক প্রডাক্টের মতো করে। তাতেই হিতে বিপরীত হয়েছে। তাই এখন পর্যন্ত মহাবিশ্বের প্রাণের অস্তিত্ব বিষয়ক গবেষনা আমাদের বোকামীতে অনেক বেশী পরিপূর্ণ হয়েই ধরা দিচ্ছে।

মনে রাখতে হবে এবং মনে-প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে যে, আমাদের বুদ্ধি ও যুক্তির চেয়ে আমাদের মহাবিশ্বের অনেক সম্প্রদায় অনেক বেশী বুদ্ধিমান হয়েছে। কোনো না কোনো সময় তারাও আমাদের বর্তমান অবস্থার মতোই ছিলো কিন্তু তারা কোনো এক পরিবর্তনে নিজেদেরকে সচেতন করে অবচেতনের গুরুত্ব উপলব্ধি পূর্বক কল্যানের পথে নিয়ে গিয়ে এই অগ্রগতি প্রাপ্ত হয়েছে।

মনে রাখবেন, সকল বিশ্বের- সকল বুদ্ধিমান প্রাণীর জেনেটিক কোড একই রকমের বলে মেনে নেয়া যায়। তারা মানব সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ করেন আমাদের কল্পনা করা কোনো পদ্ধতিতে নয়। যদি আমাদের পদ্ধতিতেই তাদের আমাদের কাছে আগমন করতে হয় তাহলে তারা তো আমাদের সমকক্ষই বলে ভাবতে হয়। এখানেই বিজ্ঞানীদের বড় একটি ভুল বলে বিবেচিত হয়। আমাদের আত্মার সাথে তারা যোগাযোগ করতে সবচেয়ে বেশী নিরাপদ মনে করেন। তাই তারা বিশেষ বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করেন যা-কে আপনারা যুক্তি এই মুহুর্তের যুক্তি দিয়ে বাঁধতে পারবেন না ঠিকই কিন্তু কথা সত্য।

আমাদেরই মতো চিন্তাশীল তবে তারা অনেক বেশী উন্নত বন্ধু যারা আমাদের অমঙ্গল চায় না। কিন্তু তাদেরকে আমাদের মস্তিস্কের আত্মার সাথে যোগাযোগ করতে হলে আমাদের আত্না হতে হয় যোগাযোগের যোগ্য। আত্নার শক্তি অনেক। একজন পরিপূর্ণ আত্নাই জানে যে, আমাদের সবাইকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র আল্লাহ্। আর আল্লাহ্’র কোনো শরীক নেই। আমরা জানি কিন্তু মানতে পারি না যে তৌহিদই সত্য। তৌহিদের মধ্যেই সব রকম মুক্তি। এই না মানতে পাড়ার মুল কারণ হলো আমাদের আত্মার সীমাবদ্ধতা।

মানব সম্পদায়ের যাদের আত্নার চিন্তাশক্তিকে একই জায়গায় স্থীর রাখার মতো জ্ঞান দ্বারা ধ্যানের সাধন করতে জানে না তাদের সাথে উন্নত সম্প্রদায় যোগাযোগ করেন না। উন্নত সম্প্রদায় শুধু মাত্র মানব প্রজাতির কল্যানই চায়। যদি তারা মানব সম্প্রদায়ের অকল্যান চাইতো তাহলে আমাদের ধ্বংস করতে গিয়ে তারাই ধ্বংসের দিকে ধাবিত করতো। প্রথমত তাওহিদে বিশ্বাস তারপরে তাওহিদের পথে নিজের আত্নাকে বিকাশিত করা ছাড়া কেই সেই মহাঅনুভুতিকে নিজের মধ্যে ধারন করতে পারবেন না। এটা অসম্ভব।

আমরা আজ পর্যন্ত প্রকৃতির কাছে অসহায় হয়েই আছি। আমাদের মহাবিশ্বের উন্নত আত্মাগণ পৃথিবীর মতো আরও অনেক গ্রহ গ্রহান্তরের প্রকৃতির বেশ কিছু রকম নিয়ন্ত্রন নিতে জানে। এ ভাবনা অমুলক নয়। আমরা যেমন সাময়িক ভাবে বিশেষ একটা অঞ্চলের বৃষ্টি বন্ধ করা সহ আরও কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাকৃতির উপর কর্তৃত করতে পারি ঠিক তেমনি করে আমাদের উন্নত ভ্রাতাগণ আরও বেশী বেশী পারে। তাই তাদের আগ্নেয়াশ্র, এটম-ইয়রোনিয়াম বোমা বা এরকম কিছু ব্যবহার না আমাদের উপর কর্তৃত করতে পারতেন। কিছু কিছু ইতিহাস ঘাটলে তার প্রমাণ আপনারা পাবেন। বিশেষ কিছু সভ্যতার দিকে নজর দিলে এর স্পষ্ট মুরতী আপনাদের সামনে স্পষ্টরূপে ধরা পরবেই।

তৌহিদ এ বিশ্বাস করতে না জানলে কোনোদিনও আপনাদের জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেচনা-সত্য-কল্যান-বিজ্ঞান-যুক্তিকে একাভিতু করে এক বিন্দুতে নিয়ে আসা সম্ভব নয়।

তাই বলছি, নিজেদের মনের ভাষার জগতকে অনেক বেশী পরিপূর্ণ করুন। আমি আপনাদের সাহায্য ও সহযোগীতা করবো। ভয় পাবেন না বন্ধু! আমরা সবাই একই রকম।

আমাদের জ্ঞান কে আমরা সীমাবন্ধতার শিকল পরিয়ে রেখেছি শুধু মাত্র ক্ষুদ্রজ্ঞানে সৃষ্টি আমাদের কিছু ফালতু যুক্তিকে মানতে শিখেছি বলে।

পৃথিবীর প্রকৃতির দিকে ভালো করে খেয়াল করে দেখলে, বুঝতে পারবেন কোনো সৃষ্টিই ফালতু নয়। সব সৃষ্টিই সবার সাথে কোনো না কোনো ভাবে সপৃক্ত। আজ আজনারা যাকে বিজ্ঞান বলছেন। বিজ্ঞানের দ্বারা মানুষ বিজ্ঞানী হয় ঠিক আছে মানলাম। তাই বলে বিজ্ঞান কি মৌলিক কোনোকিছু বলেন। মানুষের সকল আবিষ্কারের দিকে আজ একবার আলোকপাত করে দেখুন যে, আমরা এখন পর্যন্ত যে সব আবিষ্কার নিয়ে নিজেদের গর্বীত ভেবে অহংকার করে চলছি তার কোনোটিই আমরা নিজেরা তৈরী করতে পারি নি। আমি বোঝাতে চাচ্ছি যে, প্রকৃতি থেকেই বিভিন্ন উপাদানকে বিভিন্ন রকম মিশ্রন করে, প্রক্রিয়াজাত করে বা এক পদার্থকে অন্য পদার্থের মধ্যে উক্ত পদার্থের এক শক্তি বিনাস করে অনশক্তিতে রূপান্তর করা ছাড়া আমরা নতুন কিছুই করতে পারি নি।

সেই প্রকৃতির দান বিজ্ঞানের আবিষ্কারকেই আমরা ট্রেড এ পরিনত করে নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে ভিষন রকম ঝামেলা পাকিয়ে বসে আছি। মানুষ তার আবিষ্কার নিয়ে খুব বেশী গর্বিত হয়ে তার ভিতরের আসল গর্বকে জলাঞ্জলী দিয়েছেন। আমাদের মেধাশক্তি এমন ভাবে সংয়ংসম্পূর্ণ করা সম্ভব যে, আমরা যদি ব্রেন (চিন্তা যন্ত্রের স্টরেজ, প্রসেসিং হার্ডওয়্যার মনে করছি) যদি আমাদের জ্ঞানে পরিপূর্ন স্টরেজ হবার পরে আর কোনো জায়গা না থাকে তখন দেখবেন আমাদের ব্রেনের আকৃতি বড় হবে বা মাল্টি প্রসেস/আপগ্রেটেড ডাটা স্ট্রাকচার হবে তবুও বিনাস বা ক্ষয়প্রাপ্ত হবে না। এটাই সৃষ্টি রহস্য।

আমাদের আর একটি বড় সমস্যা হলো, আমরা সত্যিকারের আশাবাদি না হয়ে অনেক বেশী স্বপ্নবাদি হয়ে উঠেছি। আমাদের ধারণা মহাবিশ্বের উন্নত কোনো প্রাণী আমাদের কাছে ছুটে এসে বা আমরা তাদের কাছে ছুটে গিয়ে রাতারাতি অমর, অজর, অক্ষয় বা দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা সহ বিভিন্ন জিনিস শিখে যাবো। তাই তো আমাদের গবেষনায় এতো এতো ভুল ও অকল্যানকররূপ ধরা পড়ছে।

মনে বিশ্বাস করতে শিখুন যে, মানুষ যা পায় তা নিজ থেকে অর্জন করেই পায়। যখনই মানুষ নতুন কিছু অর্জন করার চেষ্টা করেছি তারা সফল হয়েছে। কারণ আপনার জ্ঞানকে ধ্যানযোগে যখন একবিন্দুতে নিপাত করে প্রকৃতির সাথে অবিচ্ছিন্ন ভাবে থাকতে জানবেন তখন কিন্তু আপনার চিন্তা অন্যের কাছে অসম্ভব মনে হলেও সম্ভব হবেই।

আমরা বাইড়ের বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিতে গিয়ে নিজেদের মনোবিজ্ঞানকে পঙ্গু করে রেখেছি। আমাদের শরীরবিদ্যা ও চিকিৎসা বিদ্যা অনেক শিশু হয়েই আছে মাত্র। এখান থেকে পরিত্রানের চেষ্টা আজ থেকেই শুরু করে দিন। সময় নষ্ট করা যাবে না। আমি আপনাদের সহযোগীতা করবো বন্ধু!!!

যাদের বয়স আজ ৬০ এর উপরে তারাও আশাহত হবেন না। নিজেকে জাগাতে শিখান গুরুজন। সত্যিকারের আশা করতে শিখুন দেখবেন আজ যা অধরা কাল তা আপনাদের হাতে তুলে দেবো। অবশ্যই তা বিনামূল্যে। সবকিছু নিয়ে ব্যবসা করতে নেই। একবার মানুষকে সত্যিকারে প্রাণ দিতে পারলেই হলো, শরীরকে আরো বলিষ্ট সবল করতে পারলেই হলো তারপর ব্যবসায় আর কয় টাকা ইনকাম করা যায় তার চেয়ে অনেক বেশী আনন্দ আমি আপনাদের মাধ্যমেই পাবো।

আপনি এই মূহুর্তে নিজের কাছে নিজে প্রশ্ন করুন, “আমি কি মানুষিক রোগী”। আপনার মন যদি হা-না এর মধ্যে থাকে তাহলে আপনি পৃথিবীর সেরা মানুষিক ডাক্তার হলেও মানুষিক রোগীই বটে। আর আমি নিজে আমার সম্বন্ধে খুব ভালোভাবেই জানি তাই আমি যে, খুব বেশী ব্যালেন্সড আত্না তাতে আমার বিন্দু পরিমান সন্দেহ নাই। তাই আমি জানি আপনাদের সমস্যাগুলো কোথায় কোথায়।

যুক্তির সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে একটু উদাহরন দেই।
মনে করুন আপনি আপনাকে জিজ্ঞাস করলেন যে,
“আমি কি ভালো আছি?”
তারপর উত্তর দিলেন, “হ্যা, ভালো আছি”
এখনই আপনি আপনার মনে আবার ভেবে বসলেন যে, “আমার মনের ভিতরে কে বললো যে ভালো আছি!”
আবার পরেই নিজমনে প্রশ্ন জাগতে পারে, “কে বললো ভালো আছি, এই ভাবনাটা আবার ভাবলো কে???!!!”
এটাই হলো মনের খেলাঃ
এই খেলার মধ্যেই মানব মুক্তির পথ ও প্রকৃতিকে জয় করার প্রধান একটি কৌশল লুকিয়ে আছে যা বিশ্লেষন করলে দাঁড়ায় যেঃ

প্রকৃতি এবং বিজ্ঞানের সব বড় বড় আবিষ্কারের মধ্যে যে ব্যাপারটি বেশী আছে তা হলো লুপিং বা রিপিটেশন। এটা সৃষ্ট প্রকৃতির সর্বক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ।
এই লুপিং বা রিপিটেশনের মধ্যে আবর্ত থাকাই আমাদের নতুন কিছুকে আবিষ্কার করার পথে বড় বাঁধা।

আবার আপনি যদি কমপক্ষে একটি লুপিংও ভেঙেচুরে মানুষের সামনে নিয়ে আসতে পারেন তাহলেই আপনি নতুন কিছু করতে পারলেন এবং লুপিং ভাঙ্গার পরে যে রহস্যটির উত্তর বেড় হবে তা কিন্ত মানুষ সহজেই বুঝে গিয়ে নতুন এক স্বপ্ন দেখতে শিখবে। সেই নতুন স্বপ্নের পরের যে সত্য আছে তাকে কাছে আনতে হলে আবারও লুপ ভাঙতে হবে।

প্রকৃতিকে আপনারা অনেক বেশী কঠিন করে ভাবেন বলেই রহস্য মনে হয়। মনে রাখবেন সত্য সবসময় সহজ কিন্তু আমাদের মন ও শরীরের সীমাবদ্ধতা আমাদের সহজকে কঠিন ভাবতে শিখায়।

{এই বিষয়টির উপর আনেক গুলো পর্ব লেখার প্রয়োজন হবে হয়তো। আশাকরি আপনাদের সদয় অনুপ্রেরনা পাবো। আমার প্রতি যদি আপনার বিশ্বাস আসে তাহলে আজ থেকেই কাজে লেগে পড়ুন। আমাদের মুখে নয় কাজে দেখাতে হবে। আমি আপনাদের গাইড লাইন দিয়ে যাবো যদি আপনারা চান বা নাও চান। এ আমার দায়িত্ববোধ।}
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোরআন-হাদিস অনুযায়ী তারা পাকিস্তান এবং অন্যরা অন্যদেশ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২১



সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×