somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশে কাজ করা দেশী বিদেশী এন.জি.ও. {শুনুন!}

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রিয় এ.জি.ও. সংশ্লিষ্ট ম্যানেজমেন্ট!

আমার প্রাণ ভরা প্রেম ও মঙ্গলবার্তা জানবেন। আমি তিন দিন ধরে প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে বিসানায় ছিলাম। এজন্য আপনাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে আমার দেরী হয়েছে। নিজগুনে ক্ষমা করবেন। এই সময়ের প্রতিটি মূহুর্তই আমাদের জন্য খুবই ইর্ম্পটেন্ট।

আপনারা অবশ্যই অবগত হয়েছেন যে, আগামী দু’বছরের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে ওয়ার্ল্ড ইকোনিমির প্রথম দশটি অবস্থানের মধ্য নিয়ে আসার পন করে এগোচ্ছি। আপনারা মোটেও হতাশ হবেন না যে, ২বছরে মাত্র ৭৩০ দিন। আমাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেবার জন্য শুধুমাত্র আপনাদের ভালোভাবে কাজ শুরু করে, অবিরত চেষ্টা করলেই হলো। সাফল্য আসবে চক্রবৃদ্ধির চর্কার সুতার মতো। তাই আমি আপনাদের সবাইকে সেক্টর ওয়াইজ শুধু বাহারী রঙের সুতা কাটার পদ্ধতি দেখিয়ে যাচ্ছি। আপনারা আমার কথা ও আপনাদের আইডিয়া নিয়ে বসে থাকবেন না। আমাদের সবার সবকিছু ভালোগুলো দ্রুত এক্সিকিউশন করতে হবে।

নিজেরা নিজেদের দেশে থেকেই বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়া কোনো ব্যাপারই না। বলুন কি আছে ঐ নোবেল প্রাইজে? নোবেল প্রাইজে এমন কোন বিষয় আছে, যা দিয়ে আমি নোবেল পেতে পারি না! তারপরও আমার ইচ্ছা নিজ দেশ ও নিজ জাতিকে নিয়ে। ঐ সব পরিচিতির জন্য এগোলে সময় নষ্ট হয় আর সেই সাথে গুরুত্বপূর্ণ কাজও পিছিয়ে পড়ে।

বিশ্ব এন.জি.ও. জগতের দুই মহাওস্তাদ ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস ও স্যার ফজলে হাসান আবেদ আমাদের বাঙলার সন্তান। তাঁদের নিয়ে আমরা জাতি হিসেবে গর্বিত ও তাঁদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। এই দুই এন.জি.ও. জগতের পালোয়ান থাকলে সেই দেশের এন.জি.ও.র প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকে না। একটু বলে নেই, গ্রামীণ ব্যাংক ও ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস একসাথে নোবেল প্রাইজ জিতেছিলেন বা গ্রহন করেছিলেন। আজ এই সময় এসে গ্রামীণ ব্যাংক ও ডঃ ইউনুছের মধ্যে দেয়াল তুলে দেয়া সত্যিই অনেক বেশি দুঃস্বপ্নের মতো। রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়া সুন্দরবন আর ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুছ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক একই রকম যৌক্তিক নয়।

বন্ধু! আজ আমাদের ইকোনোমিকে ওর্য়াল্ড টেনের মধ্যে নিতে গেলে আপনাদের অবদান ছাড়া সম্ভব না।

মাইক্রো ক্রেডিট লোন কে আজ করতে হবে “মাইক্রো ক্রেডিট লোন আনটিল সলভ পুরনেস” । একমাত্র রাইট সলভেন্সি ছাড়া কোনো মাইক্রোক্রেডিট গ্রহিতা ডিফল্ডার হবেন না।

আমাদের বুঝতে হবে। হঠাৎ কতগুলো টাকা লোন পেলেই যে, যে কারও বিজনেস আইডিয়া গ্রো করবে বা সফল হবে এমন কোনো কথা নেই। একটি ঋণের অর্থ যথাসময়ে ও যথানীয়মে পরিশোধ করতে পা পারলেও ঐ একই ব্যাক্তি/প্রতিষ্ঠান কে উক্ত সোর্স থেকেই ঋণ দিতে হবে। ততোদিনে গ্রহিতার ভিতর একটি পলিসি ও এক্সপেরিয়ান্স গ্রো করবে। আমাদের দেশের প্রধান প্রধান এ.জি.ও. গুলোতে রিইনভেস্টমেন্ট হতে হতে আজ বিশাল ফান্ড সৃষ্ট হয়েছে। আমাদের এতোবেশি সুদ বা সুদের দরকার নেই। আপনারা প্রসেসিং চার্জ নিতে পারেন।

সবকটি এন.জি.ও. মিলে একটি কমন ছকে চালান। একই গ্রহিতা যেনো একই সময়ে একাধিত এন.জি.ও. থেকে লোন নিতে না পারেন- এই ব্যাপার নিশ্চিত করুন। ক্লিয়ারেন্স রাখুন।

আপনারা মাইক্রোক্রেডিস বাদে অন্য যে সব জনকল্যানকর কাজ করছেন- তার স্বচ্ছতা রাখুন। ১০০% দানে কোনো আর্থিক ফান্ড চালাবেন না অথবা কোনো ভোক্তাকে কোনোকিছু একদম মাগনা দিবেন না। আপনাদের পুজি সবসময় রিইনভেস্টমেন্টের উপরে থাকবে। একটি গবাদি পশুও যদি কাউকে দেয়া হয়। সেখানে টার্মস এ্যান্ড কন্ডিউশন থাকবে ঐ গবাদি পশুটি অবশ্যই উৎপাদন মুখি করতে হবে। যেমন ঐ সাময়িক দানকৃত গবাদি পশু দুটি বাচ্চা দেবার পর থেকে কিস্তির মাধ্যমে দাম পরিশোধ শুরু করাতে হবে।
চলবে...
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×