somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সালাফী দাবীর বাস্তবতা_____________

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সালাফী শব্দটির মুল হচ্ছে ‘সালাফ’, যা সাধারনতঃ অতিবাহিত বা পূর্ববর্তী অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। (আল-মু’জমূল অসিত, পৃষ্ঠা- ৪৪৩)

আর যারা অতিবাহিত বা পূর্ববর্তীদের অনুসরণ-অনুকরণ করে তারাই হলো ‘সালাফী’। যা যেহেতু ইসলামী ইতিহাসের প্রথম তিন যুগের মহামনীষীগণ, অর্থাৎ সাহাবা (রা) তাবঈন ও তাবে তাবেয়ীগণই রাসূল স. এর ভাষায় পূর্বসূরী হওয়ার সর্বোৎকৃষ্ট ও প্রকৃত অধিকারী। তাই, যে তাদের অনুসৃত আদর্শ ও ব্যাখ্যার আলোকে কুরআন ও হাদীসকে আঁকড়ে ধরবে সে-ই হবে সত্যিকারার্থে ‘সালাফী’ তথা পূর্ববর্তীদের অনুসারী।

সাহাবী ইমরান ইবনে হুসাইন রা. থেকে বর্ণিত একটি সুপ্রসিদ্ধ হাদীসে মহানবী স. ইরশাদ করেন,‘
আমার সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত, আমার যুগের উম্মত। (অর্থাৎ সাহাবাগণ সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত) অতঃপর শ্রেষ্ঠ উম্মত তাঁরা, যাঁরা সাহাবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হবে (অর্থাৎ তাবেয়ীগণ) অতঃপর শ্রেষ্ঠ উম্মত তাঁরা, যাঁরা ২য় যুগের উম্মত তথা তাবেঈগণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হবে, (অর্থাৎ তাবে-তাবেয়ীগণ)অতঃপর এমন জনগোষ্ঠির আগমন ঘটবে যারা সাক্ষ্য দিলে তা গ্রহণ করার উপযুক্ত হবে না, আমাদের জন্য বিশ্বস্ত হবেনা, অঙ্গীকার রক্ষা করবে না, এক কথায় তাদের মধ্যে কেবল অসৎ ও অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকবে’।
(বুখারী শরীফ, ফাজায়ালে সাহাবা, হাদীস নং-৩৬৫০, বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেখুন ফাতহূল বারী, পৃ: ৭/৬)

এ হাদীসের আলোকে এ কথা সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, ইসলামী ইতিহাস অনুসরণীয় পূর্ববর্তী স্বর্ণযুগ বলতে উপরোল্লিখিত তিনটি যুগই বুঝায়। আর এ তিন যুগের সমাপ্তি ঘটেছে হিজরী তৃতীয় শতাব্দীর সূচনালগ্নে। তাই হাফেয যাহাবী রহ. লিখেন, ‘পূর্ববর্তী যগ বলতে হিজরী তৃতীয় শতাব্দীর সূচনা লগ্নেই বুঝায়’।
(মিজানুল ই’তেদাল, পৃ: ১/৪)

বর্তমান তথাকথিত ‘সালাফী’ নামধারীদের সালফে ছালেহীন বা সাহাব, তাবঈন ও তদসংশ্লিষ্ট ইমামদের সংগে কতটুকু সম্পর্ক রয়েছে (?), তা তলিয়ে দেখা প্রয়োজন। তাদের প্রকাশিত বিভিন্ন ধরনের পকেট-পুস্তিকা ও চ্যালেঞ্জ-বিবৃতিতে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, ‘যারা পবিত্র কুরআন ও হাদীসের ভিত্তিতে জীবন সমস্যার সমাধান খুঁজে নেবে তারাই সালাফী বা আহলে হাদীস, তারাই মুক্তিপ্রাপ্ত দল, জান্নাতের অধিকারী’।
(দ্র: আহলে হাদীস আন্দোলন কি ও কেন, পৃ: ৪-১৩)

তাদের এহেন বক্তব্য বাহ্যত খুবই আকর্ষণীয়। কিন্তু একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই ধরা পড়বে যে তারা অত্যন্ত সুচতুরতার সাথে বিষ মিশ্রণ করে দিয়েছে। কেননা তাদের এ বক্তব্যে সাহাবায়ে কিরাগণের অনুসৃত আদর্শও যে দ্বীন ও শরীয়তের অন্তর্ভূক্ত এ কথাকে অতি ধূর্রততার সাথে অস্বীকার করা হয়েছে।

তথাকথিত আহলে হাদীস আন্দোলনের বাংলাদেশের বর্তমান মূখমাত্র জনাব ড. আসাদুল্লাহ আল-গালিব তার লিখিত ‘আহলে হাদীস আন্দোলন কি ও কেন’ পুস্তিকার প্রারম্ভিকা থেকে সমাপ্তি পর্যন্ত, বিশেষ করে ৪ ও ১৩ নং পৃষ্ঠায় এ কথাই বুঝনোর প্রয়াস চালিয়েছেন যে, আহলে হাদীস আন্দোলন পূর্ববর্তী কোন ব্যক্তিবর্গের আনুগত্য করা নয় বরং একমাত্র কুরআন ও হাদীসেরই ইত্তিবা করা।

এ জন্যই এ মতবাদের পরিচয় দিতে যেয়ে ভারতবর্ষের অন্যতম হাদীস বিশারদ শাহ ওয়ালীওল্লাহ মুহাদ্দেসে দেহলভী রহ. লিখেন,‘তারা না ক্বিয়াস মানে, না সাহাবা ও তাবেয়ীদের অনুসৃত আদর্শ মানে, যেমন মতবাদের প্রবক্তা ছিলেন দাউদ যাহেরী ও ইবনে হাযাম যাহেরী’।
(হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগাহ, পৃ: ১/১৬১)

অথচ রাসূল স. এর পবিত্র হাদীস হল,‘আমার তরীক্বা এবং আমার পরবর্তী সত্যের আলোকবর্তিকা হিদায়াতপ্রাপ্ত সাহাবাদের তরীক্বা আঁকড়ে ধরা তোমাদের জন্য একান্ত জরুরী’।
(তিরমিযী শরীফ, কিতাবুল ইলম, বাবু মা-জায়া ফিল আখজে বিসসুন্নাহ, পৃ:৫/৪৩, হাদীস নং-২৬৭৬)

অনুরূপভাবে অনেকগুলো ভ্রান্ত দলসমূহের বাহিরে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি দলের পরিচয় দিতে যেয়ে প্রিয় নবী স. ইরশাদ ফরমান,রাসূল (সঃ) বলেছেন, “ওহে, অবশ্যই যারা তোমাদের পূর্বে ছিল তারা ৭২ দলে বিভক্ত ছিল এবং অবশ্য্ই আমার এই উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। ইহাদের সকল দলই দোযখে যাবে এক দল ব্যতিত। সাহাবা (রাঃ) জিজ্ঞেসা করলেন, “ইয়া রাসূলুল্লাহ, সেটি কোন দল? নবী (সঃ) বললেন, ” আমি এবং আমার সাহাবীগণ যার উপর আছি, তার উপর যারা থাকবে।”
(তিরমিজী ও আবু দাউদ, রেওয়ায়েতে মেশকাত শরীফ ১ম খন্ড, হাদীস নং- ১৬৩)

লক্ষনীয় যে, প্রথমোক্ত হাদীসে মহানবী স. তার তরীক্বার সঙ্গে সঙ্গে সাহাবাদের তরীক্বাকেও আঁকড়ে ধরতে নির্দেশ করেছেন। তেমনিভাবে দ্বিতীয় হাদীসেও মহানবী স. তার তরীক্বার প্রতিষ্ঠিতদেরকে যেমনভাবে মুক্তিপ্রাপ্ত দলে গণ্য করেছেন অনুরূপভাবে সাহাবাদের (রা.) তরীক্বা বা আদর্শে প্রতিষ্ঠিতদেরকেও মুক্তিপ্রাপ্ত দলেই গণ্য করেছেন। তাই উপরোক্ত হাদীস দুটি এবং এ ধরনের আরও অসংখ্য হাদীসের আলোকে একথা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, সাহাবাগণের তরীক্বা বা অনুসৃত আদর্শ আমাদের জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়, তারাই আমাদের প্রথম সারির ‘সালাফ’ বা পূর্ববর্তী সুতরাং যারা তাদের অনুসরন করবে তারা সালাফী। আর যারা তাদের অনুসরন করবে না তা ‘সালাফী’, দাবী করার অধিকার রাখেনা। বরং তারা ‘খেলফী’ ও ভ্রান্ত দাবীদার মাত্র।

সাহাবায়ে কেরাম (রা) সম্পর্কে গাইরে মুক্বাল্লিদদের আক্বীদা :

উপরোল্লিখিত সংক্ষিপ্ত আলোচনার আলেকে প্রতীয়মান হয়েছে যে, রাসূল রা. এর সম্মানিত সাহাবীগণের মূল্যবান বাণী ও তাদের অনুসৃত আদর্শ আমাদের জন্য পাথেয় এবং অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। আর এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সর্বসম্মত আক্বীদা। পক্ষান্তরে গাইরে মুক্বাল্লিদ বা সালাফীদের আক্বীদা হল যে, সাহাবাদের কোন বাণী, তাদের অনুসৃত আদর্শ অনুসরণযোগ্য নয় এবং অনুসরণ করা ধর্মহীনতা ও অন্ধ বিশ্বাসের নামান্তর।

তাদের উক্ত আক্বীদার প্রমান স্বরূপ ভারতবর্ষে গাইরে মুক্বাল্লিদদের প্রধান মুখপাত্র নবাব ছিদ্দিক্ব হাসান খানের কয়েকটি উক্তি নিম্নে প্রদত্ত হল :

‘সাহাবাদের কথা দলীল স্বরূপ পেশ করা যাবে না’(আর রাওজাতুল নাদীয়াহ, পৃ: ১/১৪১)

‘ এবং তাদের বুঝ নির্ভরযোগ্য নয়’।(আর রাওজাতুল নাদীয়াহ, পৃ: ১/১৫৪)

‘এবং সাহাবাগণের আমল দলীল হওয়ার উপযোগী নয়’।(আততাজ আল-মুক্বাল্লিদ, পৃ: ১৯২)

গাইরে মুক্বাল্লিদদের সর্বাধিনায়ক সাইয়্যেদ নযীর হুসাইন বলেন,‘সাহাবীদের কথা প্রমাণযোগ্য নয়’।(ফাতাওয়ায়ে নজীরিয়া, পৃ: ১/৩৪০)

গাইরে মুক্বাল্লিদদের আক্বীদা সাহাবায়ে কিরামের (রা) আদর্শ অনুসরণের ব্যাপারে অনীহার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তাদের কতিপয় আলেম ভ্রষ্ট শিয়াদের পদাংক অনুসরণ করে সাহাবাদেরকে ফাসেক্বও বলেছে। গাইরে মুক্বাল্লিদদের বিশেষ মুখপাত্র নবাব ওয়াহিদুযযামান তার রচিত গ্রন্থ নুযুলুল আবরোরে (পৃ: ২/৯৪) লিখেছেন, ‘সাহাবাদের মধ্য হতে কিছু সংখ্যক ফাসেক্বও ছিল, যেমন:- ওয়ালিদ, তেমনিভাবে মুয়াবিয়া, উমর, মুগীরা ও সামুরা প্রমুখ সম্মন্ধেও অনুরূপ বলা যেতে পারে’ (!!!!!!!)

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ ! সাহাবায়ে কেরাম (রা) কি আমাদের সালাফ বা পূর্বসুরী নয় ? নয়কি তাদের অনুসৃত আদর্শ আমাদের জন্য পাথেয় ? আর তারাই যদি আমাদের পূর্বসূরী না হয়, তাহলে কারা হবে ?

সুতরাং সাহাবা সম্বন্ধেই যাদের এ হীন মন্তব্য আর আক্বীদা তাদের সালাফী দাবী করা অবান্তর, হাস্যকর ও গভীর চক্রান্ত বৈ আর কি হতে পারে।

যদি হযরত সাহাবায়ে কেরাম রা. সম্বন্ধে তাদের এরূপ ধারনা আর এরূপ বৈরী আক্বীদা হয় তাহলে, সাহাবা পরবর্তী তাবেয়ী ও আইম্মায়ে মুজতাদিগণ সম্বন্ধে তাদের কেমন জঘন্যতম আক্বীদা ও বিরাগ-বিকর্ষন হবে তা আর উল্লেখ করার অপেক্ষা রাখে না। এমতাবস্থায় আমাদের প্রশ্ন হলে এতদসত্ত্বেও কোন সূত্রে, কোন যুক্তিতে তারা সালাফী দাবী করে?

নিরপেক্ষভাবে অনুসন্ধন করলেই দেখা যাবে যে, তারা মূলত ক্বাজী মুহাম্মদ ইবনে আলী আশ-শাওকানীর (মৃত ১২৫৫ হিজরী) অনুসরন-অনুকরণ, তথা তাক্বলীদ করে চলছে। আর তিনি হলেন এমন ব্যক্তিত্ব যিনি ইমামগণের তাক্বলীদ করাকে সম্পূর্ণ হারাম ও শিরক হিসেবে অভিহিত করেছেন। আর তিনিই গাইরে মুক্বাল্লিদদের ইমামের পদ অলংকৃত করেছেন ! এছাড়া একই মতাদর্শের বিধায় সুবিধামত কোন কোন ক্ষেত্রে ইমাম ইবনে হাযাম (মৃ: ৪৫৬) ইবনে তাইমিয়্যাহ (মৃ : ৭২৮) ইবনুল ক্বাইয়্যিম (মৃ: ৭৫১) এবং মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহহাব নজদী (মৃ: ১২০৬) প্রমুখেরও অনুসরণ করে আসছে বলে বাস্তবে দেখা যায়।

সুতরাং এ প্রশ্নটি থেকেই যায় যে, তথাকথিত ‘সালাফী’ দাবীদাররা ৫ম শতাব্দী বা ১৩শ শতাব্দী অথবা তৎপরবর্তী নিকৃষ্টতম যুগের লোকের পদাংক অনুসরণ করে যদি সালাফী দাবী করার ধৃষ্টাতা দেখাতে পারে তাহলে সাহাবা এবং প্রথম যুগের ইমাম বিশিষ্ট তাবেয়ী ইমামে আযম আবু হানিফা রহ.(জন্ম ৮০ হিজরী, মৃত ১৫০ হিজরী) অথবা ইমাম মালেক রহ. (মৃত ১৭৯ হিজরি) অথবা ইমাম শাফেয়ী রহ. (মৃ. ২০৪) অথবা ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ (মৃ. ২৪১ হিজরী) প্রমুখ প্রথিতযশা ইমামগণ কর্তক প্রদত্ত কুরআন ও হাদীসের ব্যাখার অনুসরণ যাঁরা করে আসছে তারা তারা ‘সালাফী’ হবে না কেন ??????


বরং আমরা বলব, তারাই হলো প্রকৃত ‘সালাফী’।আর তথাকথিত ‘সালাফী’ নামের ধব্জাধারীরা নামে মাত্র ‘সালাফী’। সালফে সালেহীন বা পূর্ববর্তী সৎ ও মহৎ ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের কোন সামঞ্জস্যতা নেই। তাই তারা সালাফী নয়, বরং তারা হলো ‘খেলফী’ অর্থাৎ বিরুদ্ধাচারণকরী। কারণ, তারা সালফে সালেহীদের আনুগত্যের লেশমাত্রও তাদের মধ্যে নেই। হ্যা, সাম্প্রতিককালে সাউদি আরবের ‘রবী আল-মাদখারী ও মুহাম্মদ আল-মাদখালী’ প্রমুখ কট্টরপন্থী ব্যক্তিদের আনুগত্য ও তাক্বলীদ করতে তাদেরকে দেখা যাচ্ছে। আর এরাই তাদের সালফে তথা পূর্বসূরী ও অনুকরণযোগ্য বলে বিবেচিত। সুতরাং তারা এ সমস্ত কট্টরপন্থী (…সালাফুস সাউদিয়্যিন) সাউদি সালফের অনুকরণ করে হিসেবে তারা সালাফী। পক্ষান্তরে সমস্ত মুসলিম উম্মাহ সলফে সালেহীনের অনুসরণ করে বিধায় তারা হল প্রকৃত অর্থে ‘সালাফী’।

আশা করি উপরোক্ত আলোচনায় প্রতীযমান হয়েছে যে, সালফে সালেহীনের সঙ্গে যাদের সামঞ্জস্যতা নেই তাদেরই নাম রেখেছে ‘সালাফী’, আর হাদীসের সাথে যাদের কোন সম্পর্ক নেই তাদেরই নাম রেখেছে ‘আহলে হাদীস’। উল্লেখ্য যে, সালফের সঙ্গে যে তাদের সামঞ্জস্যতা নেই বা হাদীসের সাথে তাদের কোন সম্পর্কে না থাকা সত্ত্বেও নিজেরদের নাম সালাফী রাখা এবং সালাফী দাবী করা, আর হাদীসের সাথে সম্পর্ক না থাক সত্ত্বেও নিজেদের নাম আহলে হাদীস রাখা। কেননা এ নামের মুখোশ পড়ে সরলমনা সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলামানদেরকে তারা সহজে প্রতারণা করতে সক্ষম হচ্ছে। মোটকথা, তাদের সুদূর প্রসারী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জাল হিসেবে তারা এ সমস্ত নাম ও ইসলামী পরিভাষাগুলো ব্যবহার করে আসছে। তাই এ নাম ও পরিভাষাসমূহের আসলরূপ উন্মোচন করা এবং এর মূল রহস্য উদঘাটন করে তা অনুধাবন করা প্রতিটি সত্যানুসন্ধিসু, ঈমানদান, উদার মুসলিমের একান্ত অপরিহার্য্ কর্তব্য।

সহায়ক গ্রন্থ :

তথাকথিত আহলে হাদীসের আসল রূপ,
মুফতি রফিকুল ইসলাম আল-মাদানী,
লিসান্স: (হাদীস) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদীনা শরীফ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৮
৯টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড্রাকুলা

লিখেছেন সুদীপ কুমার, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

কোন একদিন তাদের মুখোশ খুলে যায়
বেরিয়ে আসে দানবীয় কপোট মুখায়ব।

অতীতে তারা ছিল আমাদের স্বপ্ন পুরুষ
তাদের দেশ ছিল স্বপ্নের দেশ।
তাদেরকে দেখলেই আমরা ভক্তিতে নুয়ে পড়তাম
ঠিক যেন তাদের চাকর,
অবশ্য আমাদের মেরুদন্ড তখনও... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×