somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পল গোয়েবল বিগ লাই থিওরী,৩৫ বছর ধরে লালন করা কয়েকটি মিথ্যা । ইতিহাসের কাঠগড়ায় যখন সত্য ।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হিটলারের প্রচারমন্ত্রী অসাধারণ বাগ্মী রাজনীতিবিদ http://en.wikipedia.org/wiki/Joseph_Goebbels পল গোয়েবলস তার জীবনের শেষের দিকে এসে রাশিয়া কর্তৃক জার্মান আক্রান্ত হওয়া দেখে এবং তাদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবি জেনে নিজে স্বস্ত্রীক আত্বহত্যা করার আগে নিজের ছয় ছয়টি শিশু সন্তানকে মরফিন ইনজেকশন ও সায়ানিড ক্যাপসুল খাইয়ে হত্যা করেছেন অমানবিক ও নিষ্ঠুর বর্বরতায়, সেটাও তার কুখ্যাতির আসল কারণ নয়। ইহুদী নিধনের হলোকাষ্ট কর্মসুচিও তার কুখ্যাতির আসল কারন নয়। তার কুখ্যাতির আসল কারন যেটা সেটা আমরা সবাই জানি । আর তা হল তিনি একজন সত্য হন্তারক। সত্যকে হত্যা করার "বিগ লাই থিওরী" বা প্রোপাগান্ডা থিওরি ---যার সারমর্ম হচ্ছে একটা মিথ্যাকে যদি বার বার ব্যাপক ভাবে, সরকারি সকল প্রশাসন যন্ত্রকে বা এক কথায় মিডিয়া উইং দিয়ে প্রচার করা হয় তখন সেটি সত্যের মত শুনায় এবং মানুষ আর আসল সত্যটা খুঁজে পায় না। সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বলে চালিয়ে দেয়া অথবা সত্যের সাথে মিথ্যা কিংবা মিথ্যার সাথে সত্যকে মিশ্রিত করে ফেলে সত্যকে আর ‘সত্য’ না রাখা। সত্যকে বদলে ফেলা। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন আবিস্কার(কু) খুব কমই আছে। হয়ত বিশ্বের রাজনীতিবিদগন তার উপর কৃতজ্ঞ থাকবেন যুগে যুগে। অনেকের ক্ষমতা আরোহন, ক্ষমতাচ্যুত বা ক্ষমতার দীর্ঘায়ন এই থিওরীকে কেন্দ্র করে রচিত। তো এই থিওরীটা বাংলাদেশে কতটা জনপ্রিয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদি ও তার থিওরীটা বেশ অনেক বছর নিরবে কাজ করে যেতে পারে কিন্তু সত্য ও তো কম বড় বদমাশ নয়!!! কিছু দিন পরে হলেও সে কবর থেকে উঠে আসে আর দাত বের করে হাসে। আর ইতিহাস বড় নির্মম, বড় একরোখা তাই এই থিওরী কিছুটা সময় কাজ করলেও এক সময় সেটা আর কাজ করে না ।
ইতিহাসের কথা যখন চলেই এসেছে তখন ইতিহাসের আরেকটা দিক ও একটু আলোক পাত করি---সেটা হল ইতিহাসের নিরপেক্ষতা নিয়ে। ইতিহাস সব সময় রচিত হয়, লালিত হয় জয় লাভ করা গোষ্টির দ্বারা। তাই সেখানে পরাজিত গোষ্টির চরিত্র সঠিক বিচার পায় না। হিটলার আদতেই একজন উগ্র জাতিয়তাবাদি ছিলেন সন্দেহ নেই, কিন্তু তার ইতিহাসতো রচনা করেছে জয়ী ইংরেজ!!! আর ইংরেজরা তার ভাল দিক যে একটুও রাখবে না এবং ঘটনার ভিন্ন রঙ দিয়ে নিজেদের দিকে আনবে না এমন কোন গ্যারান্টি কি আছে? যেমন ধরুনই বাংলার মুকুট হীন সম্রাট শেখ মুজিব শহীদ হওয়ার পর যাদের হাতে মিডিয়া উইং ছিল তারাতো চাইবেই যে শেখ মুজিবের অপবাদ। কারন এই ক্যারিশমাটিক ব্যাক্তিটির জনপ্রিয়তায় ধস না নামানো পর্যন্ত যে বাংলার মসনদ কখনোই মীর জাফরদের অনুকুলে থাকবে না ,তা তারা ভাল করেই জানে। তাই উল্লাসে আসে নানাবিধ অপপ্রচার।
যা হোক যে বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করব বলে আসছিলাম, তার একটি একটি বলতে শুরু করি।
শেখ কামাল ডালিমের স্ত্রী নিম্মীর কিডনাপ প্রসংগ
আসি শেখ কামালের একটু পরিচয়ে -----শেখ মুজিবের জৈষ্ঠ ছেলে সবাই জানি , আরো একটা বিষয় জানি সেটা হল উনি আবাহনী ক্রীড়া সংগঠনের প্রতিষ্টাতা। আর একটু একটু জানি ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার সময় তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এমএ শেষ পর্বের পরীক্ষা দিয়েছিলেন। গান শিখেছেন ছায়ানটে। নাটক করতেন। নিজে নাট্যদল প্রতিষ্ঠা করেন। অভিনয়ও করেছেন। শিল্প-সংস্কৃতির জগতে ছিল তার বিচরণ । আর তা জানা যায় স্বয়ং খুনি মেজর ডালিমের লিখায়, জানা যায় জিয়ার উপদেষ্টা আবুল ফজলের লিখায় , জানা যায় তার বন্ধু বিএনপির সাবেক বিদ্যুত মন্ত্রী ইকবাল মাহমুদ টুকুর মুখ থেকে যিনি তার সাথে ছিলেন ব্যাংক ডাকাতির কথিত মাইক্রোবাসে ও। খেলাধুলা, সঙ্গীত ও নাটক নিয়ে সময় কাটিয়েছেন। ১৯৭৫ সালের হত্যা কান্ডের বৈধতা দিতে, জাসদের ভুল বিপ্লবের প্রোপাগন্ডার শিকার হতে---আমাদের ও ৩৫ বছর ধরে শুনে আসতে হয়েছে তিনি অস্ত্র হাতে ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়েছিলেন বিজয় দিবসের আগের রাতে। আমাদের ও শুনতে হয় তিনি ডালিমের সুন্দরী স্ত্রী নিম্নিকে কিডনাপ করেছিলেন সুলতানা কামালের মত স্ত্রী ঘরে রেখে। http://www.majordalimbangla.net স্বয়ং ডালিমের নিজের ওয়েভ সাইট
ঘেটে তার লেখা যত বই "যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি " কিছু কথা কিছু ব্যাথা"ঘেটে যার কোন ইশারা ও পাওয়া যায় না তাই বিরুধী পক্ষ এতদিন খেতে দিলেন আমাদের? ইতিহাসের ভুল পাঠ? পাওয়া যায় মেজর ডালিমের বইয়ে- নিজেই উল্লেখ করেছেন তাদের কিডনাপের সবিস্তার যদিও তিনি দিয়েছেন তারমত করেই কিছুটা নিজের রঙে । তার মুখ থেকেই শুনি ।
" রেডক্রস চেয়ারম্যান এবং তদানীন্তন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ প্রধান গাজী গোলাম মোস্তফা নিম্মী এবং আমাকে বন্দুকের মুখে লেডিস ক্লাব থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ১৯৭৪ সালের মাঝামাঝি ঘটে এক বর্বরোচিত অকল্পনীয় ঘটনা। আমার খালাতো বোন তাহ্‌মিনার বিয়ে ঠিক হল কর্নেল রেজার সাথে। দু’পক্ষই আমার বিশেষ ঘনিষ্ট। তাই সব ব্যাপারে মধ্যস্থতা করতে হচ্ছিল আমাকে এবং নিম্মীকেই।
-------আমাকে গাড়িতে তুলতেই খালাম্মা এবং নিম্মী দু’জনেই গাজীকে বলল,
-ওদের সাথে আমাদেরকেও নিতে হবে আপনাকে। ওদের একা নিয়ে যেতে দেব না আমরা।
-ঠিক আছে; তবে তাই হবে। বললেন গাজী।--------
-গাজী সাহেব আপনি আমাদের নিয়ে যাই চিন্তা করে থাকেন না কেন; লেডিস ক্লাব থেকে আমাদের উঠিয়ে আনতে কিন্তু সবাই আপনাকে দেখেছে। তাই কোন কিছু করে সেটাকে বেমালুম হজম করে যাওয়া আপনার পক্ষে কিছুতেই সম্ভব হবে না।
আমার কথা শুনে কি যেন ভেবে নিয়ে তিনি আবার তার গাড়িতে গিয়ে উঠলেন। কাফেলা আবার চলা শুরু করল। তবে এবার রক্ষীবাহিনীর ক্যাম্পের দিকে নয়, গাড়ি ঘুরিয়ে তিনি চললেন ৩২নং ধানমন্ডি প্রধানমন্ত্রীর বাসার দিকে। আমরা হাফ ছেড়ে বাচলাম।
---------------
-হারামজাদা, এইডা কি করছস তুই?
গাজীকে উদ্দেশ্য করে গর্জে উঠলেন শেখ মুজিব। চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে নিম্মী এবং আমাকে জড়িয়ে ধরলেন তিনি। খালাম্মা ঠিকমত হাটতে পারছিলেন না। কামাল, রেহানা ওরা সবাই ধরাধরি করে ওদের উপরে নিয়ে গেল। শেখ সাহেবের কামরায় তখন আমি, নিম্মী আর গাজী ছাড়া অন্য কেউ ছিল না। নিম্মী দুঃখে-গ্ল্যানিতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল। শেখ সাহেব ওকে জড়িয়ে ধরে সান্তনা দিতে চেষ্টা করছিলেন। ----------
গাজী -মাফ চা নিম্মীর কাছে।
গাজী শেখ সাহেবের হুকুমে নিম্মীর দিকে এক পা এগুতেই সিংহীর মত গর্জে উঠল নিম্মী,
-খবরদার! তোর মত ইতর লোকের মাফ চাইবার কোন অধিকার নাই; বদমাইশ।
এরপর শেখ মুজিবের দিকে ফিরে বলল নিম্মী,
-কাদের রক্তের বদলে আজ আপনি প্রধানমন্ত্রী? আমি জানতে চাই। আপনি নিজেকে জাতির পিতা বলে দাবি করেন। আমি আজ আপনার কাছে বিচার চাই। আজ আমার জায়গায় শেখ হাসিনা কিংবা রেহানার যদি এমন অসম্মান হত তবে যে বিচার আপনি করতেন আমি ঠিক সেই বিচারই চাই। যাদের রক্তের বিনিময়ে আজ আপনারা জাতির কর্ণধার হয়ে ক্ষমতা ভোগ করছেন সেইসব মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ভুলুন্ঠিত করে তাদের গায়ে হাত দেয়ার মত সাহস কম্বলচোর গাজী পায় কি করে?"
আমি অনেক চেষ্টা করেও সেদিন নিম্মীকে শান্ত করতে পারিনি। ঠান্ডা মেজাজের কোমল প্রকৃতির নিম্মীর মধ্যেও যে এধরণের আগুন লুকিয়ে থাকতে পারে সেটা আমার কাছেও আশ্চর্য লেগেছিল সেদিন। শেখ সাহেব নিম্মীর কথা শুনে ওকে জড়িয়ে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে বলেছিলেন,
-মা তুই শান্ত ’হ। হাসিনা-রেহানার মত তুইও আমার মেয়েই। আমি নিশ্চয়ই এর উপযুক্ত বিচার করব। অন্যায়! ভীষণ অন্যায় করছে গাজী কিন্তু তুই মা শান্ত ’হ। বলেই রেহানাকে ডেকে তিনি নিম্মীকে উপরে নিয়ে যেতে বললেন।"
আরো উঠে আসে তার লেখায় শেখ কামালের সহজ সরল অভিব্যক্তি--
"একরাতে হঠাৎ করে শেখ কামাল, সাহান এবং তারেক এসে উপস্থিত আমার কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসায়।
কি ব্যাপার কামাল। তোমরা এত রাতে এখানে ? প্রশ্ন করলাম।
-বস সরি! কিন্তু উপায় নাই। রাতটা আপনার বাসায় নিরাপদে কাটাবো বলেই এলাম। সকালে এসেছি পার্টির কাজে। সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম শহরে।-----
সবার মুখ দেখে বোঝাই যাচ্ছে কারোই খাওয়া হয়নি, এসো খেয়ে নাও; তারপর কথা বলার জন্য সারারাত পড়ে আছে।
-নিম্মী You are really great বলল কামাল। সবাই হাতমুখ ধুয়ে খেতে বসে গেল। এরা তিনজনেই বিশেষভাবে পরিচিত এবং আপনজন। খাওয়ার মাঝেই সাহান বলে উঠল,
-ডালিম ভাই কামাল বিয়ে করছে।
-তাই নাকি! তা হঠাৎ করে বিয়ে কি বিষয়?
-না মানে, সবাই ধরছে; না করে আর উপায় কি বস ? রাজি হতেই হল।
-এত খুবই সুখবর। তা তোমার স্কলারশীপের কি হল? সস্ত্রীক যাচ্ছ নাকি? জানতে চাইলাম আমি।
-যাওন যাইবো না বস। পড়ালেখা করার সময় নাই। এরপর কামাল র্শাটের কলারের একপ্রান্ত আঙ্গুল দিয়ে নাড়িয়ে বেশ একটু গর্বের সাথেই বলল,
- Future Prime Minister বুঝতেইতো পারেন কত কাম। একদম সময় নাই।
-সেটাতো বুঝতেই পারছি; কিন্তু There is no short cut to knowledge. মাত্রতো ২-৪ বছরের ব্যাপার ছিল। লেখাপড়াটা সেরে আসলে ভবিষ্যতে একজন Educated Prime Minister পেতাম। This is my only interest nothing else. তাই বলা আর কি। তাছাড়া আগামী দু’চার বছরেতো চাচা রিটায়ার করছেন না; সেক্ষেত্রে স্কলারশীপটা avail করলেই পারতে।------ খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হালকা আলাপ করে সবাই শুয়ে পড়েছিলাম। পরদিন নাস্তার পর ওরা ঢাকায় ফেরার জন্য রওনা হয়ে গেল।
সংক্ষেপ করে দিলাম -- বিস্তারিত পাবেন http://hrrh69.amarblog.com/posts/71771 নীড় সন্ধানীর এই পোষ্টে মন্তব্যের ঘরে http://forum.projanmo.com/topic13557.html প্রজন্ম ফোরামের এই টপিকটাতে

আসা যাক ব্যাংক ডাকাতি
আসলে আমাদের তথ্য প্রমানের ও দরকার ছিল না, একটা সাধরন চিন্তাই যথেষ্ট ছিল। মিথ্যা বর্ননাকে একটু টোকা দিলেই সেখান থেকে অসরতা খসে পড়তে দেখা যায় । বলা হয় ডাকাতি করতে গিয়ে গুলি খেয়েছেন আহত হয়েছিলেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্টের ছেলেরকি স্পটে গিয়ে ডাকাতি করা লাগে। যারা বলে তাদের কাছ থেকে একটু জানতে চাইবেনকোন ব্যাংকের ?জানতে চাইবেন সদ্য গত তারেক রাজকুমারের টাকার দরকার হলে তিনি কি অস্ত্রহাতে ব্যাংকে যাবেন? জানতে কি চেয়েছি সেই টাকা গেল কোথায়? ৫৪ সালে মন্ত্রীত্বের স্বাধ পাওয়া শেখ মুজিব ৩২ নম্বরের বাড়িটির কাজ শেষ করে যেতে পেরেছিলেন কিনা?বলতে পারেন মন্ত্রীর আর বেতন কত? হ্যাঁ সত্য এখানেই যে বেতনের বাইরে না হাটলে বাড়ির কাজ অসম্পুর্নই থাকে। নাকি সিরাজ শিকদারের ডাকাতিটা চালিয়ে দেবার পায়তারা চালিয়েছে শেখের ছেলের কাঁধে ---১৬ ই ডিসেম্বর সকালে বৈজ্ঞানিক সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ তাদের মিটিং থেকে প্রথম প্রচার করে "শেখ কামাল দলবল নিয়ে ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে গুলি বিদ্ধ হয়"। যেটি ছিল পুলিশের সাথে নিছক একটা ভুল বুঝাবুঝি। জিয়াউর রহমান ও গিয়েছিলেন শেখ কামালকে দেখতে হসপিটালে। জিয়ার উত্তরসুরীরা কি কখনো শুনেছেন এই কথা জিয়ার মুখে? সাথে সাথে খবরটি বাতাসের চেয়ে বেশী বেগে ছড়িয়ে পড়ে। ঐ যে একটা আংশিক সত্যের সাথে মিথ্যা ঢুকিয়ে দিয়ে আসল সত্যের মৃত্যু ঘটানো। আসলেই তারা বৈজ্ঞানিক। বৈজ্ঞানিক বলেই এখন নৌকার ছাঁইয়ের নীচে। ভুল বিপ্লবের স্বপ্ন দেখা জাসদের এই কবজ খানি পরবর্তীতে বিএনপি , জামাত ব্যবহার করে তাদের গলায়, যতনে বেঁধে রাখে বাম হাতে বছরের পর বছর। আর মোটা বুদ্ধির আওয়ামীনেতারা কেউ জেনে কেউ না জেনে চুপ করে ছিলেন। সে সময় সিরাজ শিকদার লুটপাট ব্যাংক ডাকাতি করে গরীবদের কাছে খাবার বিলি করছেন এই খবর ও তাদের দৈনিক গুলোতে ফলাও করে প্রচার পায়।
সিরাজ শিকদারকে নিয়ে লেখা কমরেড রোকন উদ্দিনের বই থেকে পাওয়া যায় "
'৭৩ সালকেই ধরা হয় সিরাজ সিকদারের স্বর্ণ সময়। গল্প ছড়িয়ে পড়ে সিরাজ ব্যাঙ্ক লুট করে অভাবী মানুষকে খাবার দিচ্ছেন। দখল করা হয় ময়মনসিং মেডিকেল কলেজ, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও টাঙ্গাইলের পাথরাইল পুলিশ ফাড়ি। "
এই কথার আসল ঘটনা না জানার কারনে আওয়ামীলীগের নেতারা ও মাঝে মাঝে এই বিষয়ে চুপসে যান। বিব্রত হন। বলতে ও দেখেছি তাদের গোপনে। আসল ঘটনা জানতে এনাকে দেয়া লস এন্জেলেস প্রবাসী ,ঘটনার প্রতক্ষ্য দর্শী আবুল ফজল মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান এর জবানবন্দি দেখুন।
বিস্তারিত পিডিএফ কপি ডাউনলোড করে নিতে পারেন esnip থেকে---www.esnips.com/doc/98ee06f0-39f4-44f1-b02e-3d08110a7375/sheikh-kamal-bank-robbery
আমি রহমান পিয়ালের করা পিডিএফ ফাইল
সিরাজ সিকদার কোথায়?
বরিশাল, মাদারী পুরের কিছু অংশ, কুষ্টিয়া , চুয়াডাংগা,মেহের পুর, ঝিনাইদাহ, এবং রাজবাড়ী এলাকার সাধারন মানুষের কাছে মাওবাদী সর্বহারার লিডার সিরাজ সিকদার এবং তার দল সর্বহারা একটি মুর্তিমান আতংক ।তার সম্পর্কে বিস্তারিত লিখলে এখানে পরিসর বেড়ে যাবে। অমি রহমান পিয়ালের গবেষনা পোষ্ট omipial.amarblog.com/posts/73771"ভুল বিপ্লবের বাঁশিওয়ালাতে" সব কিছু পাবেন
তো শুনে আসছিলাম শেখ মুজিব নাকি সিরাজ সিকদার মারা যাওয়ার পর দিন সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল " কোথায় এখন সিরাজ সিকদার।" সেদিনের সংসদ কার্যবিবরনী ঘেটে দেখা যাক---
আসলে কি বলেছিলেন "
১৯৭৪ সালে ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ গ্রেপ্তার হন সিরাজ শিকদার। এ বিষয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যা আছে।
২ জানুয়ারী সাভারে নিহত হন সিরাজ শিকদার। সরকারী ভাষ্য গাড়ি থেকে পালানোর সময় গুলিতে নিহত হন তিনি।
সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাস করানোর পর তার দ্বিতীয় বিপ্লবের (বাকশাল) বিশ্লেষণ করার এক পর্যায়ে (বক্তৃতার মাঝামাঝি) মুজিব বলেন : স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হওয়ার পর যারা এর বিরোধীতা করেছে, যারা শত্রুর দালালী করেছে, কোনো দেশেই তাদের ক্ষমা করা হয় নাই। কিন্তু আমরা করেছি। আমরা তাদের ক্ষমা করে দিয়ে বলেছি দেশকে ভালোবাসো। দেশের স্বাধীনতা মেনে নাও। দেশের কাজ করো। কিন্তু তারপরও এদের অনেকে শোধরায়নি। এরা এমনকি বাংলার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে বিদেশ থেকে টাকা নিচ্ছে। ওরা ভেবেছে আমি ওদের কথা জানি না! একজন রাতের আঁধারে মানুষ মেরে যাচ্ছে আর ভাবছে তাকে কেউ ধরতে পারবে না। কোথায় আজ সিরাজ শিকদার? তাকে যখন ধরা গেছে, তখন তার সহযোগীরাও ধরা পড়বে। আপনারা কি ভেবেছেন ঘুষখোর কর্মকর্তাদের আমরা ধরবো না? যারা বিদেশীদের থেকে টাকা নেয় তাদের আমরা ধরবো না? মজুতদার, কালোবাজারী আর চোরাকারবারীদের ধরবো না? অবশ্যই ধরবো। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার। তারা কিছুই হজম করতে পারবে না। ইনশাল্লাহ, পাপী একদিন ধরা পড়বেই...'
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই বিশৃংখলা কারী লুটে�রার জন্য বেশী মায়াকন্না করে যারা কমিউনিষ্ট বলতে মুখের থুতু ফেলান যারা তারা। এরশাদ সিকদার এখন কোথায়, বাংলা ভাই এখন কোথায়, ক্রস ফায়ারে নিহত পুর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির জয়নাল মাষ্টার এখন কোথায়? এই কথা যদি শুনি এখন কোন মুখ থেকে তাহলে কি আমার কানে বাজ পড়বে?
ওসমানীর না থাকা
আর সর্বশেষ ১৬ ই দিসেম্বরে ওসমানী কেন অনুপস্তিত ছিল তার ব্যাখ্যা উনি নিজেই দিয়েছেন। জেনেভা কনভেনশনে সাইনি না হওয়া, ৯২ হাজার সৈন্যের নিরাপত্তা, পাকিস্তানিদের অনিচ্ছা , সর্বপুরি প্রটোকল ঘটিত এবং ওসমানীর সিলেট অবস্তান । যদি ও সেখানে ওসমানীর ডেপুটি একে খন্দকার গিয়েছিল , মেজর হায়দার গিয়েছিল। ইদানিং এটা নিয়ে অতি উৎসাহী ভারতীয়রা এবং স্বাধীনতার ক্ষনটাকে কলংকিত করতে চাওয়া একটা মহলের অপতৎপরতা বেশ দৃষ্টি কটু লাগছে।
এর সমুচিৎ জবাব দিতে বিস্তারিত পড়তে পারেন মুক্তমনায়
http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=1952 নুরুজ্জামান মানিকের এই লিখায়
আমার ও একটা পোষ্ট আছে Click This Link কেন অরোরার কাছে
শেখ কামাল নিহত হয়েছেন, তার হত্যাকান্ডের ও বিচারের রায় হয়েছে। সে যদি অন্তত এই দুটি বিষয়ে নির্দোষ হয়ে থাকেন তাহলে দয়া করে তাকে মুক্তিদিন, রক্তস্নাত রাজনীতিতে আর না হয় নাই করলেন গোয়েবলেস এর মিথ্যা তত্ব এর ব্যবহার!!!
আর বর্তমানে শুরু করেছে জনপ্রিয় সাহিত্যিক লেখক জাফরইকবাল কে নিয়ে। আরো অনেক মানুষই পড়বে প্রতিক্রিয়াশীলদের খপ্পরে। তাই যারা অসাম্প্রদায়িক চেতানর তারা সাবধান থাকবেন, চোখ খোলা রেখে।
(অমি রহমান পিয়াল, নুরুজ্জামান মানিক, আদিল মাহমুদ, নীড় সন্ধানী ,জিয়াউল হক--সামু, প্রজন্ম ফোরাম এবং বরাবরের মত উইকিকে কৃতজ্ঞতা।)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৫৫
১৪টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×