somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তুলনামুলক অগোছালো আলোচনাঃআকবরের আমল-বর্তমান আমল ও ইসলাম প্রিয় জনতা

১১ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ একটী বই পড়ছিলাম। ঘটনা প্রসঙ্গে সেই বইয়ে আকবরের নাম এসে যায়। তখনি ভাবনায় খেলল আকবর ধর্মনিরপেক্ষতার উদাহরন ছিলেন। এমনি ধর্ম-নিরপেক্ষ ছিলেন যে হিন্দু ভাইদের একাদশি তে উনি মুসলিমদের রুটি বানানো ও খাওয়া বন্ধ করেছিলেন। অবশ্য হিন্দু ভাইরা রমজানে প্রকাশ্যে খেতে পারত, মুসলিম ধারি যারা রো্যা রাখত না তারাও প্রকাশ্যে খেতে পারত।
ধর্ম নিরপেক্ষ ছিলেন তাই উনি অগ্নি-সূর্য রপার্থনা করতেন, তার মহলে মন্দির বানিয়েছিলেন যেহেতু তিনি ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন তাই সবাই বাহবা করত।
তার পর খায়েশ হল ধর্মনিরপেক্ষ ধর্ম করতে, তাই এমন খিচুরি বানালেন, যাতে হিন্দু মুসলিম দের আচার গুলোকে গুলিয়ে বানালেন তার ধর্ম। উদ্দেশ্য হিন্দু ভাইদের সমর্থন তার পক্ষে রাখা। সব চেয়ে মজার ব্যাপার হল তার সাথে যোগ দিল কিছু লোভী মোল্লা। ফয়জী ফজল সহ অনেকেই।

তারাও আকবরের ধর্ম প্রচারে লেগে গেল। ততকালে সম্রাটের এই ধর্মের বিরুধীতা করলেন শায়খ মুজাদ্দেদে আল ফেসানী সহ কিছু দ্বীনি আলেম। আকবর সকল আলেমকে নিজের পক্ষে নিতে বিভিন্ন প্রলোভন দিতে লাগল। এতে অনেক আলেমি ই মুরতাদ হয়ে গেল। তারা টাকা-সম্পদের লোভে আকবরের বন্দনা ও তার ধর্মের পক্ষে চলে গেল। এদিকে মুজাদ্দেদে আলফেসানী ও আকবরের ধর্মের বিরুদ্ধে, তার বিধর্মি কাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।

আকবর কিন্তু এত ক্ষমতাবান হয়েও তাকে বন্দ্বী করতে সাহস পেল না বা হত্যা করতে সাহস করল না। ঢাকল দরবার। তার অনুসারী কত তা মুজেদ্দেদী কে দেখাতে চাইল। একদিকে আকবরি দরবার অন্য দিকে মুহাম্মদি দরবার। লজ্জ্বাজনক হলেও সত্য আকবরি দরবারি অনেক আলেম যোগ দিল, আকবর অনেক উপঢৌকন দিল, আর মুজেদ্দের সাথে রইলেন ইমানী শক্তি বলিয়ান কিন্তু গরীব সহায়-সম্বলহীন আলেমরা। কিন্তু হঠাত ঝড় এসে আকবরি দরবার ভেঙ্গে দেয়। তার অনেক আলেম সহ সে আহত হয়। অনেকে নিহত হয়। কিন্তু আল্লাহর মহিমা মুজাদ্দে আলফেসানীর মুহাম্মদি দরবারের কিছুই হয়নি। তারপরও আকবরের ধর্ম প্রচার থেমে থাকেনি। রাষ্ট্রের টাকায় মুসলিম নামধারী আলেমদের পরামর্শে তার ধর্ম চলতে থাকে আর চলতে থাকে পরোক্ষ নির্যাতন সত্যিকারের দ্বীনদারের প্রতি।

কিন্তু মজাদ্দেদে তার লক্ষ্যের প্রতি অটল ছিলেন, আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখেছিলেন তাইতো আকবরের মৃত্যুর পর তার মাতাল-পুত্র এক সময় আকবরের মৃত্যুর অনেক পর ইসলামের পথে আসে (এর পুর্বে সে মুজাদ্দেদে আলফেসানীকে বন্ধী করে, যুদ্ধে পরাজিত হয়, তারপর মুজাদ্দেদে তাকে রাজ্য ফিরিয়েদেন, এতে তার রিয়েলাইজেশন হয় ক্ষমা চায় এবং মাফ পায়, সেটা অন্য আলোচনা), মাফ চায় মুজাদ্দেদে আলফেসানীর কাছে, বাইয়াত নেয় তার কাছে। ইসলাম প্রচার এত সহজে হয়নি।অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল।

গত কিছুদিন থেকে ধর্মনিরপেক্ষ হাসিনা সরকারের কার্যক্রম , তাদের ইসলাম এর প্রতি বিদ্বেষ, নিজস্ব আলেম(অনেকে লোভে পড়ে) দের নিজস্ব ফতোয়া দেখে অনেকটাই আকবরের সাথেই তুলনা করা যায়। শুধু প্রধানমন্ত্রি নিজে এখনও নতুন ধর্ম ঘোষণা দেননি। কিন্তু আকবরের চেয়ে অনেক বেশী আলেম নির্যাতন করছেন। হত্যা করতেছে তার বাহিনী এবং এটা প্রকাশ্যে।
সাধারণ আলেম সহ ইসলাম প্রিয় মানুষদের প্রতি আহবান, সাময়িক কষ্টে মুষরে পড়বেননা, দুনিয়াবি আলেমদের ফতোয়া দেখে কষ্ট পাবেননা কারন নবিজী ইহকালে থাকতেই মোনাফেক বের হয়েছিল, আজ থেকে কয়েকশ বছর পূর্বে আলেম নামধারী জালেমরা ইসলাম বিদ্বেষীদের পক্ষে গিয়েছিল নিজেদের দুনিয়াবী স্বার্থে। কিন্তু আপনাদের পূর্বসুরিরা ধৈর্য হারা হননি, ইসলামের পথে অটল ছিলেন, কষ্ট স্বীকার করেছেন, আপনাদেরও করতে হবে আরও, তবে বিজয় সুনিশ্চিত ইনশাহ-আল্লাহ। ইতিহাসে ইসলাম প্রিয়দের উপর যত আঘাত এসেছে আর কোন ধর্মে এমন আঘাত আসেনি। কারন মুসলিমদের চিরশত্রু শয়তান অলক্ষ্যে ইসলামবিরুধীদের সব সময় ঐক্য গড়ে দিতে কাজ করেছে। এখনও করছে। আম-বাম-নাস্তিক-চুচীল বাইরের ইসলাম বিরুধী শক্তি এক হয়েছে, তারপরও ইমানদাররা লক্ষ্যে অটল থাকলে ব্জয় আসবে ইনশাহা আল্লাহ।
কোরানের আয়াত আছেঃ

তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে।

সূরা আল-ইমরানঃ ১৩৯ (আল-কোরআন)

....এভাবে আল্লাহ জানতে চান কারা ঈমানদার আর তিনি তোমাদের কিছু লোককে শহীদ হিসাবে গ্রহণ করতে চান। আর আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না।

সূরা আল-ইমরানঃ ১৪০ (আল-কোরআন)

সুতরাং আল্লাহ সত্যি,আল্লাহর রসুল সত্য কোরআন সত্য, বিজয় হবেই মোনাফেক সহ ইসলাম বিদ্বেষীদের জন্য থাকবে থু থু।
(গুছিয়ে লিখার সময় পেলাম না, ইলেক্ট্রিসিটী বার বার বিরক্ত করছে, আগামীতে গুছিয়ে পোষ্ট দিব ইনশাহ আল্লাহ)


Click This Link
Click This Link
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×