হে আল্লাহ! তুমি তোমার পরিচয় যেভাবে বান্দার সামনে তুলে ধরেছো তার সবকিছু না জানলেও এই টুকু জানি যে তুমি অনেক শক্তিশালী। তুমি মহাপরাক্রমশালী। তুমি সামিউন বাসির- সব দেখো সব শোন। তুমি কারো উপর জুলুম করো না। তোমার ক্ষমতা অসীম। তুমি প্রতিশোধ পরায়ণ। তুমি কৌশলি বিচারক। কোনকিছুই তোমার অজানা নয়। সবকিছু তোমার নখদর্পে। কোন ব্যাপারে কারো সাথে পরামর্শ করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করো না। তুমি যা চাও তাই করতে পারো। আবার তুমি নিজেও তোমার সৃষ্ট শৃঙ্খলা মেনে চলো। তোমার কোন অন্যায় নাই। তুমি ন্যায় অন্যায়ের উর্দ্ধে। তোমার কোন খুত নেই। তুমি সকল সৌন্দর্যের উৎস। তোমার এই সকল গুনের দোহাই দিয়ে তোমার নিকট একটা আর্জি পেশ করছি। হে আল্লাহ তোমার কোন দোষ নেই। আমরা তোমার বান্দারাই গুনাহগার। তুমি আমাদেরকে অতি আদর এবং øেহ করে সৃষ্টি করেছো। আমাদের বসবাসের জন্য এই আলোকিত সুন্দর পৃথিবী তৈরী করেছো। প্রতিটি উপাদানকে আমাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করার জন্য অনুগত করে পাঠিয়েছো। আমরা তার অপব্যবহার করে, নিজেরা মিছে অহংকারের বশবর্তী হয়ে, ক্ষমতার প্রতি লালায়িত হয়ে নিজেরা নিজেদেরকে গোলামীতে আবদ্ধ করে ফেলেছি। ক্ষমতার জন্য আধিপত্য করতে যেয়ে দেশে দেশে যুদ্ধ বাধিয়েছি। কাল্পনিক সীমারেখা তৈরী করে মানুষকে কোথাও ছোট্ট একটা ভুখণ্ডে আবদ্ধ করেছি আবার কোথাও বিশাল ভু-খন্ডে গুটি কতক মানুষকে রাজার হালে তোমার সম্পদ ভোগ করতে দিয়েছি। হে আল্লাহ! তোমার দোষ নাই। তুমি যত মানুষ পয়দা করেছো তার সমপরিমাণ খাদ্য রেজেক দিয়ে দিয়েছ। আমরা তার অসম বন্টন করে মানুষকে না খাইয়ে মারছি। হে আল্লাহ! এই কাজগুলো আমরা করলেও আমরা আমজনতা বলে যারা পরিচিত, তারা প্রত্যক্ষভাবে দায়ী নই। তুমি তো জানো, আমাদের মধ্যে যারা জনপ্রতিনিধি হিসাবে পরিচিত তারা আমাদেরকে গোলামে পরিণত করে রেখেছে। আমাদের সাথে তারা শুধুই প্রতারণা করছে। তারা তোমার দেওয়া ক্ষমতা গ্রহণ করে আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে আমাদের দুনিয়াটাকে জাহান্নামের একটা নমুনা বানিয়ে ফেলেছে। আমরা না জানতে পারি, তুমি তো জানো- তারা আমাদের নিয়ন্ত্রন করার জন্য কত পরিমাণে ভয়াবহ পারমানবিক বোমার মজুদ ঘটিয়েছে। এসবের একেকটার ধ্বংস ক্ষমতা কত তাও তুমি ভালোই জানো। হে আল্লাহ! তুমি তো এও জানো এই মুহূর্তে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের করণীয় কোন কিছু নাই। আমরা জনগণ আজ ভেড়ার পাল হয়ে গেছি। তারা একেকজন একেকটা জোট গঠন করে সিংহ হয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা নিতান্ত অসহায়। হে আল্লাহ তোমার সকল গুনের দোহাই দিয়ে তোমার প্রতি আমার একটা নিবেদন, তুমি আমাদের সহায় হও। তুমি তো অসহায় মজলুমের সহায়। তোমার কাছেই আমাদের শেষ গন্তব্য। পৃথিবীর সব আদালত থেকে আমরা নিরাশ হয়ে তোমার কাছে আরজি পেশ করছি। তুমি তোমার গুণের কিয়দংশ ব্যবহার করে দেখাও। তুমি তো অতীতে অনেক নবী রসুলের সত্যায়ন করতে গিয়ে অলৌকিক ঘটনা ঘটিয়েছে, মোজেজা ঘটিয়েছ। আজ তাও দাবী করছি না। তুমি তো কৌশলি । তোমার কিছু কৌশল প্রদর্শণ করো। বেশী কিছু করতে হবে না। তোমার অসীম ক্ষমতা থেকে তুমি অতি সামান্য কিছু পরিমাণ ব্যবহার করো- হে আল্লাহ! তুমি শুধু এই কাজটা করো, তুমি দয়া করে আমাদের নেতাদের কানের নিচে একটা চটকানা মারো। হে আল্ল্হা ! দয়া করে শুধুমাত্র এই সামান্য কাজটুকু করো। তোমার অসীম ক্ষমতা থেকে একটা চটকানাই যথেষ্ট। হে আল্লাহ! ঠিক কানের নিচে মারো আল্লাহ! এই নাদানের এই ছোট্ট দোয়াটা কবুল করো আল্লাহ। তোমার অনেক বান্দা খুশি হবে। হোক তারা নাদান, গোনাহগার, পাপী। তাদের কানের নিচে মারলে তাদের হুশ হবে বলে মনে করি। তারা আমাদের কোন কথাই শুনছে না। আমার এই আরজিটা রাখলে প্রতিদানে হয়তো আমি তোমাকে কোন কিছুর বিনিময়ে খুশি করতে পারবো না। তবু তোমার একজন পাপী বান্দা মনে অনেক আনন্দ পাবে।
আলোচিত ব্লগ
বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।
১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
নিজামী, মুজাহিদ, বেগম জিয়াও বিজয় দিবস পালন করেছিলো!!

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেগম জিয়ার মুরগী মগজে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলো না; বেগম জিয়া বিশ্বাস করতো না যে, বাংগালীরা পাকীদের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারে;... ...বাকিটুকু পড়ুন
১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার থেকে

১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।