রাজনীতির এই কোনঠাসা সময়ে ১৮ দলীয় জোটের এমন বিজয় আমাদের কি বার্তা দেয়? অনেকে মনে করে থাকবেন যে আওয়ামীলীগের দু:শাসনের একি কড়া জবাব । কেউ বলবেন এটি ধর্মবিশ্বাসী মানুষের ঘৃণার বহি: প্রকাশ আওয়ামী লীগের প্রতি। ইতিমধ্যে ব্লগ, ফেসবুকে ছড়াছড়ি হচেচ এই বিজয়ের আনন্দোল্লাস। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে বিষয়টি কি?
প্রকৃতপক্ষে এতে আঠার দলীয় জোটের এতে খুশি হবার কোন কারণ নেই। কারণ:
১: এই চারটি সিটির বিনিময়ে আওয়ামীগ প্রমাণ করতে চেষ্টা করবে যে এই সরকারের আমলে তত্বাবধায় ছাড়াই ভোট গ্রহণ সম্ভব।
২: এতে প্রমাণীত হলো বিরোধীদলগুলোর দাবী করা তত্ত্বাবধায় সরকার অযুক্তিক।
৩: আওয়ামীলীগ হিসেব করলো এই দেশে স্বাভাবিক অবস্থায় আসলে তাদের পজিশন কোথায়।যাতে তারা পরবর্তী কার্যক্রম কি হবে সে সম্বন্ধে আগাম পরিকল্পণা নিতে পারে।
৪: জাতীয় নির্বাচনে তারা তত্ত্বাবধায়ক আনবে না, এই ব্যাপারে তারা আরো শক্ত অবস্থানে যেতে বাধ্য হবে।
৫: তারা নিশ্চিত হয়ে গেল আগামী দিন যদি তারা ক্ষমতা হস্তান্তর করে তাহলে নিশ্চিত ফিরে আসবে ২০০১ সালের দু:সহ স্মৃতি।
এমতাবস্তায় আওয়ামীলীগ যে তার অস্তিত্ব রক্ষার্থে মরণ কামড় দেবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এদিকে যারা খুশি হচ্ছেন তাদের জন্য পুরো বিষয়টিই বিপরীতে যাবে। আমি আগে ও বলেছিলাম এদেশের বর্তমান বিরোধী দল, হেফাজত এব্ং জামায়াত প্রত্যেকটা একেকটা স্টুপিডের দল। তাদের প্রকৃতপক্ষে কোন নীতি নৈতিকতা নেই। প্রধান দলটির আছে ভোগ করার লোভ। আর জামায়াত- না ইসলামের না গণতন্ত্রের। থাকতে হবে তাই আছি। প্রয়োজনে ইসলামের নাম করবো, আবার প্রয়োজনে কাগজে কলমে, রেজিস্ট্রেশনে গণতন্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেবো। অন্যদিকে হেফাজত হচ্ছে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। হঠাত অলৌকিকভাবে গজিয়ে ওঠা কোন বলির পাঠা।'পলিটিক্স' যদি কোন দল বোঝে তা হলো আওয়ামীলীগ। কিভাবে ছলে বলে কৌশলে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয় তার ঠাণ্ডা বুধ্ধি আছে এই দলটির।
আমার সমালোচনা আমার বন্ধু মহলের অনেকেই অপছন্দ করেন। অনেকের সামনে মুখে মুখে সত্য কথা রুঢ়ভাবে উচ্চারণ করায় আমার সাথে অনেকে সম্পর্ক করে খারাপ করে ফেলেছে। আমি জানি আমার সাথে অনেকেই একমত হবেন না। আওয়ামী সমর্থকরা বলবেন আওয়ামীলীগ এমন নয়, অন্যরেও তাই বলবে। কিন্তু প্রকৃত সত্য তাই। যদি এর ব্যতিক্রম দেখেন তাহলে সেদিন বলবেন। এর কারণ হিসেবে বলব, আওয়ামীলীগ আর কখনো তত্বাবধায়কের হাতে ক্ষমতা ছাড়বে না। কারণ, তাদের সামনে দগদগে ২০০১ ভুলে যাবার কথা নয়। শাহবাগ চত্তর ভুলে যাবার কথা নয়, শাপপলা চত্তর ভুলে যাবার কথা ণয়। এবারে তারা ক্ষমতাহীন হলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আর যারা আজকে আনন্দ করছেন তারা ভুলে যাবেন না যে আমাদের দেশের রাজনীতি আমাদের দেশ থেকে পরিচালিত হয় না। পরিচালিত হয়ে বাইরের প্রভুদের দান খয়রাতের টাকায়। যাদের দ্বারা তাদের কাজ সম্পন্ন হয় তারাই ক্ষমতায় যাবে।আরো মনে রাখতে হবে এই কলিযুগে এই শক্তির বিরুদ্ধে কোন দৈব সাহায্য ছাড়া বিজয় লাভ করা সম্ভব নয়। জলে থেকে কুমিরের সাথে লড়াই চলে না।লড়াই করতে হলে প্রয়োজন দৈব শক্তির প্রত্যক্ষ্য সাহায্য। কিন্তু সে সাহায্য পাবার যোগ্যতা এদের নেই। কারণ সবাই স্বার্থপর।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




