somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নতুন কিছু শুনলাম, মনে হয় আরো কিছু শুনতে হবে

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নতুন কিছু শুনলাম। যদিও এসব রাজনীতির সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই তবুও এ বিষয়টি নিয়ে দু'চার কথা বলার লোভ সঙবরণ করতে পারলাম না। এখন পর্যন্ত অনেক কিছু শুনলাম, অনেক কিছু দেখলাম। আশা করি ভবিষ্যতে আরো অনেক কিছুই দেখতে হবে। প্রাচীন রাজা বাদশাহরা তাদের ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ ও বৈধতা পাওয়ার জন্য ধর্মীয় মোল্লা কিংবা পুরোহিত লালন পালন করতেন। আর কথিত গণতান্ত্রিকরা পালন করেন বুদ্ধিজীবী। এরই একটি নমুনা দেখলাম ড. মো: আনোয়ার হোসেন নামের একজন বুদ্ধিজীবীর লেখনি থেকে। তিনি এবং সমভাবনার অধিকারীরা আওয়ামী সরকারকে বৈধতা ও চিরস্থায়ী ক্ষমতা দেওয়ার জন্য অদ্ভুত ব্যবস্থা আবিষ্কার করেছেন। আর তা হলো ‍"গণতান্ত্রিক একনায়কত্ব"।

মানুষের একধরনের রোগ হয় মৃত্যুকালে। একে ভিমরতি বলে। ইংরেজিতে সম্ভবত স্যানাইল বলে। এই রোগের লক্ষণ হচ্ছে উল্টাপাল্টা আচরণ করা। অনেকটা গরু হারানো হোজ্জার মত। গরু হারানো গেলে নাকি ছেলেকে ভাই এবং এর প্রতিবাদকারী বউকে মা বলে ডাকে। আমাদের তথাকথিত গণতন্ত্র প্রেমিদের গণতন্ত্রের প্রতি এতটাই বড় প্রেম যে ইনারা একনায়কত্ব কায়েম করেও এর সাথে গণতন্ত্র জুড়ে দিতে চান। এই চিত্রটি আমরা অনেক আগে থেকেই দেখে এসেছি। একশ্রেণির পথভ্রষ্ট ধর্মীয় রাজনীতিকরা গণতন্ত্রের দ্বারা এতটাই বায়াসড যে, তা ইসলামী গণতন্ত্র কায়েম করার স্বপ্ন দেখেন এবং পশ্চিমা সভ্যতার আবিষ্কৃত গণতন্ত্রের শিখানো মিটিং মিছিল, মানববন্ধন ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চান। আবার সমাজতন্ত্রের যুগে মুসলমানদের ভোট আদায় করার কৌশল হিসেবে ইসলামিক সমাজতন্ত্রও আবিষ্কার করেছিলেন। অনেকটা ইসলামি সুদের ব্যাংক ও ইসলামি মদের দোকানের মত আর কি।
আচ্ছা, এই বুদ্ধিজীবীরা তো কূপমুণ্ডুক মোল্লাদের খুব সমালোচনা করে থাকে। কিন্তু চরিত্রগতভাবে এই বুদ্ধিজীবীদের চেয়ে তাদের দূরত্বটা কোথায়? এদের এক অংশ ধর্ম নিয়ে ফতোয়া দেয় আর অন্য অংশ গণতন্ত্র নিয়ে একটার পর একটা ফতোয়া দেয়। তাদের চেহারা সূরত ছাড়া তো আমি আর কোন পার্থক্য দেখি না। কেন এই হিপোক্রেসি? একনায়কত্ব বলতে দোষ কোথায়? ওহ পশ্চিমা প্রভুরা নাখোশ হবে এই ভয়? কিন্তু তারা এই অদ্ভুত আবিস্কারের কথা শুনলে কি মুখে আঙ্গুল দিয়ে বসে থাকবে? যদি একনায়কত্ব দরকার হয় তাহলে তার সাথে গণতন্ত্রকে মেশানো হচ্ছে কেন? ডাইরেক্ট একনায়কত্ব কায়েম করে ফেলা হউক। বাধা দেবে কে? বিরোধী দল? কিন্তু তাদে সে জোর কোথায়?
ভদ্রলোকের লেখাপড়ে মনে হচ্ছে আসলেই দেশের একটা স্থিতিশীলতা চান। কিন্তু সেনাইলের রোগীর মত আচরণ করলে কি হয়? আওয়ামী লীগকে যেদিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেখানে থাকার জন্য একটি মিনিমাম যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। কঠোর হাতে বিশৃঙ্খলা দমন করার আগে নিজেদের নৈতিক জোর প্রয়োজন। কিন্তু সে নৈতিক জোর কি তাদের আছে? তারা যদি দুর্নীতি না করতো, চুরি না করতো, স্বজনপ্রীতি না করতো তাহলে তাদের হাতে একনায়কত্ব দিতে ভয় পেত না। সেই সাথে ৭২ থেকে ৭৫এর কালো অধ্যায় যে ফিরে আসবে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে? যদি নৈতিক জোর থাকে তাহলে লীগ জোর খাটাক। কিন্তু তাতে যদি ব্যর্থ হয় তাহলে প্রাকৃতিকভাবেই তাদের উপর '৭৫ ফিরে আসবে। এটা প্রাকৃতিক নিয়ম। এই প্রকৃতি বেটাও খুব অটোক্রেট।
কারা করবে? খুব কাছের লোকেরাই যেমন করেছিলো ৭৫ এ। কিন্ত আমি গণতন্ত্রেও বিশ্বাসী নই আবার গতানুগতি একনায়কতন্ত্রেও বিশ্বাসী নই।
Click This Link
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=স্মৃতির মায়ায় জড়িয়ে আছে মন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৯


ঘাস লতা পাতা আমার গাঁয়ের মেঠো পথ, ধানের ক্ষেত
জংলী গাছ জড়ানো লতাবতী - আহা নিউরণে পাই স্মৃতির সংকেত,
রান্নাবাটির খেলাঘরে ফুলের পাপড়িতে তরকারী রান্না
এখন স্মৃতিগুলো পড়লে মনে, বুক ফুঁড়ে বেরোয় কান্না।

ফিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×