somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাসপাতালগুলো হঠাৎ কেন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে?

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যুদ্ধকালীন সময়েও যে কোন রাষ্ট্রের যে অংশটি সব ধরনের শত্র“ আক্রমণের উর্ধ্বে থাকার কথা সেখানে শান্তির সময়েও দেশের এ চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো একের পর এক সহিংস ঘটনা ঘটছে। একের পর এক হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের সাথে রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে হাতা-হাতি, সংঘর্ষ ও কর্মবিরতিসহ নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা। এর ফলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক সেবা কার্যক্রম। ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ রোগীরা। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের অবহেলা কিংবা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে ঘটনার সূত্রপাত ঘটলেও বিপরীত দিকে রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের উত্তেজিত ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণেই এসব ঘটনার জন্ম হচ্ছে।
চিকিৎকগণ হচ্ছেন মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। যেকোনভাবেই হোক, আহত কিংবা রোগাক্রান্তরা নির্দ্বিধায় নির্ভর করেন চিকিৎসকদের উপর। অনাদিকাল থেকেই মানব সমাজে এই নিয়ম চলে আসছে। তাই চিকিৎসকগণ সমাজের সব ধরনের শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে অতি সম্মানিত শ্রেণির মানুষও বটে। অর্থ-যশ-খ্যাতির উর্ধ্বে উঠে চিকিৎসকগণও মানব সেবায় নিজেদেরকে আত্মনিয়োগ করে থাকেন। কিন্তু হঠাৎ করেই কেমন যেন সেই শ্রদ্ধা এবং সম্মানের স্থানটিতে শূন্যতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। পরস্পরের প্রতি পরস্পরের সম্মান, বিশ্বাস ও ভালবাসায় চির ধরেছে। ক্ষেত্রবিশেষে এক পক্ষের উপর অপর পক্ষ আক্রমণ করতেও দ্বিধাবোধ করছে না। এর পেছনে কারণ খুঁজতে গেলে অনেক কারণই তুলে ধরা যাবে। তবে এর মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসা পেশাটির অতিরিক্ত বাণিজ্যিকীকরণ। বিপদে পড়া মানুষের দুর্বলতার সুযোগকে একশ্রেণির বক-সেবকগণ অর্থোপার্জনের হাতিয়ার বানিয়ে নিয়েছে। তাই রোগী-চিকিৎসকের মধ্যে গড়ে উঠা অনাদিকালের সেই সহাজাত সম্পর্ক দাঁড়িয়েছে খরিদ্দার ও বিক্রেতার ন্যায়। পরস্পরের মধ্যে ‘গিভ এন্ড টেক’ নীতির কারণে ‘আমি টাকা দিচ্ছি তুমি সেবা দেবে না কেন’ এই মানসিকতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রত্যাশা পূরণ না হলেই একে অপরের উপর চড়াও হচ্ছে। থাকছেনা একে অপরের প্রতি বিশ্বাস। চিকিৎসক টাকা না পেলে চিকিৎসা বন্ধ রাখছেন আর রোগী টাকা দিয়ে কাক্সিক্ষত সেবা না পেলে জোর জবরদস্তি করার প্রয়াস পাচ্ছেন। আমাদের সমাজব্যবস্থার সার্বিক দিক দিয়ে নৈতিক অবক্ষয় ঘটা এবং এর বৃহত্তর চাপের কারণে তার প্রভাব চিকিৎসকদের উপরও পড়ছে। তারাও রাস্তা-ঘাটের মাস্তানের ন্যায় আচরণ করছেন। অন্য দিকে প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ জোর করে তাদের কাছ থেকে সেবা আদায় করার চেষ্টা করছে। সমাজ- সভ্যতা টিকে থাকার জন্য এটি কোন স্বাভাবিক সম্পর্ক হতে পারে না। মানুষের মধ্যকার সহজাত ও স্বাভাবিক সম্পর্কের স্থানটি নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে।

এ কারণেই মূলত চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে ঘটছে একেরপর এক অপ্রীতিকর ঘটনা। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে পুরান ঢাকার এক রোগী চিকিৎসায় অবহেলার মারা গেছেন অভিযোগ করে তার স্বজনরা ৬০/৭০ লোক নিয়ে হাসপাতালে অভিযান চালায়! সেখানে অনেক চিকিৎসকের চোখের সামনেই অভিযুক্ত চিকিৎসকদের লাঞ্ছিত করা হয়। ভয়ে বাথরুমে পালিয়ে যাওয়া নারী চিকিৎসককেও দরজা ভেঙ্গে টেনে হিঁচড়ে বের করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। হামলাকারীদের মধ্যে পুলিশ পরিচয়ধারী একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বিশেষায়িত এই হাসপাতালে ১৫ এপ্রিল সকাল থেকে চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়ে ধর্মঘট পালন শুরু করেন চিকিৎসকরা। দু’দিন ধর্মঘট পালনের পর চিকিৎসকদের দাবির কারণে সরকার ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের অনুরোধে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় অপ্রীতিকর ঘটনার জন্মস্থান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল। এখানেও একজন চিকিৎসাধীন এক রোগী মারা গেছেন। এ ঘটনায় মৃতের স্বজনদের সাথে হাতাহাতি হওয়ায় চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়ে ধর্মঘট শুরু করেছেন চিকিৎসকরা। ঘটনায় বাড়তি মাত্রা যোগ হয়েছে খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া ১০ জন সাংবাদিককে বেধড়ক পিটুনি ও তাদের ক্যামেরা ভাঙচুরের ঘটনায়। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামেক হাসপাতালের ১৩ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আর এ ঘটনায় উচ্ছৃঙ্খল চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারায় এরই মধ্যে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

এর আগে দিনের বেলা একুশে টেলিভিশনের অনুসন্ধানমূলক ‘একুশের চোখ’ অনুষ্ঠানের ক্যামেরাম্যানসহ ৬ সাংবাদিককে পিটান রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসকরা। তারা সাংবাদিকদের ক্যামেরা, বুম ও মোবাইল ভাঙচুর করে। 

রোববার রাতে রাজশাহী মেডিকেলের ঘটনার ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৩ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ইন্টার্নি চিকিৎসকরা ওই রোগীর স্বজনদের মারপিট করার জন্য ১৩ নং ওয়ার্ডের সামনে একজোট হতে থাকে। 

পরে ঘটনা শুনতে পেয়ে সংঘাত থামাতে পুলিশ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের গেটে তালা মেরে দেয়। ইন্টার্নি চিকিৎসকরা তালা ভেঙে ওয়ার্ডের ভেতরে প্রবেশ করে রোগীর স্বজনদের উপর ব্যাপক হামলা চালায়। 
এ ঘটনার খবর সংগ্রহে চ্যানেল-২৪ এর সাংবাদিক আবরার শাহরিয়ার ও ক্যামেরাপারসন রায়হানুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গেলে ইন্টার্নি চিকিৎসকরা তাদের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে ক্যামেরা ভাঙচুর করে রায়হানকে ছেড়ে দিলেও আবরারকে আটকে রাখে তারা। 

খবর পেয়ে পুলিশের সহযোগিতায় আরো বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আবরার শাহরিয়ারকে উদ্ধারে ১৩ নং ওয়ার্ডে গেলে দ্বিতীয় দফায় ইন্টার্নি চিকিৎসকরা সাংবাদিকদের ওপরে হামলা চালায়। এসময় যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান রাসেল, মাছরাঙ্গা টিভির মাসুদ, এটিএন নিউজের রুবেল, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির জাফর ইকবাল লিটন, দৈনিক সোনার দেশের সালাউদ্দিনসহ আরো ৮ জন আহত হন। হামলাকারী চিকিৎসকরা এ সময়ও সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভাঙচুর করে। এর মধ্যে চ্যানেল ২৪ এর রায়হান ও যমুনার রাসেলকে নগরীর লক্ষ্মীপুরে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে অবস্থার অবনতি হলে রাসেলকে ঢাকায় পাঠানো হয়। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে যমুনা টিভির ক্যামেরা পারসন রাসেল আহমেদকে রাজধানীর এপোলো হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিইউ) তে রাখা হয়েছে।

রামেকের ঘটনায় জানা যায়, ঘটনার পর খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকরা রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এখানেও তাদের উপর হামলার চেষ্টা হলে পুলিশ সাংবাদিকদের রক্ষায় এগিয়ে আসে। ঘটনার প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে রাজশাহীর সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সদর আসনের সংসদ সদস্য ও রামেকের পরিচালক ফজলে হোসেন বাদশা ও রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। 

তাদের অনুরোধে পুলিশ সুপার মাহাবুবুর রহমান ব্যাপক সংখ্যক পুলিশের সাহায্যে আক্রান্ত সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন। এ সময় আক্রান্ত কয়েকজন সাংবাদিকের অবস্থা গুরুতর হলেও রামেক হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা অনিরাপদ হয়ে ওঠার শঙ্কায় তাদের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

পরে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিনের কক্ষে জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, পুলিশ ও চিকিৎসকরা সমঝোতা বৈঠকে বসেন। 

এ বৈঠকে সাংবাদিকদের উপর হামলার সময় দায়িত্বে অবহেলার জন্য বোয়ালীয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদুর রহমানকে সাময়িক প্রত্যাহার করেন পুলিশ সুপার মাহাবুব। সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক না কেন তাদের যথাযথ শাস্তি দেয়া হবে। সোমবার সকালেই এ বিষয়ে বৈঠক করা হবে।’ 

এরও আগে গত ২৭ ও ২৮ মার্চ রাজশাহীর চিকিৎসকরা ধর্মঘট পালন করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতা শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলকে আদালত কারাগারের পাঠালে এর প্রতিবাদে তারা এ ধর্মঘট ডাকেন। তাদের ধর্মঘটের কারণে ওই সময় চাপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আশরাফুল ইসলাম (৩৫) নামের এক রোগী রামেক হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। 

বস্তুত আমাদের সমাজ কাঠামোর প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই আজ এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে। কি বিশ্ববিদ্যালয়, কি হাসপাতাল, কি আদালত প্রাঙ্গণ, কি পরিবহনের মত প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই দেখা যাচ্ছে এক ধরনের সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে যাদের দ্বারা এক ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। মূলত রাষ্ট্রের মৌলিক ভিত্তিগুলো দুর্বল হয়ে গেলে এবং সেসব থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা উঠে গেলেই এসব ঘটনা ঘটে। সুতরাং আমাদেরকে সেই মৌলিক ভিত্তিগুলোকে শক্তিশালী করা একান্ত প্রয়োজন।
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×