somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্মবিশ্বাস:এক বৃহৎ সমস্যার সহজ সমাধান- প্রথম পর্ব

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শুরুতেই আমি কয়েকটি মৌলিক ও অকাট্য সত্যের দিকে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। সেটা হচ্ছে,
১) বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ধর্মকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই কেননা বিশ্বরাজনীতিতে ধর্ম এখন প্রধান নিয়ামক (Prime factor), এক নম্বর বিচার্য বিষয় (First issue)। ধর্ম থেকেই সৃষ্ট জঙ্গিবাদ যা বর্তমানের মানবজাতির ক্যান্সার হিসাবে বিবেচিত, ভোটের রাজনীতিতে ডানপন্থী ও রক্ষণশীল দলগুলোর প্রধান হাতিয়ারও সেই ধর্ম। পৃথিবীর বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে এই ধর্মভিত্তিক রাজনীতির পালে দমকা হাওয়া লেগেছে যা সেক্যুলার দলগুলোর জন্য প্রধান সংকট বলে মনে করা হচ্ছে।
২) পশ্চিমা বস্তুবাদী ধ্যানধারণা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ধর্মকে একেবারে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রীয় জীবন পরিচালনা করার যে চিন্তা ও চেষ্টা করা হয়ে থাকে সেটা বাস্তবমুখী নয়, কারণ পৃথিবীতে গুটিকয় নাস্তিক ছাড়া আর সকলেই স্রষ্টার অস্তিত্বে, কোনো না কোনো ধর্মে এবং পরকালীন জীবনে বিশ্বাস রাখে। তাদের এ বিশ্বাস অস্থি-মজ্জায় মিশে আছে যা প্রতিনিয়ত তাদের চিন্তা-চেতনা ও কার্যকলাপে প্রভাব বিস্তার করে। ধর্মব্যবসায়ীদের কবলে পড়ে ধর্মের প্রকৃত রূপ হারিয়ে যাওয়ায় বিকৃত ধর্মগুলো মানুষের জন্য শান্তিদায়ক নয়, উপরন্তু ধর্ম নিয়ে হাজারো অপকর্ম ও বিকৃতি প্রচলিত আছে বিধায় অনেক মানুষ ধর্মীয় আচার-আচরণ ও পুরোহিত-আলেমদের ধ্যানÑধারণার প্রতি বিরক্ত, অনেকেই ধর্মের প্রতি নিষ্ঠা হারিয়েছে কিন্তু নাস্তিক হয় নি। সুতরাং ধর্মকে জাতীয় জীবন থেকে বাদ দিয়ে ব্যক্তিজীবনে নির্বাসিত করে রাখার চিন্তা করা ভুল। রাষ্ট্রের প্রথম উপাদান হচ্ছে মানুষ, সেই মানুষের চিন্তা চেতনা ও বিশ্বাস থেকে ধর্মকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্র চালানোর পথ হঠকারিতা ছাড়া আর কিছু নয়।
আমরা যদি বিভিন্ন মতবাদের তাত্ত্বিক বিষয়গুলোকে আপাতত বাদ রেখে একটু বাস্তবতার দিকে ফিরে তাকাই তাহলে দেখতে পাই যে, চলমান দুনিয়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে বড় বড় সমস্যাগুলো বিরাজ করছে সেগুলোর উৎপত্তি ধর্মকে কেন্দ্র করেই। মধ্যযুগে ইউরোপে খ্রিষ্ট ধর্ম মানুষের জাতীয় জীবনের সমস্যাগুলোর সঠিক সমাধান দিতে পারছিল না, অথচ ধর্মযাজকগণ ছিলেন প্রবল ক্ষমতার অধিকারী। তখন রাজা আর চার্চের মধ্যে, ধর্ম ও রাজনীতির মধ্যে তুমুল সংঘাত সৃষ্টি হয়েছিল। ধর্ম ও রাষ্ট্রের মধ্যে কোনোভাবে সমন্বয় করতে না পেরে নিরুপায় রাষ্ট্রনায়কগণ ধর্মকে জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় অঙ্গন থেকে কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন, এরই পারিভাষিক নাম ধর্মনিরপেক্ষতা। সাধারণ মানুষের ধর্মপ্রাণতা আর রাজনীতিকদের ধর্মহীন রাষ্ট্রের চিন্তাধারার বিপরীতমুখী এ যাত্রা আজও আমাদের জীবনে নিত্যনতুন সংঘাত আর সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটিয়ে যাচ্ছে। এটা এখন রাষ্ট্রনায়কদের বড় মাথা ব্যথার কারণ যে, ধর্মকে বাদ দেওয়া যাচ্ছে না, আবার ধর্মজীবীদের হাতে দেশকে তুলেও দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ নানাবিধ কারণে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে যোগ্যতা প্রয়োজন তা এদের মধ্যে গড়ে ওঠে নি। তাদের হাতে রাষ্ট্রশক্তি গেলে সেখানে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ভয়াবহ রূপ নেবে, বিকৃত ধর্মের কারণে মানুষ অন্ধত্ব, পশ্চাৎপদতার গহীনে নিমজ্জিত হবে। এক কথায় আরেকটি মোল্লাতান্ত্রিক তালেবানি রাষ্ট্র (ঞযবড়পৎধপু) কায়েম হবে যা সাধারণ মানুষের কাম্য নয়। মানবজাতিকে বহুল উচ্চারিত যে প্রশ্নের সমাধান এখন করতে হবে তা হলো: ---------------পরের পর্বে চোখ রাখুন।
দ্বিতীয় পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৪
৭টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×