চাকর হবেন নাকি উদ্যোক্তা, ভাবুন আরও একবার...
চাকুরী মানেই আমাদের কাছে নিরপত্তার এক গাছ। মাস গেলেই নির্দিষ্ট অংকের বেতন। বছর ঘুরতেই প্রমোশন আর ইনক্রিমেন্ট। সেই সাথে নয়টা পাঁচটা অফিস। বেশ তো কেটে যাচ্ছে। আর সরকারি চাকুরী মানে নিরাপত্তার বিশাল বটগাছ। যার ছায়াতলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিরাপত্তা। আর তাই লেখাপড়া শেষ করেই চাকুরীর জন্য হন্যে হয়ে সোনার হাতি খোঁজা। যদিও এ দৌড়ে সবাই এগিয়ে থাকতে পারছে না। তবে কারও কিন্তু চেষ্টার ত্রুটি নাই।
চাকুরী আপনাকে যা দিয়েছে তার দিকে একটু তাকাই। মাস গেলে নির্দিষ্ট অংকের বেতন আর নিরাপত্তা। অফিসে বসের চোখ রাঙ্গানো বকা। অফিস শেষেও কাজ শেষ না হওয়ায় ওভার টাইম ডিউটি। কাজের ভুল ত্রুটির জন্য কখনও বা আর্থিক জরিমানা কিংবা আনুষঙ্গিক সুবিধা থেকে বঞ্চনা। সেই সাথে পেয়েছেন বাড়তি কাজের চাপ আর অফিসের মধ্যে বিরাজমান অসুস্থ পলিটিক্স। দিন শেষে বাড়ি ফিরেও টেনশন আর ফোনের বাড়তি ঝামেলা। ঘরের কাছের মানুষটির বকা, চাকুরীতো আরও মানুষ করে তুমি তো অফিস বাসায় নিয়ে আসছো।
চাকুরী আপনাকে যা থেকে বঞ্চিত করেছে তা শুনলে আতকে উঠতে পারেন। চাকুরী আপনার সৃজনশীল সৃষ্টির ক্ষমতাকে গলাটিপে হত্যা করেছে। আপনার মধ্যকার উদ্যোক্তা হওয়ার সম্ভাবনাকে নয়টা পাচ টার যাতাকলে ফেলে বড় হওয়ার স্বপ্নভঙ্গ করেছে। যেখানে আপনি নিজেই নিজের বস হতে পারতেন সেখানে আপনাকে অন্যের চাকর করেছে। আপনার ভেতরের জেগে ওঠার ক্ষমতাকে দাসত্বে পরিণত করেছে।
কি করবেন...সিদ্ধান্ত এখন আপনার...।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:২৭