somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথিবীর বুকে চির অমর হয়ে থাকা কিছু ভাষাবিজ্ঞানী'র পরিচিতি (পার্ট ১)

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অটো ইয়েসপার্সেন তিনি একজন ডেনীয় ভাষাবিজ্ঞানী এবং ইংরেজি ব্যাকরণ বিশেষজ্ঞ
অটো ইয়েসপার্সেন একজন ডেনীয় ভাষাবিজ্ঞানী এবং ইংরেজি ব্যাকরণ বিশেষজ্ঞ ।অটো ইয়েসপার্সেন জুটল্যান্ডের রেন্ডারসে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তিনি ডেনীয় ভাষাবিজ্ঞানী রাস্মুস রাস্কের কাজ দ্বারা অনুপ্রাণিত হন এবং রাস্কের ব্যাকরণ শিক্ষা সাহায্যে আইসল্যান্ডীয়, লাতিন ও স্পেনীয় ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন,১৭ বছর বয়সে তিনি কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হন। আইন বিষয়ে পড়াশুনা করলেও তিনি ভাষা শিক্ষার চর্চা চালিয়ে যান। ১৮৮১ সালে তিনি সম্পূর্ণরূপে ভাষা শিক্ষায় মনোনিবেশ করেন এবং ১৮৮৭ সালে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি ও লাতিনসহ ফরাসি ভাষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি নিজের ভরণপোষণের জন্য কিছুদিন আংশিক সময়ের স্কুল শিক্ষক ও ডেনীয় পার্লামেন্টে শর্টহ্যান্ড রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন। ১৮৮৭ থেকে ১৮৮৮ সালে তিনি ইংল্যান্ড, জার্মানি, ও ফ্রান্স ভ্রমণ করেন এবং হেনরি সুইট এবং পল পাসির মত ভাষাবিজ্ঞানীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতায় অংশগ্রহণ করেন। তার শিক্ষক ভিলহেল্ম থমসেন এর উপদেশানুসারে তিনি ১৮৮৮ সালের আগস্ট মাসে কোপেনহেগেন ফিরে আসেন এবং ইংলিশ কেস সিস্টেম বিষয়ের উপর তার ডক্টরিয়াল ডিসার্টেশন শুরু করেন। ১৮৯১ সালে তিনি কৃতিত্বের সাথে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।

অটো ইয়েসপার্সেননের গ্রন্থগুলোঃ
(*) দ্যা আর্টিকুলেশন্স অফ স্পীচ সাউন্ডস্ রিপ্রেজেন্টেড বাই মিনস্ অফ অ্যান অ্যালফাবেটিক সিম্বল (১৮৮৯ সাল)
(*) প্রোগ্রেস ইন ল্যাঙ্গুয়েজ (১৮৯৪ সাল)
(*) হাউ টু টিচ অ্যা ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ (১৯০৪ সাল )
(*) গ্রোথ অ্যান্ড স্ট্রাকচার অফ দ্য ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ (১৯০৫ সাল)
(*) অ্যা মডার্ন ইংলিশ গ্রামার অন হিস্ট্রিকাল প্রিন্সিপালস্ (১৯০৯-১৯৪৯ সাল)
(*) ল্যাঙ্গুয়েজ: ইটস্ ন্যাচার, ডেভেলপমেন্ট, অ্যান্ড অরিজিন (১৯২২ সাল)
(*) দ্য ফিলোসপি অফ গ্রামার (১৯২৪ সাল)
(*) ম্যানকাইন্ড, ন্যাশন অ্যান্ড ইন্ডিভিজুয়াল: ফ্রম অ্যা লিঙ্গুয়েস্টিক পয়েন্ট অফ ভিউ (১৯২৫)
(*) অ্যান ইন্টারন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ (১৯২৮)
(*) নোভিয়াল লেক্সিক (১৯৩০ সাল )
(*) এসেনশিয়ালস্ অফ ইংলিশ গ্রামার (১৯৩৩সাল )
(*) অ্যানালিটিক সিনট্যাক্স (১৯৩৭ সাল )
(*) এন স্প্রোগ্মান্ডস্ লেভ্নেড (১৯৩৮ সাল)
(*) ইফিশিয়েন্সি ইন লিঙ্গুয়েস্টিক চেঞ্জ (১৯৪১ সাল)
(*) অ্যা লিটারেরি মিস্সিলানি: প্রসেডিংস্ অফ দ্য অটো ইয়েসপার্সেন সিম্পোজিয়াম এপ্রিল ২৯-৩০ (১৯৯৩ সাল)
(*) অ্যা লিঙ্গুয়েস্ট্স লাইফ (১৯৯৫ সাল )
(*) হোয়াট ইজ দ্য ইউজ অফ ফোনেটিক্স? (ফেব্রুয়ারি ১৯১০)
(*) ন্যাচার অ্যান্ড আর্ট ইন ল্যাঙ্গুয়েজ (১৯২৯)
(*) অ্যাডভার্সেটিভ কনজাঙ্কশন (১৯৩৩)


আউগুস্ট শ্লাইখার
আউগুস্ট শ্লাইখার তিনিও একজন জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী। তিনিই সম্ভবত প্রথম ভাষাবিজ্ঞানী যিনি ভাষাসমূহের উৎস ও বংশলতিকা প্রকাশ করার জন্য বৃক্ষচিত্রের আশ্রয় নেন। তিনি তুলনামূলক ভাষাবিচারের মাধ্যমে সমস্ত ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার আদি উৎসভাষা প্রত্ন ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা নির্মাণের চেষ্টা করেন।
আউগুস্ট ফ্রিড্রিশ পট
আউগুস্ট ফ্রিড্রিশ পট হলেন একজন প্রথম দিককার জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী।পট গ্যোটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করার সময় তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বে আগ্রহী হয়ে পড়েন। ১৯২৭ সালে তিনি ডক্টরেট অভিসন্দর্ভ সমাপ্ত করেন এবং বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রানৎস বপের সাথে একত্রে গবেষণা করতে যান। বপ ছিলেন ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবিজ্ঞানের একজন প্রধান অগ্রগামী ব্যক্তিত্ব। পট ১৮৩০ সালে সাধারণ ভাষাবিজ্ঞানের একজন অবেতনভোগী প্রভাষক হিসেবে বার্লিনে কাজ শুরু করেন। ১৮৩৩ সালে তিনি হালে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এখানেই তিনি বাকী জীবন কাটিয়ে দেন। তিনি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগুলির মধ্যকার ধ্বনি সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের উপর ভিত্তি করে শব্দের বুৎপত্তি নির্ণয়ের আধুনিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। এছাড়াও তিনি জিপসি জাতিদের মধ্যে প্রচলিত রোমানি ভাষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষাবিদ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

আর্নল্ড জুইকি
আর্নল্ড জুইকি হলেন একজন মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী। যিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞানের অতিথি প্রফেসর এবং ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির ভাষাবিজ্ঞানের এমেরিটাস প্রফেসর।

উইলিয়াম লাবভ
উইলিয়াম লাবভ হলেন একজন মার্কিন ভাষাবজ্ঞানী। তিনি উপভাষাতত্ত্বের ওপর কাজ করেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন।
উইলিয়াম লাবভের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল:
(*)Labov, William (১৯৭২ সাল)। Language in the Inner City: Studies in Black English Vernacular।
(*)Labov, William (১৯৭২ সাল)। Sociolinguistic Patterns।
(*)Labov, William (১৯৯৪ and ২০০১সাল)। Principles of Linguistic Change (2 vols.)।
(*)Labov, William; Ash, Sharon; Boberg, Charles (২০০৬ সাল)। The Atlas of North American English।

ইভান স্যাগ
ইভান স্যাগ হলেন একজন মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী। তিনি বর্তমানে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। তিনি বাক্যতত্ত্বের হেড-ড্রিভেন ফ্রেজ স্ট্রাকচার গ্রামার তত্ত্বের প্রবর্তক হিসেবে বিশেষ পরিচিত।


ইয়াকপ গ্রিম
ইয়াকপ গ্রিম ছিলেন একজন জার্মান ভাষাতাত্ত্বিক, আইনজ্ঞ এবং পুরাণবেত্তা। তিনি ভাষাবিজ্ঞানে গ্রিমের রীতির জন্য প্রসিদ্ধ। তার ভাই ভিলহেল্ম গ্রিম ও গ্রিম ভাতৃদ্বয়ের একজন এবং গ্রিম ভাইদের রূপকথার সহ-লেখক ।ইয়াকপ ১৭৮৫ সালের ৪ জানুয়ারি হেসেন-কাসেলে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ফিলিপ গ্রিম ছিলেন একজন আইনজীবী। তিনি ইয়াকপের ছেলেবেলায় মারা যান। ১৭৯৮ সালে তাকে এবং তার ছোটভাই ভিলহেল্ম গ্রিমকে কাসেলের একটি সরকারি স্কুলে ভর্তি করা হয়। ১৮০২ সালে তিনি মার্বুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। পরের বছর তার ছোট ভাইও একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।১৮০৮ সালে তার মায়ের মৃত্যুর পর তিনি কিং অফ ভেস্ট্ফালিয়ার জেরোম বোনাপার্টে গ্রন্থাগারের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। তখন হেসেন-কাসেল নেপোলিয়ন বোনাপার্ট এর নিয়ন্ত্রণে ছিল। বোনাপার্ট তাকে রাজ্যসভার নিরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। অল্প সময়েই তার বেতন ২০০০ থেকে ৪০০০ ফ্রাঁ হয়। বোনাপার্ট বিতাড়িত হওয়ার পর এবং নির্বাচক হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ইয়াকপ ১৮১৩ সালে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ১৮১৪ সালে তাকে বইয়ের ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যে ফ্রান্সে পাঠানো হয়। তিনি ১৮১৪ থেকে ১৮১৫ সালে ভিয়েনার কংগ্রেসে রাষ্ট্রদূত হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ভিয়েনা থেকে ফেরার পর তাকে পুনরায় প্যারিসে পাঠানো হয় বইয়ের ক্ষতিপূরণ আদায় নিশ্চিত করতে। ইতিমধ্যে তার ভাই ভিলহেল্ম কাসেল গ্রন্থাগারে নিয়োগ পান এবং ১৮১৬ সালে ইয়াকপকে ফল্কেলের অধীনে দ্বিতীয় গ্রন্থাগারিক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৮২৮ সালে ফল্কেলের মৃত্যুর পর দুই ভাই প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ লাভের আশা করলেও পরে বই সংরক্ষণকারী রোমেলকে প্রথম স্থান দেওয়া হলে তারা অসন্তুষ্ট হন। ফলে তারা পরের বছর গটিঙেনেএ চলে যান। সেখানে ইয়াকপ অধ্যাপক ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ পান এবং ভিলহেল্ম তাঁর সহকারী হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

ইয়াকপ গটিঙেন সেভেন নামে পরিচিত অন্যান্য পণ্ডিতদের সাথে যোগ দেন। তারা সম্মিলিতভাবে হানোভার রাজ্যের সংবিধান রদকরণে বিরুদ্ধে স্বাক্ষর করেন। ফলে তিনি ১৮৩৭ সালে তাঁর অধ্যাপনা হারান এবং হানোভার রাজ্য থেকে বিতাড়িত হন। সে এবং তাঁর ভাই কাসেলে ফিরে যান। তারা প্রুশিয়ার রাজার নিমন্ত্রণে বার্লিনে যাওয়ার পূর্বে ১৮৪০ সাল পর্যন্ত কাসেলেই থাকেন। সেখানে তারা দুজনেই অধ্যাপক এবং একাডেমি অফ সায়েন্সেসের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি আমেরিকান একাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এর পররাষ্ট্র সম্মাননা সদস্য হিসেবেও নির্বাচিত হন।

ইয়োহান ক্রিস্টফ আডেলুং
ইয়োহান ক্রিস্টফ আডেলুং ছিলেন একজন জার্মান ব্যাকরণবিদ এবং ভাষাবিজ্ঞানী। তিনি জার্মান ভাষার অভিধান গ্রামাটিশ-ক্রিটিশেস ভ্যোর্টারবুখ ডের হোখডয়চেন মুন্ডার্ট (Grammatisch-kritisches Wörterbuch der hochdeutschen Mundart অর্থাৎ "উচ্চ জার্মান ভাষার বাচনশৈলীর বৈয়াকরণিক-সমালোচনা অভিধান")-এর প্রণেতা।আডেলুং ১৭৩২ সালের ৮ই আগস্ট পশ্চিম পোমেরানিয়ার ষ্পান্টেকো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মাগডেবুর্গের আংকলাম ও বের্গে মঠ বিদ্যালয়ে এবং পরে হালে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১৭৫৯ সালে তিনি এরফুর্ট শহরে উচ্চবিদ্যালয় বা গুমনাজিউমে অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু দুই বছর পর অধ্যাপনা ত্যাগ করেন এবং লাইপ্তসিশ শহরে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি ভাষাতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করেন। ১৭৮৭ সালে ড্রেসডেনে জাখসেন নির্বাচনী এলাকার প্রধান গ্রন্থাগারিক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি সেখানেই কর্মে নিয়োজিত ছিলেন ।

আডেলুংয়ের লেখনীর পরিমাণ অনেক। জার্মান ব্যাকরণ, অভিধান, ও শৈলীর উপর তার উন্নতমানের কাজের মাধ্যমে তিনি জার্মান বানানবিধির সংস্কার, বাগধারার উত্কর্ষসাধন, ও জার্মান ভাষার আদর্শ বা মান রূপ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার জার্মান ভাষার অভিধান গ্রামাটিশ-ক্রিটিশেস ভ্যোর্টারবুখ ডের হোখডয়চেন মুন্ডার্ট (Grammatisch-kritisches Wörterbuch der hochdeutschen Mundart অর্থাৎ "উচ্চ জার্মান ভাষার বাচনশৈলীর বৈয়াকরণিক-সমালোচনা অভিধান") (১৭৭৪-১৭৮৬) তার গবেষণার একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে।ইয়াকপ গ্রিমের পূর্ব পর্যন্ত কেউ জার্মান ভাষার জন্য এতো পরিমাণ অবদান রাখতে পারে নি। তার মৃত্যুর কিছুদিন আগে মিথ্রিডাটেস্, ওডার আলগেমাইনে ষ্প্রাখেনকুন্ডে (১৮০৬) প্রকাশিত হয়। এই কাজের ইঙ্গিত প্রেরণা লাভ করেন ১৫৫৫ সালের কনরাড ফন গেসনারের একই নামের একটি প্রকাশনা থেকে, কিন্তু আডেলুংয়ের কাজ আরও বিস্তৃত ছিল। দুর্ভাগ্যবশত তার কাজ তিনি সম্পন্ন করে যেতে পারেন নি। তার মৃত্যুর পরপরই প্রকাশিত এই বইয়ের প্রথম খন্ডে এশিয়াটিক ভাষা নিয়ে এবং বাকি দুটি খন্ড ইয়োহান সেভেরিন ফাটার (১৭৭১-১৮২৬)-এর তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়। আডেলুং-এর প্রকাশিত অসংখ্য বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বই হল: দিরেক্তোরিয়ুম দিপ্লোমাতিকুম (মেইসেন, ১৮০২); ডয়চে ষ্প্রাখলেরে ফ্যুর শুলেন (বার্লিন, ১৭৮১); এবং পাক্ষিক মাগাত্সিন ফুর ডি ডয়চে ষ্প্রাখে (১৭৯২-১৭৮৪) ।


ইয়োহানেস শ্মি‌ট‌
ইয়োহানেস শ্মিট তিনিও ছিলেন একজন জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী। তিনি ভাষার বিকাশের তরঙ্গ তত্ত্ব (জার্মান ভাষায় Wellentheorie) আবিষ্কার করেন।শ্মিট ব্রান্ডেনবুর্গ প্রদেশের প্রেন্ৎসলাউ শহরে জন্ম নেন। তিনি প্রখ্যাত ইন্দো-ইউরোপীয় শাস্ত্রজ্ঞ আউগুস্ট শ্লাইখারের কাছে সাংস্কৃতিক ভাষাতত্ত্ব অধ্যয়ন করেন। তিনি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহের উপর, বিশেষ করে স্লাভীয় ভাষাসমূহের উপর বিশেষায়িত গবেষণা করেন। ১৮৬৫ সালে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন এবং ১৮৬৬ সাল থেকে বার্লিনের একটি গ্যুমনাজিউম (gymnasium)-এ শিক্ষক হিসেবে পড়াতে থাকেন।১৮৬৮ সালে বন বিশ্ববিদ্যালয় তাকে জার্মান ও স্লাভীয় ভাষাসমূহের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করার অণুরোধ করে। বন থেকে ১৮৭২ সালে তিনি প্রকাশ করেন ডি ফের্ভান্টশাফট্স্ভের্হেল্টনিসে ডের ইন্ডোগের্মানিশেন ষ্প্রাখেন (Die Verwandtschaftsverhältnisse der indogermanischen Sprachen, "ইন্দো-জার্মানীয় ভাষাগুলির সম্পর্ক")। এই বইতেই তিনি তাঁর বিখ্যাত তরঙ্গতত্ত্ব প্রথম উপস্থাপন করেন। এই তত্ত্ব অনুসারে কোন ভাষার নতুন বৈশিষ্ট্যগুলি একটি কেন্দ্রীয় বিন্দু থেকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর সমকেন্দ্রিক বৃত্তের আকারে ছড়িয়ে পড়ে, ঠিক যেমন পানিতে পাথর ফেললে যে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। এভাবে বিসদৃশ ভাষাসমূহের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। তিনি এই তত্ত্বটি ১৮৭০-এর নব্যব্যাকরণবিদদের ধ্বনিবিধিগুলির বিরুদ্ধে উপস্থাপন করেছিলেন।১৮৭৩ থেকে ১৮৭৬ সাল পর্যন্ত শ্মিট অস্ট্রিয়ার গ্রাৎস বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক ভাষাতত্ত্বের অধ্যাপক ছিলেন। ১৮৭৬ সালে তিনি বার্লিনে ফিরে আসেন এবং সেখানে হুম্বোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। তিনি বার্লিনেই ৫৭ বছর বয়সে মারা যান।
ইয়োহানের শ্মিটের রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাগুলি হল''
(*)Zur Geschichte des indogermanischen Vocalismus (Part I). Weimar, H. Böhlau (1871)
(*)Die Verwandtschaftsverhältnisse der indogermanischen Sprachen. Weimar, H. Böhlau (1872)
(*)Zur Geschichte des indogermanischen Vocalismus (Part II). Weimar, H. Böhlau (1875)
(*)Die Pluralbildungen der indogermanischen Neutra. Weimar, H. Böhlau (1889)
(*)Kritik der Sonantentheorie. Eine sprachwissenschaftliche Untersuchung. Weimar, H. Böhlau (1895)

তথ্যসূত্র :
http://www2.warwick.ac.uk/fac/soc/al/research/collections/elt_archive/halloffame/jespersen/life
http://web.archive.org/web/20080705094755/http://shc.stanford.edu/fellowships/0506zwicky.htm
https://portal.dnb.de/opac.htm?method=simpleSearch&cqlMode=true&query=idn=118542257
http://fadedpage.com/csearch.php?author=Grimm, Jacob Ludwig Carl


সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:২৯
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×