আজ সকালে কাজের উদ্ধেশে বাসা থেকে অফিস যাবার পথে একটা ঘটনা যা কয়েক ঘন্টা কেটে যাওয়ার পরে চোখে এখনও
ভাসছে আরো কত ঘন্টা কত দিন এমন করে ভাসবে তাও বলতে পারছি না। ভাসার মতই ঘটনা ।আমাদের মহল্লার এক গোলির পাশে
একটা নতুন পাঁচতালা বাড়ি বানানো হচ্ছে।বাড়িটি কেবল দুটো ছাদ দেয়া হয়েছে । আজয় প্রথম দীর্ঘ সময় নিয়ে ওবাড়িটির দিকে নজর
দেয়া।ওই বাড়িতার দুইতালায় এক পাশে একটা বাঁশের মাচা বেঁধে রেখে যান গত কাল এক রাজমিস্ত্রী ।সকালে এসেই ওই মিস্ত্রী যখন
মাঁচায় দশবারোটা ইট সঙ্গে নিয়ে পা রাখলেন সঙ্গে সঙ্গে মাঁচাটির এক কোণা উল্টে গিয়ে সেই মিস্ত্রী লোকটি দুইতালা থেকে পড়ে গেলেন
আর মাঁচায় রাখায় ওই ইঁটগুলো সব পড়লো ওই লোকটার মাথায় তাতে লোকটার মাথায় অনেক চোট লাগে এবং অনেক রক্ত যায় অবস্থা
এতটাই গুরুত্বর যে লোকটা ঘটনা স্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।
ঘটনা দেখে আমার যা মনে হল শুধু মাত্র একটু অসাবধনতার জন্য কয়েক মুহুর্তের ভিতর চলে গেল ওই একটা জীবন। যদি ওই লোকটা কাজে
হাত দেয়ার আগে একবার ভালো করে সেই বাঁশের মাঁচাটি চেক করে নিতেন তাহলে হয়ত তিনি আগেই মাঁচার দূর্ভল হওয়ার কথা জানতেন
এবং এই দূর্ঘটনাও ঘটতো না তিনিও প্রাণে হয়ত বেঁচে যেতেন।
শধু মাত্র তার এবং তার সাথে থাকা লোকদের অসাবধনতার জন্যই তাকে জীবন দিতে হল।শুধু তাইনা আমাদের দেশে যে হারে বড় বড় বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে তাতে সকলেরই সতর্ক থাকা উচিত । কেননা কর্ম স্থলে সতর্কের বিকল্প আর কিছু হতে পারে না ।
এছাড়াও সকাল ৮ থেকে ৯টার ভিতর যখন শ্রমিকরা এধরনের দুইতালা,তিনতালা,থেকে শুরু করে বড়বড় বিল্ডিংয়ে কাজের উদ্ধেশে
ওঠেন তখন ওই সাইট বা বিল্ডিংয়ের মালিক বা ইঞ্জিনিয়ার অথবা কনেট্রাকদারের উচিৎ প্রতিটা শ্রমিককে একটা করে সিফটি বেল এবং
মাথার হেলমেড দেয়া। এবং পাশাপাশি নজর রাখা যে সেগুলো শ্রমিকরা ঠিকমত ব্যবহার করছে কিনা,না করলে তাদের উচিৎ হবে
শ্রমিকদের বাধ্যতামূলক করা সিফটি বেল এবং মাথার হেলমেড ব্যবহার করার জন্য।
শ্রমিক ভাইয়েরা যে কোনো কাজের সময় সকলে দয়া করে একটু সতর্ক থাকুন।কেননা একটু সময় বেশি ব্যয় হলে কোনো ক্ষতি নেই কিন্তু একবার জীবন চলেগেলে তা আর ফেরত পাওয়া যাবেনা।সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি তাই সময় বাঁচাতে গিয়ে বা অবহেলিত
ভাবে অহেটুক ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিজের জীবনটাকে হারিয়ে পরিবার পরিজন এবং মা,বাবা এবং শ্ত্রী সন্তানকে দুঃখের সাগরে ভাসাবেন না।
মনে রাখবেন আপনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলে আপনার বাড়ি ফেরার পথ চেয়ে সকলে বসে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৮