somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দ্যা হিস্ট্রি অব মানি: (পর্ব্-04)

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দ্যা হিস্ট্রি অব মানি: (পর্ব্-04)
১৭৮১ সালে Robert Morris কে আমেরিকায় Bank of England স্টাইলের একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্থাপনের অনুমতি প্রদান করা হয়। প্রতিষ্ঠার সময় রবার্ট মরিসকে তার প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকে $400,000 ডলার জমা রাখা এবং সেখান থেকে ঋণ দেয়ার কথা বলা হয়। এই প্রস্থাব ও চুক্তি তৎকালীন অপেক্ষাকৃত অনুন্নত আমেরিকান সরকারের কাছে আকষর্ষনীয়ই মনে হচ্ছিল। মরিসেসেন্ট্রাল ব্যাংক প্রতিষ্টা করার পর সেখানে প্রস্তাবিত ৪ লক্ষ ডলার জমা না রেখে নতুন ডলার প্রিন্ট করে সেখান তার মাধ্যমে ঋণ প্রদান করতে থাকে। কিন্তু এ ব্যাপরে কেউ তাকে প্রশ্ন বা জবাবদিহী করার সাহস পায়নি বরং এর পরিবর্তে তাকে কিছূ স্বর্ণ জমা রাখার কথা বলা হল। এই স্বর্ণও আবার ফ্রান্স থেকে সরকারী ঋণের মাধ্যমে এনে প্রাইভেট ব্যাংকের রজিার্ভের জন্য জমা রাখা হল।

১৭৮১ সাল থেকে ১৭৮৫ পর্যন্ত মোট ৫ বছর পর্যন্ত এই জালিয়াতি সিস্টেমের ব্যাংক টিকে থাকে। মুদ্রার মান ব্যাপকভাবে কমে যাবার জন্য ব্যাংক নতুন করে নবায়ন লাভ করতে ব্যার্থ হয়। ধনীরা তাদের প্রতিষ্ঠা এবং অবশিষ্ট জনগণকে তাদের দাস করার জন্য প্রচেষ্টা করবে। তারা সব সময়ই তা করার চেষ্ঠা করবে। তারা সর্বত্রই একই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবে।


FIRST BANK OF THE UNITED STATES (1791-1811)


ছবি: ইউ্এস এর প্রথম ব্যাংক

১৭৯১ সালে ইউএস এর প্রথম ব্যাংক Bank of the United States (BUS) প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্টার সময় এবারেও বলা হল এর মাধ্যমে আমেরিকানরা উন্নয়নের সিড়িতে আরোহন করবে। বৃটিশ মডেলের ন্যয় ব্যাংক এর প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের নাম সম্পূর্ন গোপন রাখা হল এবং নাম দেয়া হল ব্যাংক অব ইউনাইটেড স্টেট যাতে যে কেই সহজেই মনে করতে পারে যে, এটি সরকারী মালিকানাধীন ব্যাংক। মেয়ার আমসেল রথচাইল্ড বলেন- আমাকে কোন দেশের মানি ইস্যু করার সুযোগ দাও তাহলে যারা সে দেশের আইন তৈরী করে এমন আমি কাউকেই কেয়ার করি না ।


ছবি: Mayer Amschel Rothschild, 1790

প্রথম ইউএস এর কেন্দীয় ব্যাংক প্রতিষ্টার পর থেকে ৫ বছরের মধ্য সরকার তৎকালীন সমময়ের ৮.২ মিলিয়ন ডলার ঋণ গ্রহন করে। এবং এই সময়ের মধ্য মৃল্য বৃদ্ধি পায় ৭২%। পূর্বের নর্থ আমেরীকান ব্যাংক ৫ বছরের সনদ থাকায় তা মেয়াদ শেষে আর নবায়ন নিতে পারেনী ফলে মানি চেন্জাররা এবার ২০ বছরের জন্য সনদ লাভ করে। প্রেসিডেন্ট থমাস জেফরসন দেখল যে, ঋণ বাড়তেই আছে এবং তা কোনভঅবেই পরিশোধের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। ১৭৯৮ সালে তিনি বলেন- আমার ইচ্ছা যে, সংবিধানে মাত্র একটি সংশোধনী করা আর তা হল ফেডারেল সরকারের কাছ থেকৈ ঋণ নেয়ার কাষমতা কিড়ে নেয়।

তৎকালীন সময়ের স্বধীন সংবাদ মাধ্যমগুলো (যেগুলোকে ব্যাংকাররা নিহজদের স্বাথে ব্যবহারের জন্য তখানো কিনে নেয় নী) এই স্কাম কে - "a great swindle, a vulture, a viper, and a cobra." বলে ঘোষ না দেয়। ১৮১১ সালে চার্টারের মেয়াদ শেষ হলে ব্যাংকাররা হুমকি দিতে থঅকে যে, যদি সনদ নবায়ন করা না হয় তবে সম্মুখে মহা বিপদের সম্মুখিন হতে হবে। ক্নিতু কোনভঅবেই ইউ্নস সরকার সনদ নবায়ন কলল না। উল্লেখ্য এই ব্যংকের প্রদান বিনিয়োগকারী ছিল নাথান মেয়ার রথচাইল্ড।


ছবি: নাথান মেয়ার রথচাইল্ড

১৮১১ সালে ব্যাংকের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় এবং নাথান চুক্তি নবায়ন করার জন্য কংগ্রেসে আবেদন করে কিন্তু উক্ত ব্যাংক অর্থনীতিকে হুমকির সম্মুখিন করছে এই যুক্তিতে কংগ্রেস চুক্তিনবায়নের বিরুদ্ধে ভোট দেয়। এতে নাথান রথচাইল্ড ঘোষনা করে যে “ হয় চুক্তি নবায়ন করতে হবে নচেৎ যুক্তরাষ্ট্র ধ্বংসাত্বক যুদ্ধের মুখোমুখি হতে হবে। এরপরও যুক্তরাষ্ট্র হুমকিকে উপেক্ষা করে এবং চুক্তি নবায়ন বন্ধ রাখে।


তখন নাথান যুক্তরাষ্ট্রকে আবার নিজেদের কলোনি করার জন্য বৃটেনকে উৎসাহিত করে। ১৮১২ সালে নাথান রথচাইল্ড এর অর্থ ও উৎসাহ পেয়ে বৃটেন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে। যুদ্ধে নাথানের প্লান ছিল যুক্তরাষ্টকে যুদ্ধের মাধ্যমে এমনভাবে ঋণগ্রস্থ করানো যাতে তার কছে সারেন্ডার হয় এবং ব্যাংক চুক্তি নবায়ন করতে বাধ্য হয়। বাধ্য হয়ে ১৮১৬ সালে কংগ্রেস চুক্তি নবায়ন করা ছাড়াও যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থ সরবরাহ করার জন্য নাথানকে আরো একটি ব্যাংক খোলার অনুমতি প্রদান করে।

দীর্ঘ ৪ বছরের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনের হাজার হাজার সাধারন মানুষ ও সেনা নিহত হয় কিন্তু নাথান রথচাইল্ড তার ব্যাংক পেয়ে যায়।



NAPOLEON (1803 - 1825)

যখন কোন সরকার অর্থের জন্য ব্যাংকারদের উপর নির্ভর করে তখন সকল কিছূ নিয়ন্ত্রন করে ব্যাংকারই নেতারা নয়। অর্থের কোন মাতৃভূমি নেই। মানি চেন্জার/ব্যাংকারদের কোন দেশপ্রেম বা শিষ্টাচার নেই। তারা সবই করে তাদে;র একমাত্র লাভের/প্রফিটের জন্য।
(Napoleon Bonaparte, 1815 )

ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন ব্যাংক এর মাধমে যুদ্ধের উভয় পক্ষে অর্থ সরবরাহ করা তাদের প্রধান কৌশল। যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোন উপায়ে এত বেশী ঋণ দেয়ার সুযোগ হয় না। যে কোন দেশ যুদ্ধে জয়ের জন্য যে কোন শর্তে অপরিমেয় অর্থ ঋণ নিতে পারে। বাট যুদ্ধেতো জয়ী হবে একজনই। ফলে জয়ী পরাজয়ী যেই হোক না কেন উভয়েই ঋণের জালে আবদ্ধ হয় এভং প্রকৃত লাভবান হয় রথচাইল্ড ও এর এজেন্ট ব্যাংকাররা।

১৮০৩-১৮১৫ নেপোলিয়নের সাথে বৃটেনের যুদ্ধ শুরু হয় । তখন তারা একত্র হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় যে, প্যারিসে অবষ্তানকারী জ্যাকব রথচাইল্ড সাহায্য করবে নেপোলিয়নকে আর যিনি লন্ডনে আছে তিনি সাহায্য করবে বৃটিশ রাজকে। জয় পরাজয় যেই হোক না কেন তারা তাদের কাছে ঋণী হয়ে থাকবে এবং উভয় দেশই আর্খিকভাবে দুর্বল হয়ে যাবে। ব্যাপক যুদ্ধের এক পর্যায়ে ফ্রান্সের অনুকুলে চলে যায়। কিন্তু কৌশলগত কারণে তারা দেখ যে বৃটিশ রাজাকে সাহায্য করলে বেশী লাভবান হওয়া যাবে। ফলে নেপোলিয়নকে আর্থিক সাহয্য কমিয়ে দেয় যাতে অর্থের অভাবে যুদ্ধে জয়ী হতে না পারে এবং বৃটিশ রাজাকে বাড়িয়ে দিতে থাকে।

নাথাান রথধচাইল্ড যিনি লন্ডনে স্টক মার্কেটের সাথে জড়িত তিনি বৃটিশ রাজের যুদ্ধে জয়ের সম্ভাবনা জেনে সকল বন্ড বিক্রি বন্ধ করে দেয় । এটা দেখে সাধারন ব্যবসায়িরা ভাবল যে যুদ্ধে বৃটেন পরাজিত হচ্ছে। তখন তাদের সকল বন্ড বাজারে ছেড়ে দেয় । সকল বন্ড বাজারে ছেড়ে দেয়ার কারণে বন্ডের দাম স্মপূর্ন পড়ে যায় এই সুযোগে নাম মাত্র অর্থ দিয়ে নাথাান রথধচাইল্ড বৃটেনের সকল বন্ড কিনে নেয়। নাথান তৎকালীন পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী পরিবারের সদস্য হবার কারনে মার্কেটের সকল বন্ড কিনতে কোন সমস্যই হয় নি।

অপরদিকে নেপোলিয়নকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেয়াতে যুদ্ধে বৃটেন জয় লাভ করে। এই নিউজ পাওয়া মাত্র বন্ডের দাম অতিরিক্ত পরিমান বেড়ে যায়। নাথাান রথধচাইল্ড সকল বন্ড কিনে নেয়াতে পুরো বৃটেনের অর্থনীতি এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড তাদের নিয়ন্ত্রনে চলে যায়।



চলবে......................

1ম পর্ব্: Click This Link
২য় পর্ব: Click This Link
২য় পর্ব: Click This Link

সোর্স: http://www.xat.org/xat/moneyhistory.html

সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×