somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দ্যা হিস্ট্রি অব মানি: (পর্ব্-০৫)

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

্ছবি: ANDREW JACKSON

ওয়াটার লুর যুদ্ধের পর নাথান মেয়ার রথচাইল্ড মাত্র অর্ধ দিবসে যে পরিমান অর্থ ও সম্পদ লাভ করে তার পরিমান ছিল নেপোলিয়ন ও তার সেনাবাহিনী এবং ওয়েলিংটন তাদের পুরো জীবনে যত পরিমান সম্পদ হস্তগত করেছে তার চেয়ে অনেক বেশী। এ সময় সমগ্র পৃথিবীতে স্বকৃীত হল যে রথচাইল্ড পৃথিবীর অর্ধেক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করে ফলে ১৯ শতকেকে রথচাইল্ড এর যুগ বলা হয়। তখন থেকে শুরু করে তাদের সম্পদ ও অর্থ বেড়ে চললেও এখন তারা ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বা ট্রাস্টের সাথে তাদের নাম ব্যবহার করে না। কিছু লেখক দাবি করে যে, রথচাইল্ড শুধু মাত্র Bank of England এরই নিয়ন্ত্রণে ছিল না বরং ১৮১৬ সালে প্রতিষ্ট্রিত আমেরিকার ২য় সেনট্রাল ব্যাংকও ছিল তাদেরই নিয়যন্ত্রণে।


ANDREW JACKSON (1828 - 1836)
আমেরিকান কংগ্রেস যখন Second Bank of The United States এর সনদ নবায়নের পক্ষে ভোট দিচ্ছিল তখন Jackson এই বিলটি নবায়নের বিরুদ্ধে তার ভেটো প্রয়োগ করেন। তিনি বলেন- এরা আমাদের নাগরিক না যে তারা সরকারের আনুকুল্য লাভ করবে। ব্যাংকের ৮ মিলিয়নের ও অধিক শেয়ার এর মালিক বিদেশীরা (রথচাইল্ড ফ্যামিলি), এটা কি আমাদের স্বাধীনতা ও অধিকারের জন্য হুমকি নয়?

"তারা আামদের মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ করছে, সরকারি অর্থ পাচ্ছে এবং আমাদের হাজার হাজার নাগরিককে পরাধীন করছে" এটা কি আমাদের শত্রুদের সামরিক আক্রমনের চেয়ে বেশী ভয়্নক ও ঝুকিপূর্ণ নয়? তোমরা ভাইপার ও চোরের দল। আমি তোমাদেরকে উৎখাত করতে প্রতিজ্ঞ। এবং আমি তোমদের উৎখাত করবই।


ছবি: News report of Jackson shutting down the Second Bank of the United States, Geneva Gazette, October 2, 1833


১৮৩২ সালে জ্যাকসন সেকেন্ড ব্যাংক থেকে সরকারী ডিপোজিট প্রত্যাহারের নির্দেশ দান এবং তা নিরাপদ ব্যাংকে জমা রাখার কথা বলেন। ১৮৩৬ সালে ব্যাংকের মেয়াদ শেষ হলে সেকেন্ড ব্যাংকের পরিচালক ২টি উক্তি করেন- "The Bank is trying to kill me - but I will kill it!" and later "If the American people only understood the rank injustice of our money and banking system - there would be a revolution before morning..." চার্টার নবায়নে ভেটো ও সরকারী ডিপোটি প্রত্যারের অল্প কিছূ দিন পরেই জ্যাকসন আততায়ী Richard Lawrence পিস্তলের আঘাতের সম্মুখিন হন। কিন্তু সৌভাগ্য বশত গুলি লক্ষভ্রস্ট হওয়ায় প্রানে বেচে যান। এ হামলার পেছনে দায়ী কারা ছিলেন তা তিনি জানতেন কিন্তু তাদের প্রভাব ও ক্ষমতার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনী।

President Zachary Taylor:
প্রথম ২ টি সেন্টাল ব্যাংকের বাপক শোষন ও অনিয়ম ও সরকারের উপর অবৈধ ঋণ চাপেয়ে দেয়ার কারণে প্রেসিডেন্ট টেইলরও নতুন প্রাইভেট সেন্ট্রাল ব্যাং প্রতিষ্টার চরম বিরাধিতা করে। তার বিখ্যাত উক্তি: "The idea of a national bank is dead, and will not be revived in my time." -- Zachary Taylor


President Zachary Taylor, ca 1850

ব্যাংকাররা জ্যাকসনের ন্যায় টেইলরকেও হত্যার উপায় খুজতে থাকে। কিন্তু এবার পিস্তলণ ন্যায় খাবারে বিষ মিশ্রণের মাধমৈ তাকে হত্যা করা হয়। তিনি July 9, 1850 মৃত্যু বরন করেন।

President James Buchanan: জেমস বুকাননও একইভাবে প্রাইভেট সেন্ট্রাল ব্যাংকের বিরাধিতা করে। ১৮৫৭ সালের মন্দার সময় সাধারণ ব্যাংক কর্তক প্রকৃত ফান্ডের চেয়ে বেশী লোন দেয়ার উপর নিেষেধাজ্ঞা জারি করেন। এবং সকল ইস্যুকৃত ব্যাং নোট ফেডালে সরকারের এসেট হিসেবে ফিরিয়ে দিতে বলে। এবারে তিনিও আর্সেনিক আক্রমনের সম্মুখিন হন। যদিও তার ডিনারে ৩৮ জন লোক মারা যায় ক্নিতু তিনি সৌভাগ্যবশত বেচে যান্। সাধারণ জনগন যে ব্যাংকিং ব্যবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞ সে সম্পর্কে Rothschild brothers of London writing to associates in New York, 1863 বলেন- he great body of people, mentally incapable of comprehending the tremendous advantage that capital derives from the system, will bear its burdens without complaint, and perhaps without even suspecting that the system is inimical to their interests"


President Abraham Lincoln:
আব্রাহাম লিংকনও তাদের ব্যাংকিং সিস্টেমের বিরোধিতা করে। সিভিল ওয়ারের সময় প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য ব্যাংকারদের কাছে অর্থ ঋণ চাইলে তারা ৩০% হারে সুদের কথা বলে। তখন রিংকন নিজের অর্ত নিজেউ প্রিন্ট করে যা ব্যাংকারদের জন্য সরাসররি বড় আকারের হুমকির কারণ হয়ে দাড়ায়। এবং তারা অতিস্বত্তর প্রতিশোধের জন্য প্রস্তুত হতে থাকে। লিংকনন কর্তক প্রতিষ্টিটত নোটের নাম ছিল Greenback। তিনি বলেন সরকার এখন তার প্রয়োজনীয় সকল অর্থ কোন কস্টা ছাড়াই নিজেই প্রিন্ট করবে।(উল্লেখ্য পৃথিবীর সকল নোট এখনো রথচাইল্ড ব্যাংকাররাই ছাপায় সরকার নয়)। এর মাধমৈ সকল প্রকার ঋণ শোধ করবে এবং এজন্য নতুন কোন ঋণ নিতে হবে না। সকল প্রকার ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার জন্য সকল প্রয়োজন মেটাবে এই নোট। পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীনভাবে এ দেশের উন্নয়ন ঘটবে।


ছবি: আব্রাহাম লিংকনের সুদ মুক্ত নোট Greenback।

তৎকালনি সময়ের chancellor of Germany আমেরিকান সিবলৈ ওয়ার সম্পর্কে বলেন - দাস প্রথাই মুল কারণ নয় বরং সিভিল ওয়ার শুরুর বহু পুবিই এরুপ যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এবং এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইুউরাপের উচ্চ পর্যায়ের ব্যাংকাররা। আমেরিকান সরকার কর্তক তাদের ব্যাংকিং সিস্টেম নিষিদ্ধকরণ ও নিজস্ব সিস্টেম চালু করার কারণে ব্যাংকাররা এজন্য ভীত ছিল যে, যদি এ আবস্থা চলতে থাকে তাহলে আমেরকিা আর্থনৈতিক ও ফিনান্সিয়াল দিক থেকে স্বাধীন হয়ে যায় তবে সমগ্র পৃথিবীর উপর তাদের কতৃত্ব হারাতে হবে।

এসময় ব্যাংকারা সকল সংবাদ মাধমেকে লিংকনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মতামত ও প্রচারনার জন্য একটি দিকনের্দেশনা মুলক চিঠি লেখেন এবং এজন্য প্রচুর পরিমান অর্থ ঘুষ প্রদান করেন। একইভাবে ইউরোপিয়ান প্রাইভেট ব্যাংকারা (মুলত একই জোটের) এ পদক্ষেপের কারনে লিংকনের ইউনিয়নের বিরুদ্ধে কনফেডারেসিকে সহায়তা দান করতে থাকে। ফ্রান্স ও বৃটেন সরাসরি কনফেডারেসিকে সহায়তা প্রদানের জন্য আমেরিকা আক্রমনের কথা ঘোষনা করে। কিন্তু রাশিয়া সরাসরি তাদেরকে বাধা প্রদান করে।

চলবে......................

সোর্স: http://www.xat.org/xat/usury.html


১ ম পর্ব: Click This Link
২য় পর্ব: Click This Link
৩য় পর্ব: Click This Link
৪র্থ পর্ব: Click This Link
৪ র্থ পর্ব: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×