somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ন্যাটো কর্তৃক লিবিয়া আক্রমন ও গাদ্দাফিকে হত্যার : একটি বিশ্ব বিবেকের করুণ মৃত্যু (০২)

২৪ শে মে, ২০১৭ ভোর ৬:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




TV24: পশ্চিমা নেতাদের কাছে gold dinar কি অগ্রহনযোগ্য হবে? কেন?

Peter Koenig: হ্যাঁ। gold dinar পশ্চিমা নেতাদের কাছে সম্পূরুপে অগ্রহনযোগ্য। এটি অামেরকিার ডলার হেজেমিন এবং ইউরোপ কর্তৃক অাফ্রিকাকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ন ধ্বংসাত্বক হতে পারে। ডলার হেজেমনি 400 বা 800 বছরের পূর্বের গণহত্যার মাধ্যমে তৈরী মিলিটারী কলোনাইজেশনের চেয়ে অনেক বেশী খারাপ। এবং তা এখন আরো সুক্ষভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

2010 সালের আইভরি কোস্টের presidential elections এর প্রতি লক্ষ করুন। সাবেক আইএমএফ স্টাফ Alassane Ouattara মুলত ‘recommendation’ of the IMF এর মাধ্যমেই ক্ষমতায় আসে।এবং তিনি পশ্চিমা ব্যাংকার এলিটদের darling। এবং তার সরকার হল পশ্চিমা কর্পোরেশনগুলোর neocon government। এভাবে অধিকাংশ সরকারের ক্ষেত্রেই তারা হস্তক্ষেপ করেছে । যেখানে স্বাভাবিকভঅবে হয়নি সেখানে সামরিক আক্রমসনের মাধ্যমে পনিরবর্তন করছে।


ছবি: Alassane Ouattara

ফ্রান্সের কেন্দীয় ব্যাংক the Banque de France। এটি Central African Monetary Union’s এবং পশ্চিমাদের স্বার্থে কাজ করে থাকে। The West African Central Bank এর ৭০% ই নিয়ন্ত্রিত হয় the Banque de France এর মাধ্যমে। ফ্রান্সের the Banque de France ব্যাংক আফ্রিকায় তাদের সাবেক কলোনীগুলোর প্রায় সকল দেশেরই অর্থনীতির সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রণ করে। এজন্য আশ্চর্য হবার কিছূ নেই যে Sarkozy এ হত্যাকারী। শুদূ সার্কোজিই নয় murderer and war criminal হিলারীও আছেন এই হত্যাকারীর তালিকায়। হিলারীই NATO কে ব্যবহার করে লিবিয়ার ন্যায় সুন্দর দেশটিকে ধ্বংস ও হাজার হাজার লিবিয়ানবক হত্যা এবং স্বল্প সংখ্যক বিদ্রহী তৈরী করে বিভেদ তৈরীর কাজ করেছে। হিলারীর কুখ্যাত উক্তি ‘We came we saw he died’ আমরা লিবিয়ায় আসলাম এবং গাদ্দাফিকে মৃত্যু দেখলাম"। হ্যাঁ তিনি এই কথা বলেছেন নির্লজ্জ, কৌতুক ও হাস্যকরভাবে (‘shamelessly, jokingly, laughing’)


Russia TV24: কোন দেশটি লিবিয়ার পনর্গঠন করতে আগ্রহী এবং কেন? লিবিয়ার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে তা কেমন কাজে আসবে?

PK: হ্যা এমন যদি কেহ করে তবে তা লিবিয়ানদের মধ্য থেকৈই হতে হবে কারণ তারা এখন বিশৃঙ্খলা, ব্যাপক দুর্নিতি, মাফিয়া-অর্থনীতি এবং সন্ত্রাসী নেতৃত্বর মধ্য অবস্থান করছে। স্বাভাবিকতায় ফেরার জন্য তাদেরই বেশী আগ্রহ অাছে। উত্তর অঅফ্রিকার প্রতিবেশী দেশগুলোও পুনর্গঠন ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কাজ করতে পারে। কারণ তারাও একজন গুরুত্বপূর্ন ব্যবসায়িক পাটর্চনারকে হারিয়েছে।

শুধু প্রতিবেশী দেশই নয় বরং বাকি আফ্রিকান দেশগুলোও গাদ্দাফির মৃত্যুর পর ধারাবাহিক কলোনাইজেশনে ভুগছে তারাও লিবিয়ার পুনর্গঠনে কাজ করতে পারবে। এর বাইরে আছে ইউরোপ কিন্তু তারা লিবিয়াকে পুনর্গঠন করবে এই কথা বলার সাহস করবে না কারণ লিবিয়া এখন ওয়াশিংটনের ভুখন্ড। ওয়াশিংটন নিজেই চায় লিবিয়ার ধারাবাহিক বিশৃঙ্খলা। ওয়াশিংটনের এ নীতির কারণে লিবিয়া এখন
(আইএসএস ও সুইসাইড বোম্বার) বিভিন্নরকম সন্ত্রাসীদের রিক্রুটেমেন্টর ভয়ানক আবাসস্থল হয়েছে। CIA এবং তাদের সহযোগীদের দ্বারা পরিচালিত কিমিনাল কাযক্রমের মাধ্যমে লিবিয়াতে এখন সন্তাসবাদ সমৃদ্ধি লাভ করছে। কিন্তু বাকি বিশ্ব তা দেখে না বা লক্ষ করে না। গাদ্দাফির এটাই অপরাধ যে সে দেশের ও আফিকারজন্য ভাল কিছূ করছিলেন ও করতে যাচ্ছিলেন। ফলে তিনি মানি লর্ড ও লোভী পশ্চিমা শক্তি কতৃক উৎখাত হয়েছেন।

Russia TV24: এক দশক আগেও লিবিয়া অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ছিল very successful। এ বিষয়টিকে আপনি কি মনে করেন?

PK: সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে লিবিয়া ছিল একটি সফল দেশ বলতে গেলে আফ্রিকার সবচেয়ে সফল দেশ। তেল বিক্রির অর্থ তার স্বদেশী লিবিয়ানদের সাথে শেয়ার করায় তা সসমৃদ্ধির পথে পৌছায়। লিবিয়াতে প্রথম শ্রেনীর social safety net, আকর্ষনীয় transportation infrastructure, ফ্রি মেডিকেল সার্ভিস এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসহ আধুনিক হাসপাতাল, সবার জন্য ফ্রি শিক্ষাসহ বিদেশে শিক্ষা লাভের জন্য স্কলারশীপ সুবিধা ছিল লিবিয়ায়।

প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফির নেতৃত্বে লিবিয়া তার সকল প্রতিবেশী দেশের সাথে আফ্রিকান সংহতির ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ন রাষ্ট্র গঠন করেছিল। ‘brother nation’বা ভ্রাতৃ রাষ্ট্র কোন প্রকার সমস্যা হলেই সাহায়্য করার জন্য সদা প্রস্তুত ছিল। গাদ্দাফি কিছূটা দক্ষিন আমেরিকার Hugo Chavez এর ন্যায়। তার ছিল বিশাল হৃদয়ও কারিশমা যা ছিল সর্ম্পর্ন লিবিয়ান মানুষের কল্যানে কিন্তু তা পশ্চিমাদের স্বার্থের জন্য ছিল না। হ্যাঁ তবুও তাকে পশ্চিাম কর্তক ষ্বের শাসক বলা হয়।

মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে অভিযুক্ত করেছিল ওয়াশিংটন ১৯৮৮ সালের লকারবি বিমান হামলার জন্য যাতে ২৪০ এরও বেশী লোক নিহত হয়। একই সাথে সেই অভিযোগে শরিক হয় মেরুদন্ডহীন ইউরোপের পাপিটরাও। অথচ এর সাথে গাদ্দাফির কোন সম্পর্ক প্রমাণিত হয়নি বা কোন শক্তিশালী প্রমানও নেই। তথাপি তা গাদ্দাফির বিরুদ্ধে অবেরাধের জন্য কাজে লেগেছে। একটি তৈল ও খনিজ সমৃদ্ধ দেশের রাষ্ট্র প্রধানের কি স্বার্থ থাকতে পারে একিট বিমান হামলা করে কিছু মানুষকে হত্যাি করে?

TV24: ২০১১ সালের তুলনায় একন লিবিয়ার তেল উৎপাদন ৫০% বেড়ে গেছে। এটা কি ভাল কিছূ ইঙ্গিত করছে?

PK: উৎপাদন বাড়ছে এটি ভার খবর বাট এই উৎপাদন থেকে কে লাভবান হবে? এটা নিশ্চিত যে লিবিয়ানরা নয়। বরং আন্তর্জাতিক কর্পোরেশনগুলো বা আমেরিকা এবং ফ্রান্সের oil giants. কোম্পানিগুলো।

Russia TV24 লিবিয়ার উপর থেকে সকল প্রকার নিষেধাজ্ঞা ও বিদেশী বিনিয়োগের উপর সকল বাধা সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এর ফলে কি দেশটি দ্রুত পুনর্গঠিত হবে?
PK: অবরোধ উঠে গেলেও সেখানে ওয়াশিংটনের কী স্বার্থ অাছে সেটাই আগে দেখতে হবে। কারণ ওয়াশিংটন ও সিআইএ এর ক্রাইমের নিরাপদ ভুমি এবং প্রক্সী যুদ্ধ চালানোর জন্য বিভিন্ন সন্ত্রাসী উৎপাদন ও বিশৃঙ্খল যায়গায় অন্যকেহ বিনিয়োগ করতে আসবে না।

১ম পর্ব: Click This Link

সোর্স: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৭ ভোর ৬:৩৪
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×