" বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম"
আল-কুরআনের অলৌকিকত্ব কোনদিনই শেষ হবে না।
পবিত্র কুরআনের সম্পুর্ন জ্ঞান অর্জন মানুষের পক্ষে সম্ভব হবে কি-না তা মহান আল্লাহই সব থেকে ভাল জানেন ।মহান আল্লাহই তার কুরআনের জ্ঞান এবং অলৌকিকত্ব ধীরে ধীরে উন্মোচন করবেন। "......আমি তাদের
জন্য আমার নিদর্শনাবলী ব্যক্ত করব বিশ্ব জগত ও তাদের নিজেদের মধ্যে। ফলে তাদের নিকট সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে যে, উহাই (আল কুরআন )সত্য"।(ফুচ্ছিলাত ৫২-৫৩)।এখন কুরআনের সামান্য কয়েকটি তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্ট করছি।
# আমাদের দুনিয়ার জীবন ব্যবস্হার সাথে আখেরাতের জীবন ব্যবস্হা ওতপ্রোতবাবে জড়িত বলেই দুনিয়া শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে ১১৫ বার এবং আখেরাত শব্দটিও ব্যবহৃত হয়েছে ১১৫ বার।
# মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে জীবনের সাথে মৃত্যূর প্রসংগ উল্লেখ করেছেন্,তাই "আল হায়াত" শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে ১৪৫ বার এবং 'আল মউত" শব্দও উল্লেখ করা হয়েছে ১৪৫ বার।
# "মালাইকা" শব্দ(ফেরেশতা) বলা হয়েছে ৮৮ বার এবং "শায়াত্বীন" (শয়তান) শব্দও বলা হয়েছে ৮৮ বার।
# "ইবলিস" শব্দটি পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে ১১ বার এবং ইবলিস থেকে আশ্রয় চাওয়ার জন্যও বলা হয়েছে ১১ বার।
# "মুসিবত" শব্দটি বলা হয়েছে ৭৫ বার। আর মুছিবত থেকে আল্লাহর রহমতে উদ্ধারের পর "শুকরিয়া" শব্দটিও উল্লেখ করা হয়েছে ৭৫ বার।
# পবিত্র কুরআনে বিপথগামী জাতির কথা বলা হয়েছে ১৭ বার । আর
মহান আল্লাহর কাছে বিপথগামী জতিরাই হচ্ছে মৃত বা ধ্বংসপ্রাপ্ত। অতএব মৃত জাতির কথা বলা হয়েছে ১৭ বার।
# মুসলমান ও জিহাদ একে অপরের পরিপূরক বলেই কি মহান আল্লাহ "মুসলিম" শব্দটি ৪১ বার এবং "জিহাদ" শব্দটিও ৪১ বার ব্যবহার করেছেন ?
# "যাকাত" শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ৩২ বার । অপর দিকে যাকাতের পরিপূরক "বরকত" শব্দটিও ব্যবহৃত হয়েচছ ৩২ বার।
# আমাদের রসুল (সঃ) হলেন এই দুনিয়ায় শরী"আহ প্রচলনের মূল। এজন্যই বোধ হয় "মুহাম্মদ" শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ৪বার এবং "শরী"আহ" শব্দটিও ব্যবহৃত হয়েছে ৪ বার।
সবচেয়ে আশ্চার্য বিষয় হল, আমাদের এই পৃথিবীতে পানি- মাটির অবস্হান। আমরা সাধারনভাবে জানি , পৃথিবীর তিনভাগ জল একভাগ স্হল।কিন্তু নিখুত হিসাব কেউ জানেন কি? প্রায় ১৫০০ বছর আগে পবিত্র কুরআন নিখুত হিসাবটি দিয়ে রেখেছে, তা দেখে আজকের ভূগোলবিদরা স্তম্ভিত। পবিত্র কুরআনে "আল-বাহর" বা "সমুদ্র" শব্দটি এসেছে ৩২ বার। তার বিপরীত শব্দ "আল-বার" বা স্হল-মাটি শব্দটি এসেছে ১৩ বার। অর্থাৎ এই জল-স্হল বা পানি-মাটি অর্থাৎ ৩২+১৩ মিলিয়ে আমাদের এই পূর্ণ পৃথিবী। ৩২+১৩=৪৫ হল১০০% পৃথিবী।তাতে পানির পরিমান হল
(৩২/৪৫)১০০% =৭১.১১১১ ভাগ। এবার মাটির পরিমান হল (১৩/৪৫)১০০%=২৮.৮৮৮৯ ভাগ। আর এটাই হল সামগ্রিকভাবে জল ও স্হলের নিখূত হিসাব যা বর্তমান বৈজ্ঞানিকদের নিকট প্রতিষ্ঠিত।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে আল কুরআন পড়ার,বুঝার এবং বাস্তবায়ন করার তৌফিক দান করুন । আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




