"বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম"
মধু সংগ্রহে বের হয় স্ত্রী মৌমাছি, পুরুষ মৌমাছি নয়।
মহান আল্লাহ বলেছেন ,"তোমার প্রতিপালক মৌমাছিকে তার অন্তরে
ইঙ্গিত দ্বারা নির্দেশ দিয়েছেন, গৃহ নির্মাণ কর পাহাড়ে, বৃক্ষে ও মানুষ যে গৃহ নির্মাণ করে তাহাতে । এরপর প্রত্যেক ফল থেকে কিছু কিছু আহার কর ,অতপর তোমার প্রতিপালক তোমার জন্য যে পদ্ধতি সহজ করেছেন তার অনুসরন কর । তার উদর তেকে নির্গত হয় বিবিধ বর্ণের পানীয়, এতে মানুষের জন্য আছে ব্যাধির প্রতিকার। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন রয়েছে।"-সূরা নাহল(৬৮-৬৯)
এই আয়াতে মৌমাছির বর্ণনায় স্ত্রী ক্রিয়া ব্যবহৃত হয়েছে অর্থাৎ স্পষ্টভাবেই বলা হচ্ছে,যে মৌমাছি মৌচাক ছেড়ে খাদ্য আহরণের
জন্য বের হয় তা স্ত্রী প্রজাতির মৌমাছি।
১৪০০ বছর পূর্বে মানুষ কি জানতো যে শুধু মেয়ে মৌমাছিই খাদ্য সংগ্রহের জন্য যায়? এই আধুনিক যুগেও পুরুষ ও স্ত্রী মৌমাছি শনাক্ত ও পৃথকীকরনের জন্য বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হয়।
লক্ষ্য করুন শেক্সপিয়ারের (১৫৬৪-১৬১৬) সময়ের মানুষের কি ধারনা ছিল এ ব্যপারে। শেক্সপিয়ার তাঁর নাটক চতুর্থ হেনরীতে মৌমাছির কিছু চরিত্রের ব্যপারে আলোচনা করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন মৌমাছিদের আছে একজন রাজা এবং রাজার অধীন অনেক সৈন্য। শেক্সপিয়ার বা সেই সময়ের মানুষ ভেবেছেন যে, সমস্ত মৌমাছি যা আশেপাশে উড়ে বেড়ায়
তা হলো পুরুষ মৌমাছি এবং এই মৌমাছিরা মৌচাকে পৌছে তাদের রাজাকে রিপোর্ট পেশ করে । আসলে বাস্তব হলো তার উল্টো । তারা সব স্ত্রী মৌমাছি এবং মৌচাকে পৌছে তারা তাদের রাণীর কাছে রিপোর্ট দেয়।
শুধু আধুনিককালের নিখুত বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ফলেই প্রকৃত ব্যপার মানুষ বুঝতে পেরেছে যা ১৪০০ বছর পূর্বেই মহান আল্লাহ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন!!
"আকাশ ও পৃথিবীর কোন কিছুই আল্লাহর নিকট হতে গোপন নয়।"
সূরা ইমরান।
"তিনি কি জানবেন না যিনিই (আল্লাহ) সৃস্টি করেছেন? তিনি তো অতীব নিখুতদর্শী ও সুবিজ্ঞ।" সূরা মূলক -১৪।
আল্লাহ আমাদেরকে তার পাক কুরআন পড়ার, বুঝার ও মানার তৌফিক দান করুন । আমিন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



