somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আল্লাহর কাছে কিছু চাইতে উসিলা করা বা কাউকে মাধ্যম বানানো।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৭:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উসিলা কয়েক প্রকারের হতে পারে: (১)কোন ব্যাক্তিকে উসিলা বানানো (২)নিজের আমলকে উসিলা বানানো ও (৩)কোন বস্তু বা জিনিষকে উসিলা বানানো।
প্রথমত: ব্যক্তিকে উসিলা বানানোর কথা সবাই স্বীকার করে। যেমন:
১। রাসুলের(সা.) সময় উনাকে এবং পরে তার চাচাকে উসিলার কথা উল্লেখ করা।
২। ইবুসুফ নবীর(আ.) ভাইরা তাদের বাবাকে উসিলা করেছিলেন:
قالوا يا ابانا اسـتـغـفر لنا ذنوبنا انا كنا خاطئين
৩। ঈসা নবীর(আ.)অনুসারিরা আরোগ্য ও সুস্থতার জন্য উনাকে খোদার কাছে উসিলা করতেন ইত্যাদি।

আর আল্লাহর সুন্নতে কোন পরিবর্তন হবেনা। যা ছিল তাই থাকবে। এটা কোরানের কথা।

মৃতের জন্যও এটা প্রযোজ্য কেননা মৃত ব্যক্তি জীবিতর ন্যয় কথা শোনে এবং সালামের জবাব দেয়। আর তাইতো নামাজে আমরা সালাম করে বলি:
السلام عليك ايهاالنبي ورحمة اللّه وبركاته
হে নবী আপনার উপর সালাম ও খোদার রহমত বর্ষিত হোক।

তাছাড়া আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর বর্ণনা করেন: শহীদদের রুহ তাদের জেয়ারতকারীর সালামের জবাব দেয়।
(অবশ্য ইবনে তাইমিয়্যাহ রুহের অস্বিকার করে। যার কারণে কেয়ামতের অস্বিকার করে এবং বলে মারা যাওয়া মানে শেষ হয়ে যাওয়া।)
তাই মৃত ব্যক্তিকেও ইতিহাসে আমরা উসিলা করতে দেখি। যেমন:
১। নবীর(সা.) মৃত্যুর পর আলী(রা) নবীকে(সা.) উসিলা করে দোওয়া করতেন আর বলতেন:
بابي انت وامي اذكرنا عند ربك واجعلنا من بالك .
আমার পিতামাতা আপনার উপর কোরবান। খোদার নিকট আমাদের জন্য দোওয়া করুন খোদা যেন আমাদের মনে রাখেন।
২। আলী(র) হতে হাদীসে বর্ণিত যে,রাসুলের(সা.) মৃত্যুর তিনদিন পর একজন আরব এসে নিজেকে নবীর কবরে ফেলে দেয় ও মাথায় কবরের ধুলো মেখে বলে:
يا رسول اللّه قلت فسمعنا قولك , ووعيت عن اللّه سبحانه فوعينا عنك , وكان فيما اءنزل عليك : (ولو انـهـم اذ ظـلـمـوا انـفـسـهـم جـاؤوك ), وقـد ظلمت وجئتك تستغفر لي .
যদি কেউ নিজের উপর জুলুম করে তোমার নিকট আসে। আমিও নিজের উপর জুলুম করেছি এবং তোমার কাছে এসেছি আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।

দ্বীতিয়ত: আমলে সালেহ দিয়ে আল্লাহর নৈকট্টের কথাও আপনি বলেছেন।

তৃতীয়ত:বস্তুকে উসিলা করা। আমরা ইতিহাসের পাতায় এরকম অনেক উসিলার উদাহরণ দেখতে পাই যেমন:
১। গায়ের জামাকে উসিলা করা:হযরত ইউসুফ নবী(আ.) তার নিজের জামাটাকে বাবার জন্য পাঠিয়েছিলেন। তখন ইয়াকুব নবী(আ.) সেটাকে উসিলা করাতে আরগ্য পেয়েছিলেন যা কোরানের কথা।
তাছাড়া আলীর(আ.) মা যখন মৃত্যু বরণ করেন নবী করিম(সা.) কিছুক্ষনের জন্য তার কবরে শুয়ে ছিলেন এবং গায়ের জামা খুলে মৃতের মুখের নিচে দিতে বললেন। কারণ জিজ্ঞেস করাতে বললেন: কবরে শুলাম এ জন্য যে খোদা তার কবরকে প্রশস্ত করুক। আর জামা দেয়ার উদ্দেশ্য হল এই যে,-যদি খোদার ইচ্ছা হয়- জাহন্নামের আগুন যাতে না পৌছায়। (মুসনাদে আহমাদ, ৩'য় খন্ড, ২২৬ পৃষ্ঠা, মদীনার ইতিহাস বইতে)
২। গায়ের ঘামকে উসিলা করা: আনাস ইবনে মালিক হতে রেওয়ায়েত আছে যে, রাসুল(সা.) যখন উম্মে সালিমের গৃহে বিশ্রাম করতেন সে তখন রাসুলের(সা.) গায়ের ঘাম তাবার্রুক ও বাচ্চাদের শেফার(আরগ্য) জন্য জমা করে রাখতেন। নবী করীম(সা.) ঘুম থেকে জেগে বললেন সঠিক কাজটি করেছ। (সহীহ মুসলিম, ৭'ম খন্ড, বাবে কুরবে নবী(সা.) বিন্নাস ওয়া তাবার্রুকেহিম বিহ)
অবশ্য এরূপ ঘটনা অনেক রয়েছে যেমন: ওযুর পানি সংগ্রহ করা, মাথার চুল সংগ্রহ করা, এমনকি হাদীসে রাসুলের(সা.)মলের জন্যও বর্ণনা করা হয়েছে।
৩। কবরকে উসিলা করা: কাসেম ইবনে মোহম্মদ ইবনে আবু বকর(র) হতে বর্ণিত: সাহাবারা রাসুলের(স.) কবর তৈরি করেন এবং প্রথম যে ব্যক্তি রাসুলের(সা.) কবরের মেরামতের কাজ করেছে ওমর ইবনে খাত্তাব ছিলেন।
সাহাবারা রাসুলের(সা.) স্ত্রী উম্মে হাবিবার মাযার তৈরি করেন। যা ওয়াবিদের দৃষ্টিতে জায়েজ নয়। ইত্যাদি ইত্যাদি।

৮টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নীল নকশার অন্ধকার রাত

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৬


কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

লিখেছেন গ্রু, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮



ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।

মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×