somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জয় বাংলা শ্লোগানের ইতি কথা প্রথম পর্বঃ

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

“জয় বাংলা শ্লোগানের” ইতিহাস নিয়ে লেখা হবে এই মর্মে গত কয়েক দিন আগে একটি পোষ্ট করা হয়। অনেকেই আগ্রহ নিয়ে জানতে চেয়েছেন “জয় বাংলা শ্লোগানের” ইতিহাস। প্রথমেই তাদেরকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। ১৯৬২ সালে “স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস” গঠনের এক বছরের মাথায় “স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস” এর অধীনে একটি হাতে লেখা তিন পেইজের পত্রিকা বের হতে লাগল, যার নাম ছিল “জয় বাংলা”। আজ তার প্রথম পাতার লেখা গুলো টাইপ করে দেয়া হলো। এবং ধারাবাহিক ভাবে তা আপলোড করা হবে। মূল তিনটি পাতা যা হাতে লেখা ৪৫ বছরের পুরনো, শেষ কিস্তিতে পুরা পত্রিকা আপলোড করে দেয়া হবে। এখানে প্রথম পাতার scan কপি দেয়া হল।



“জয় বাংলা শ্লোগানের” জন্ম ইতিহাস ।
১৯৬৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মধুর কেন্টিনে সিরাজপন্থী (সিরাজুল আলম খান নিউক্লিয়াসের জনক ) জনাব আফতাব আহম্মেদ জয়বাংলা শ্লোগান প্রথম উচ্চারণ করেন আর তা রিসিভ করেন চিশতী হেলালুর রহমান/ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ১৯৭০ সালের ৭ই জুন রেসকোর্সের মাঠে প্রথম জয়বাংলা শ্লোগান উচ্চারন করেন। এই শ্লোগানের (এর বিপরীতে ছাত্র ইউনিয়নের পালটা শ্লোগান ছিলো জয় সর্বহারা),।


পৃষ্ঠা নং ১
বিশেষ সংখ্যা
জয় বাংলা
সাধারন নির্বাচন অত্যাসন্ন।

এই নির্বাচন ক্ষমতা দখলের জন্য নয়, বরং বাংলার মানুষের ভাগ্য নির্ধারনের এক মহা পরীক্ষা। আর সে পরীক্ষার ভিত্তি হলো ঐতিহাসিক ৬দফা ও ১১দফা।

এ নির্বাচনকে গনভোট হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছে। গনভোটের অর্থ কেবল মাত্র জাতীয় পরিষদে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫০ এর অধিক সংখ্যাগরিষ্ঠতাই নয় তার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশের মোট ভোটের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতাও বটে। তাহলেই সে সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে জাতির পক্ষ হতে ম্যান্ডেট বা শেষ রায় বলিয়া গন্য করা হইবে। এক্ষেত্রে ছাত্র সমাজ তথা যুব সমাজের দায়ীত্ব সবচাইতে অধিক। কারন আমাদের মত অনুন্নত দেশ ছাত্ররাই বেশী প্রগতিমনা ও সংগ্রামী সেজন্যই সাধারন মানুষের নিকট ছাত্ররা শ্রদ্ধার পাত্র।

প্রতিটি ছাত্রকে নিজ দায়ীত্বে অত্যান্ত সুষ্ট ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সতর্কতার সাথে অগ্রসর হইতে হইবে।

প্রতিটি ছাত্রের কতব্য নিম্নরুপ।

(ক) প্রত্যেককে নিজ নিজ থানা কর্মক্ষেত্র হিসাবে বাছিয়া লইতে হইবে।

(খ) সমকক্ষ একাধিক ছাত্র এক থানার অধিবাসী হইলে সহযোগিতার মধ্য দিয়া একই থানায় কাজ করিতে হইবে।

(গ) প্রতিটি সভা-সমিতি ও কর্মী সভায় যোগ দিয়া স্বীয় মতামত ব্যক্ত করিতে হইবে।

(ঘ) কেবল বক্তৃতা বা বিবৃতির মধ্যে কাজকে সীমাবদ্ধ না রাখিয়া আন্দোলনমুখী উৎসাহী কর্মী সৃষ্টি করিতে হইবে।

(ঙ) উৎসাহী কর্মীদের লইয়া রীতিমত রাজনৈতিক আলাপ আলোচনা আন্দোলনের গতিধারা আপোষমুলক মনোভাব সৃষ্টির পরিবর্তে সংগ্রামী মনোভাবের অনুপ্রেরনা সর্বোপরি ভবিষৎ আন্দোলন সঠিক ভাবে পরিচালনার জন্য থানা ভিত্তিক ও গ্রামভিত্তিক কর্মীদের লইয়া একটি সাংগঠনিক রুপ দিতে হইবে। এই সংগঠন কেবল মাত্র আন্দোলন পরিচালনার জন্য গঠন হবে।

(চ) এই সংগঠন সর্বদা ঢাকা হইতে ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসুচি বাস্তবায়ন করিবে।

এই সংগঠনের দায়ীত্ব নিম্নরুপ।

(ক) ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপক ত্ৎপরতার দ্বারা আদর্শ ও আন্দোলনের প্রতি ছাত্রদের অনুপ্রানিত করিবে।

(খ) গ্রামে গ্রামে কৃষকদের মধ্যে রাজনৈতিক আলাপ আলোচনা কৃষকদের সমস্যা ভিত্তিক আলোচনা ও সমাধানের রুপরেখা নির্ধারন করিবে এবং কৃষকদেরকে সংগঠিত করার চেষ্টা করিবে।

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
১১টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×