৬০ এর দশকে জয় বাংলা এবং জয় সর্বহারা এই দুইটি শ্লোগানের বাহিরেও আরেকটি শ্লোগান পাকিস্তান জিন্দাবাদ(এন এস এফ [দোলন গ্রুপ বাদে] ) মুসলিম লীগ ও জামাত সহ অন্যরা চালু রেখেছিল।
১৯৬২ সালে “স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস” গঠনের এক বছরের মাথায় “স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস” এর অধীনে একটি হাতে লেখা তিন পেইজের পত্রিকা বের হতে লাগল, যার নাম ছিল “জয় বাংলা”। আজ তার দ্বিতীয় পাতার লেখা গুলো টাইপ করে দেয়া হলো। এবং ধারাবাহিক ভাবে তা আপলোড করা হবে। মূল তিনটি পাতা যা হাতে লেখা ৪৫ বছরের পুরনো, শেষ কিস্তিতে পুরা পত্রিকা আপলোড করে দেয়া হবে। এখানে দ্বিতীয় পাতার scan কপি দেয়া হল।
(গ) শ্রমিকদের মাঝে অনুরুপ ভাবে আলোচনা করিবে ও শ্রমিকদের সংগঠিত করিবে।
(ঘ) শিক্ষিত সমাজের মধ্যে অর্থাৎ শিক্ষক, বিভিন্ন অফিসের কর্মচারী, উকিল, মোক্তারদের মধ্যেও রাজনৈতিক আলাপ আলোচনা করিবে।
(ঙ) প্রত্যেক স্কুলের কমপক্ষে একজন শিক্ষককে আদর্শে অনুপ্রানিত করিয়া সে অঞ্চলের দায়ীত্ব অর্পন করিতে হইবে।
(চ) বেকার যুবকদের সংগঠিত করিতে হইবে।
(ছ) প্রয়োজনীয় প্রচার পত্র ও প্রাচীর পত্র বিলি করিবে।
সংগঠন নিম্নরুপে গঠিত হইবে।
(ক) প্রত্যেক থানায় ৫,৭, বা ৯ জন সদস্য বিশিষ্ট যুবকদের লইয়া কমিটি গঠিত হইবে। এই কমিটি সমগ্র থানার জন্য দায়িত্ব ভার পালন করিবে।
(খ) থানা কমিটির তত্বাবধানে প্রতিটি ইউনিয়নের ৩. ৫. বা ৭ জন বিশিষ্ট সদস্যের কমিটি গঠন করিতে হইবে।
(গ) থানা ও ইউনিয়ন থানা কমিটির তত্বাবধানে প্রতিটি গ্রামে এক বা একাদিক যুবকে গ্রামের দায়িত্ব দিতে হইবে।
(ঘ) এই কমিটি নিবাচন অনুষ্ঠানের অর্থাৎ ৭ই ডিসেম্বরের আগে অবশ্যই গঠিত হইতে হইবে।
উপরের গঠিত কমিটির প্রতি নিদেশ।
(ক) জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সংখ্যাগরিষ্টতা থাকা সত্ত্বেও যে কোন কারনে ৬ দফা ও ১১ দফা ভিত্তিক শাসনতন্ত্র প্রনীত না হইলে বাংলার মুক্তির আন্দোলন হইবে পরবতী কর্মসূচী এবং পশ্চিমা শাসক ও শোষক গোষ্ঠীর সংঙ্গে সেখানেই প্রত্যক্ষ সংগ্রামের শুরু।
(খ) সে সংগ্রাম নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন হিসাবে শুরু হইলেও পরবতী কালে অসহযোগ. ট্যাক্স বন্ধ, পন্য বর্জন ইত্যাদি আন্দোলনে পরিনত হইবে এবং আর পরে রক্ত দেওয়া ও রক্ত নেওয়ার পর্যায়ে উপনীত হইবে।
(গ) ৬ দফা ও ১১ দফা ভিত্তিক শাসনতন্ত্র প্রনীত হইলেও বাংলা, বাঙ্গালীর স্বাধীন স্বত্ত্বা প্রতিষ্ঠার জন্য অনুরুপ ভাবে আগাইয়া যাইতে হইবে।
(ঘ) পরিষদে সংখ্যাগরিষ্টতা অজিত না হইলে বাংলা ও বাঙ্গালীর মুক্তির সংগ্রাম ঘোষনা করা ছাড়া অন্য কোন পথ তাকিবে না।
কেন নির্বাচন চাই?
(ক) জাতীয় পরিষদ নিরংকুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতার দ্বারা প্রমান করিতে হইবে বাংলার মানুষ একবাক্যে ৬-দফা ও ১১-দফার পক্ষে।
(খ) সংখ্যা গরিষ্ঠতা সত্ত্বেও ৬-দফা ও ১১-দফা পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী স্বীকার না করিলে দেশবাসী জনসাধারনের নিকট ইহা স্পষ্ট হইবে যে পশ্চিমারা বাঙ্গালীকে গোলাম হিসাবে রাখিতে চায় এবং দেশবাসী বুঝিবে যে সে ক্ষেত্রে বাঙ্গালীর মুক্তি সংগ্রামই একমাত্র খোলা পথ।
লক্ষ্য করুন এবং মনযোগ দিয়ে পড়ে দেখুন এই দুটি পয়ন্টে।
উপরের গঠিত কমিটির প্রতি নিদেশ।
(ক) জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সংখ্যাগরিষ্টতা থাকা সত্ত্বেও যে কোন কারনে ৬ দফা ও ১১ দফা ভিত্তিক শাসনতন্ত্র প্রনীত না হইলে বাংলার মুক্তির আন্দোলন হইবে পরবতী কর্মসূচী এবং পশ্চিমা শাসক ও শোষক গোষ্ঠীর সংঙ্গে সেখানেই প্রত্যক্ষ সংগ্রামের শুরু।
(খ) সে সংগ্রাম নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন হিসাবে শুরু হইলেও পরবতী কালে অসহযোগ. ট্যাক্স বন্ধ, পন্য বর্জন ইত্যাদি আন্দোলনে পরিনত হইবে এবং আর পরে রক্ত দেওয়া ও রক্ত নেওয়ার পর্যায়ে উপনীত হইবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




