ডারউইনবাদীদের ধারণা বানর থেকে বিবর্তনের ফলে জন্ম হয়েছে মানুষের! ডারউইনের এই তত্ত্ব নিয়ে পরে একসময় লিখবো!এখন বলতে চাই গরু থেকে কিভাবে মানুষ হয়!প্রথমে হিন্দুদের পুনর্জন্মে বিশ্বাস সম্পর্কে কিছু বলা দরকার!
হিন্দুদের মতে ব্রম্মা সকল আত্মাকে একই সময়ে সৃষ্টি করার পর,প্রজাপতি রুপে পৃথিবীতে পাঠায়!এরপর প্রজাপতিগুলো মৃত্যুর পর নিজ নিজ কর্মফল অনুযায়ী বিভিন্ন প্রাণীর আকারে জন্ম নিতে থাকে!এভাবেই সৃষ্টি হয় বিচিত্র প্রাণীজগত!আর এভাবেই একসময় জন্ম হয় মানুষের!হিন্দুরা আরো বিশ্বাস করে যে মানুষের জন্মের ঠিক আগের স্তরটিই হচ্ছে গরু!অর্থাৎ বিভিন্ন প্রাণী তাদের কর্মফল অনুযায়ী পুনর্জন্ম হতে হতে যদি গরু পর্যন্ত এসে পৌঁছাতে পারে তাহলে গরুটি মৃত্যুর পর জন্ম নেবে মানুষ হয়ে!
ডারউনের বিবর্তনবাদ কিন্তুু হিন্দুদের এই পুনর্জন্মের ধারণার চেয়ে কোনো অংশে কম কল্পনাপ্রসূত নয়!
এবারে পবিত্র কুরআনের কথায় আসা যাক।যদিও পবিত্র কুরআনের প্রথম সুরার নাম ফাতেহা কিন্তুু এটি আসলে কুরআনের ভূমিকা!এটি মূলত আল্লাহর প্রতি পেশ করা আমাদের মান পত্র এবং এটি আল্লাহই আমাদেরকে শিখিয়েছেন|যেমনঃ আমরা স্কুলে মানপত্র পড়েছি!কোনো মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য স্কুল পরিদর্শনে আসলে প্রথমে তার উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করতে হয়!সম্মানিত অতিথির প্রশংসা দিয়ে শুরু করতে হয়!তিনি কত মহান তা উপস্থাপন করতে হয়।এরপর স্কুল কতৃপক্ষ এবং ছাত্রছাত্রী সবাই তার প্রতি কতটা অনুগত তা বলতে হয়!সবার শেষে স্কুলের সকল সমস্যা তুলে ধরে অতিথির কাছে এর সমাধানের আবেদন করা হয়!
সুরা ফাতেহা ঠিক একই জিনিস!আল্লাহর প্রতি মানপত্র!এই মানপত্রে আল্লাহর নিকট জীবনের সরল,সঠিক পথ চাওয়া হয়েছে!সুরাটি অর্থসহ পড়লেই বিষয়টি পরিস্কার বোঝা যাবে!
কাজেই মূল কুরআন শুরু হয়েছে মূলত সুরা বাকারা দিয়ে আর শেষ হয়েছে সুরা নাস দিয়ে!আরবী বাকারা অর্থ গরু আর নাস অর্থ মানুষ!মজার বিষয় পবিত্র কুরআন শুরু হয়েছে গরুর সুরা দিয়ে আর শেষ হয়েছে মানুষের সুরা দিয়ে!
আল্লাহ মহাবিশ্বের সবকিছুই মানুষের জন্য সৃষ্টি করেছেন!এত দয়ার পরও যারা আল্লাহর অস্তিত্ব বুঝতেই পারেনা তারা তো গরুর সমতুল্যই!কাজেই এই গরুগুলো যাতে মানুষ হয়ে উঠতে পারে সেই ফর্মূলা আল্লাহ দিয়ে দিলেন পবিত্র কুরআনে!তাই বলা যায় রক্তমাংসের গরু নয়,মানসিক গরুগুলো যদি পবিত্র কুরআন পড়ে সত্য উপলব্ধি করতে পারে তাহলে তারাও গরু থেকে বিবর্তিত হয়ে মানুষ হয়ে উঠবে!