somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১০ জন মুসলমান নামধারি অত্যাচারি, খুনি আর ঘৃনিত ব্যাক্তি

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুসলিম ইতিহাসে যেমন অত্যান্ত ভাল কিছু মানুষ রয়েছেন যারা মানুষের জন্য সারা জীবন কাজ করে গেছেন। ঠিক তেমনি রয়েছেন কিছু ভয়ানক অত্যাচারি, খুনি আর রক্তপিপাসু মানুষ। এরা ইসলামের নামে অথবা ইসলাম ধংশের জন্য এই ভয়ানক কাজ গুলো করেছেন। আমি আজকে শুধু মাত্র বিংশ শতকের কিছু ভয়ানক মুসলিম ব্যাক্তির কাজগুলো নিয়ে লিখছি যারা এখনো মানুষের মনে ঘৃনিত হয়ে আছেন।

১০) Mohammad Reza Pahlavi


মুহাম্মদ রেজা পাহলভি ইরান শাষন করেন ১৯৪১ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত টানা ৩৮ বছর। তার পিতা রেজা পাহলভি র তৃতীয় সন্তান হিসাবে উত্তরাধিকার সুত্রে ইরানের শাষক হন। মুলত তিনি নামে মুসলিম হলেও বিশ্বাষে দিকথেকে একজন কট্টর ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। পুরো ইরানের তেল সম্পদকে বিনা হিসাবে পশ্চিমাদের হাতে তুলেদিয়েছিলেন। এছারা বিভিন্ন ধর্মিয় আচার অনুষ্ঠানে বাধা দেয়া, ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো উপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো এবং রাস্ট্রের সর্বক্ষেত্রে ইসলাম বিরোধিতা ছিল লক্ষনিয়। তার সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ ছিল ইসলামি আন্দোলন কারি খোমেনির অনুসারিদের উপর। তাই তাদের উপর মারাত্মক নির্যাতন চলত । আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ র সহযোগিতায় তিনি প্রচুর ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ি সহ সকল শ্রেনির ধর্মপ্রান মানুষের উপর নির্যাতন এবং গনহারে হত্যাকান্ড চালিয়েছেন। শেষের দিকে তার নির্যাতনের পরিমান এত বেশি হয়েছিল যে অনেক শিক্ষক, ছাত্র এবং ধর্মিয় নেতাদেরকে দেশথেকে পলায়ন করতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বিপ্লবের দিন রাস্তায় সরাসরি আর্মি দিয়ে প্রায় গুলি করে ১০০০ থেকে মতান্তরে ১০০০০ পর্যন্ত মানুষ হত্যা করেছিলেন যাদের অনেকেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
০৯) Idi Amin Dada Oumee


ইদি আমিন উগান্ডার তৃতীয় প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ আর্মিতে যোগদান করে সেখান থেকে স্বাধিন উগান্ডানর আর্মিতে মেজর জেনারেল পদে উন্নিত হন। ১৯৭১ সালে একটি সমারিক ক্যু করে ক্ষমতায় আরোহন করেন। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি একজন অত্যান্ত উচুমানের পাগলা টাইপের মানুষ ছিলেন। তার শাষনামলে রাজনৈতিক হত্যাকান্ড, বিচার বহির্ভুত হত্যান্ড, জাতিগত সহিংসতা, দুর্নিতি এবং অর্থনৈতিক অব্যাবস্থাপনার ফলে দুভিক্ষ হয়। সবচেয়ে ভয়ানক যে কাজটি তিনি করেছেন তা হল এগুলো করে তিনি ১ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছেন যারা একেবারেই নিরিহ মানুষ ছিল। মুলত আন্তর্যাতিক ভাবে গাদ্দাফি, রাশিয়া এবং তৎকালিন পুর্ব জার্মানির সাপোর্টে তিনি এই ভয়ানক গনহত্যাটি করেন। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি একটি অস্বাভাবিক জীবনযাপন করতেন। বলা হয়ে থাকে যে তিনি ক্যানিবল ছিলেন বা মানুষের মাংশ খেতেন। এছারা তিনি তৎকালিন উগান্ডার খ্রিস্টান আর্চবিশপকে হত্যা করে তার লিভার পর্যন্ত খেয়েছিলেন।। শেষ পর্যন্ত তানজানিয়ার সাথে এক অযথা যুদ্ধে জরিয়ে পরেন এবং ক্ষমতা থেকে বিতারিত হন।

০৮) Mehmed Talaat Pasha


অটোমান সম্রাজ্যের পার্লামেন্টের স্বররাস্ট্র মন্ত্রি ছিলেন। জীবনে একজন পোস্টঅফিস কর্মচারি থেকে একজন সরকারি মন্ত্রি পর্যায়ে এসেছিলেন অত্যান্ত কুটবুদ্ধি এবং উচ্চভিলাষ থাকার কারনে। তিনি মুলত আর্মেনিয়ার গনহত্যার জন্য দায়ি। তিনি ১৯১৫ ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সকল আর্মেনিয়ার নেতাদেরকে ফাসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেন এবং পরে আর্মেনিয়াতে ভয়ানক নির্যাতন শুরু করেন। তার নির্যাতনের মাত্রা এতটা ভয়াবহ ছিল যে পুরো আর্মেনিয়া জনসংখ্যা একটা উল্লেখযোগ্য পরিমানে কমে যায়। বেশির ভাগ মানুষ ক্ষুধা এবং পিপাসায় মারা যায় বলে পরে জানা যায়। শুধু মাত্র ১৯০৯ সালে আদান এলাকয় প্রায় ৩০০০০ মানুষ মারা যায় যাকে ইতিহাস আদানা ম্যাসাকর বলে জানে। বলা হয়ে থাকে তিনি খ্রিাস্টনদেরকে ইসা আ: এর ক্রুসিফিক্সিনের স্টাইলে ক্রুশ বিদ্ধ করে হত্যা করতেন।

০৭) Bashar al-Assad


সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল আসাদের গুনধর পুত্রধন। তিনি এতটাই অকর্মন্য এবং অযোগ্য যে তাকে ক্ষমতায় বসিয়ে রাখার জন্য তার মিত্ররা এবং তাকে ক্ষমতাথেকে অপসারনের জন্য তার বিরোধিরা সিরিয়াতে বর্তমানে একটা ভয়াবহ গনহত্যা করে ফেলছে। পুরো দেশটি ধংশের মুখোমুখি শুধু মাত্র এই একটা হারামজাদার কারনে। পার্শ্ববত্যি দেশ লেবাননে তিনি কোন কারন ছারাই প্রচুর পরিমানে হস্তক্ষেপ করতেন এবং বিভিন্ন ধরনের ভয়ানক গুপ্ত হত্যাকান্ড চালাতেন। এছারা তিনি দেশের অভ্যন্তরে প্রচুর পরিমানে বিরোধি পক্ষকে নির্যাতন, গুম এবং প্রকাশ্যে হত্যাকান্ডের মত ঘটনা ঘটিয়েছেন। এছারা তার রয়েছে একটি বিশাল সারিন গ্যসের মজুত যা দ্বারা সে যেকোন স্থানে খুব সহজেই একটা ম্যাসাকার ঘটিয়ে ফেলতে পারেন। তার আরো কিছু গুনধর ভাই রয়েছেন যারা সেনা কমান্ডার হিসাবে সিরিয়াতে প্রচুর হত্যাকান্ড এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজ করেছে। মনে হচ্ছে আমেরিকা আর তার মিত্ররা এই সুগোগে তাকে উৎখাত করতে পারবে না এবং রাশিয়া একটা বিশাল সুবিধা পাবে তাকে জোর করে ক্ষমতায় বসিয়ে রেখে।

০৬) Mustafa Kemal Atatürk


তুরস্কের আরেক হারামজাদা। তিনি তুরস্ককে একটি আধুনিক আর ধর্মনিরপেক্ষ করতে চেয়েছিলেন। মুলত তিনি ছিলেন একজন সেনা কমান্ডার এবং প্রচন্ড ইসলাম বিদ্বেষি ব্যাক্তি। অটোমানদের হাত থেকে ক্ষমতা নিয়ে তিনি তুরস্ককে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাস্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠ করতে চেয়েছিলেন। এই ধর্মনিরপেক্ষতার আরালে তিনি ধংস করেছেন প্রচুর মসজিদ, মাদ্রাসা, ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠন এবং ফাশিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছেন অনেক বিজ্ঞ আলেম এবং ইসলামি স্কলারকে। তিনি প্রথমে তুরস্কে আজান দেয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা এবং পরে উল্টপাল্টা ভাষায় আজান দেয়ার প্রচলন করেন। তার শাষনমালে তুরস্কে ইসলামি জনসভা করা এবং খেলাফতের কথা বলাটা ছিল মারত্মক অন্যায়ের কাজ এবং এর জন্য ফাসি পর্যন্ত দেয়া হত। তিনি অনেক ইসলামি ঐতিহ্য এবং সৃংস্কৃতিক কেন্দ্র ধংস করেছেন এবং এগুলোর সাথে জরিত সকলকে ব্যাপক মাত্রায় নির্যাতন করে হত্যা করছেন।

০৫) Hosni Mubarak


১৯৮১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩০ বছর তিনি মিশর এর একচ্ছত্র অধিপতি হিসাবে শাষন করেছেন। এই দির্ঘ সময়ে তিনি তার ক্ষমতা ধরে রাখার প্রধান মাধ্যম হিসাবে ইসরাইল এবং আমেরিকাকে প্রধান বন্ধু হিসাবে গ্রহন করেছেন। একজন মুসলমান হিসাবে ফিলিস্তিনকে সহোযোগিতার পরিবর্তে তাদের উপর ইসরাইলি অবরোধকে আরো শক্তিশালি করার চেস্টা করেছেন। এছারা ইসরাইল কে সহযোগিতার জন্য তিনি নাম মাত্রমুল্যে গ্যাস, পানি সরবরাহ করতেন এবং বিভিন্ন ধরনের সামরিক এবং কুটনৈতি সহোযোগিতা দিতেন। তার শাষনামলে এই অবৈধ ইহুদি রাস্ট্রটি হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদেরকে ক্লাস্টার বোমা হামলা করে হত্যা করলে তিনি খুব দ্রুত গাজাতে ত্রান সরবরাহের পরিবর্তে গাজার সাথে সকল পথ বন্ধ করে দিতেন। তিনি দেশের অভ্যন্তরে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রচুর সমর্থক, কর্মি এবং নেতাদের কে নির্যাতন, গুম, এবং খুন করতেন। তার অনুগত বাহিনি আমেরিকা থেকে কিনে আনা বিষেশ কুকুর ব্রাদারহুডের কর্মিদের উপর লেলিয়ে দিতো যারা তাদেরকে কামরে কামরে হত্যা করত। মুসলিম ব্রাদারহুডের নিজস্ব হিসাবে প্রায় ৫০,০০০ থেকে এক লক্ষ লোককে হত্যা করেছিল এই বর্বর শাষক।

০৪) Muammar Gaddafi


অত্যান্ত উচ্চাভিলাষি একজন শাষক ছিলেন। কর্নেল গাদ্দাফি নামেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত সবার কাছে। তিনি ১৯৬৯ সালে একটি সামরিক ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহন করেন এবং প্রাং ৪২ বছর লিবিয়া শাষন করেন। তার শাষনামলে লিবিয়ার আভ্যন্তরিন শান্তি শৃংখলা ছিল ভালো কিন্তু তিনি ইতিহাসে নিন্দনিয় হয়ে থাকবেন তার ফরেন পলিসির কারনে। তিনি কম করে হলেও ১০ থেকে ১২ টি গনহত্যা পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। এর মধ্যে ইদি আমিন এর উগান্ডার গনহত্রঅ অন্যতম। তার জীবন জাপন ছিল আরো ভয়ানক। তারা ব্যাক্তিগত বডিগার্ড হিসাবে মহিলা সেনা কর্মকর্তা কাজ করতেন যারা কুমারি ছিলেন (গুজব)। তার প্রাসাদে একটি বিশাল হারেম ছিল যেখানকার নারির সংখ্যা এখনো অজানা। এছারা এই দির্ঘ শাসনামলে তিনি প্রচুর বিরোধি মত দমন করেছেন অত্যাচার, গুম এবং হত্যার মাধ্যমে। ২০১১ তে তার ক্ষমতা ত্যাগের আগমুহুর্ত পর্যন্ত তিনি প্রায় এক বছরে ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ হাজারের মত মানুষ হত্যা করেছেন। যাদের বেশিরভাগই ছিল নিরিহ সাধারন মুসলমান।

০৩) Saddam Hussein


বাথ পার্টির নেতা হিসাবে ১৯৭৯ সালে ইরাকের প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতা গ্রহন করেন এবং ২০০৩ সাল আমেরেকিরা ইরাক আক্রমনের পর ক্ষমতা হারান। ইদি আমিন এর এই ভদ্রলোকে দ্বিতিয় পাগল হিসাবে আখ্যায়িত করা যায়। তিনি ক্ষমতায় আরোহনের পর কুর্দিদের উপর প্রচুর অত্যাচার নিপিরন শুরু করেন। ১৮৮০ সালে একেবারে অযথাই কুর্দিদের উপর একটা ভয়ানক রাসায়নিক বোমা হামলা চালান। যাতে নিমিষেই মারা পরে ৫ হাজার এর উপর মানুষ যাদের বেশিরভাগই ছিল নারি এবং শিশু। ধারনা করা হয় তার রাসায়নিক বোমার সক্ষমতা যাচাই করার জন্য এই হামলা চালান। এর পরে ১৯৮০ সালেই শুরু করেন ইরানে সাথে সিমান্ত যুদ্ধ এবং সেখানে কয়েক দফা রাসায়নিক বোমা হামলা চালান। তার এই যুদ্ধের বলি হতে হয়েছে অসংখ্য সাধারন মানুষকে যারা এখনো ক্ষত নিয়ে চলছে। এর পর তিনি দুই বার ১৯৮৮ সালে এবং ১৯৯০ সালে কুয়েত দখল করে নেন এবং পরে আবার পিছু হটেন। শেষ পর্যন্ত তার পারমানিবক বোমান বানানোর খায়েশ জাগলে তা আন্তর্যাতিক সমাজের নজরে আসে এবং আমেরিকা চিন এবং রাশিয়ার সম্মতিতে তাকে অত্যান্ত বাজে ভাবে উৎখাত করে।

০২) Abdullah of Saudi Arabia


বর্তমান মুসলমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় কালপ্রিট এবং মুনাফেকদের একজন। মুলত হেজাজ দখলকারি এবং নিজের নামের সাথে মিলিয়ে দেশের নাম বদল করে রাখা রাজা আল সৌদের বংশধর তিনি। মধ্যপ্রাচ্যে তিনি আমেরিকা এবং ইহুদিবাদি সন্ত্রাসি রাস্ট্র ইসরাইলের সবচেয়ে বড় বন্ধ এবং সাহার্যকারি। তিনি সরাসরি আমেরিকার নির্দেশ এবং পরিচালনায় দেশ চালান। মুলত বর্তমান বিশ্বের সকল বোমা হামলার ৬০% ই তার অর্থায়নে হয়। তিনি একই সাথে মসজিদ, আত্মঘাতি বোমা এবং আমেরিকাতে মুভি ইন্ডাস্ট্রিতে অর্থলগ্নিকারি। তার অর্থনৈতিক সাপোর্টে আলকায়দা সহ অনেক গুলো জঙ্গি সংগঠন এবং ইসরাইল চলে। তার তেলের অনেক বকেয়া টাকা আমেরিকা ইসরাইলের মাধ্যমে পে করে যা ইসরাইল পরবর্তিতে অস্ত্র কিনতে ব্যাবহার করে। ইসরাইল যখনই ফিলিস্তিনে গনহত্যা শুরু করে তখনই তিনি চুপ মেরে যান এবং একটা আলোচনার পথ খুজতে থাকেন। এছারা তিনি মুসলিম রাস্ট্র গুলোর সংস্থা ওআইসিকে একটি নামমাত্র সংগঠনে পরিনত করে রেখেছেন যাতে আমেরিকার অন্যায় সিদ্ধান্তগুলো বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্ব মাথাচারা দিতে না পারে। আরো ভয়ানক হল তাদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মুল্যের সম্পদের একটা বিশাল অংশ ইনভেস্ট করা আছে বিভিন্ন আমেরিকান ইহুদি কোম্পানির হাতে। তিনি মুলত গত ১০ বছর ধরে মুসলিম বিশ্বে চালা প্রচুর হত্যাকান্ডের মুল হোতা এবং অর্থলগ্নিকারি।

০১) Osama Bin Laden


মুসলিম বিশ্বের সেরা যত হারামজাদা আছে উনি তাদের সবার গুরু বলে ধরে নেয়া হয়। মুলত তিনি সৌদি সরকারের ঘনিষ্ঠ বিশাল বিন লাদেন গ্রুপ নামক কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা শেখ আওয়াদ বিন লাদেনের সুপুত্র ওসামা বিন লাদেন। তিনি মুলত আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ দ্বারা অত্যান্ত সুনিপন এবং বিশেষ ভাবে কমান্ডো প্রশিক্ষন প্রাপ্ত। প্রথমে তাকে প্রশিক্ষন দেয়া হয় রাশিয়ারকে ঠেকানোর জন্য। এর তার পুরো দায়দায়িত্ব নেয় প্রধান গুরু সৌদিআরব। পুরোপুরি আর্থিক এবং অন্যান্য সহোযোগিতা করে তাকে একটা আইকনে তৈরি করেছিল তারা। কারন আমেরিকা তখন প্রচন্ড আর্থিক সংকটে পরেছিল। মধ্যপ্রাচ্যে তাল বাবদ তাদের দেনা পরিমান এতটা হয়েছিল যে রিজার্ভ ব্যাংকে টান পরে যায় অবস্থা। ঠিক সেই মুহুর্তে আমেরিক তার দুইটা আস্তা টাওয়ার কোরবানি দিয়ে আফগানিস্তানে শুধ এই ভদ্রলোককে গ্রেফতার করার জন্য যুদ্ধ শুরু করে। এতে তাদের দুইটা ফায়দা হয় তেল বাবদ অর্থের বদলে তাদের অস্ত্রাগারের সকল পুরান অস্ত্র আলকায়দার হাতে যায় আর নতুন অস্ত্র যায় আমেরিকার সৈন্যদের হাতে। আর এর পুরোটাই পে করে সৌদি আরব। লাদেনের দল আলকায়দার হাতে অথবা তাদের কারনে যে কত সাধারন মুসলাম নিহত হয়েছে তার হিসাব মনে হয় একমাত্র আল্লাহ তাআলাই জানেন। শুধু মাত্র নিরিহ বাংলাদেশে ভারতিয় র কর্তৃক তার এই আত্মঘাতি বোমা হামলার থিওরি কাজে লাগিয়ে বাংলা ভাইকে দ্বারা হত্যা করা হয়েছে প্রচুর সাধারন মানুষ। এবং সারা মধ্য প্রাচ্যে এখনো তার দল হত্যা করছে অসংখ্য সাধারন মানুষ। সিরিয়াতে তো তারা ম্যাসাকার ঘটিয়ে ফেলেছে। তারা এতটাই উগ্র যে ক্যামেরার সামনে নিরস্ত্র মানুষের গলা কাটতেও তারা দ্বিধা বোধ করে না। তবে তিনি আবার ইসরাইলের ব্যাপারে প্রচন্ড বিনয়ি। ইসরাইল বিমান হামলা করে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি হত্যা করলে উনার ইমানে টান লাগে না। কারন উনার মুলগোরা যে সেই আলসৌদ।





লেখাটার পুরোটাই একটা আমার ব্যাক্তিগত মতের উপর লেখা হয়েছে। অনেকে হয়ত উপরের লিস্টের কাউকে কাউকে হিরো ভাবতে পারেন তবে আমার কাছে তারা অত্যাচারি, খুনি এবং ঘৃনিত। মতের মিল নাহওয়ার জন্য দুঃখিত।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
৩৩টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×